দুর্গাপুর সিটিসেন্টারে পা রেখে এ কেমন অভিজ্ঞতা হল বারাসতের বৃদ্ধ দম্পতির

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা- বেবী সরকার

Published on: মার্চ ১৪, ২০১৮ @ ২৩:৪৬

এসপিটি নিউজ, দুর্গাপুর, ১৪ মার্চঃ দাদার বাড়িতে যাবেন বলে বারাসত থেকে বেরিয়ে ছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। দুর্গাপুরে বাস থেকে নেমে রিকশায় চেপে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝপথে যা হয়ে গেল তা বড়ই সাঙ্ঘাতিক। দাদার বাড়িতে পোঁছে ব্যাগে চোখ রাখতেই চমকে উঠলেন বারাসতের বাসিন্দা সীমা রায় ও তাঁর স্বামী সতীন্দ্রনাথ রায়। ছিনতাইবাজরা তাদের রীতিমতো বোকা বানিয়ে সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিলেন।

এই ঘটনা দুর্গাপুরের সিটিসেন্টার লাগোয়া এলাকায় নতুন নয়। এর আগেও বহুবার ঘটেছে। বারে বারে ঘটে গেলেও পুলিশ যে এখানে মানুষের সুরক্ষা দিতে একেবারেই ব্যর্থ তা কিন্তু হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে এখানকার বাসিন্দারা। মুখে কেউ কিছু না বললেও এমন ধরনের ঘটনা নিয়ে তারাও উদ্বিগ্ন।

বুধবার কলকাতা থেকে দুর্গাপুরগামী বাসে চেপেছিলেন বারাসতের বৃদ্ধ দম্পতি। দুর্গাপুর সিটিসেন্টারে দাদার বাড়ি যাবেন। বাস থেকে নেমে তারা রিকশা ধরেন। আর মাঝ পথেই ঘটে যায় সেই ঘটনা। তাদের রিকশাটি যখন বিদিশা আবাসনের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখন দুই যুবক তাদের রিকশাটিকে দাঁড় করায়।

তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয়। তারা জানায়, সামনের রাস্তায় চুরি-ছিনতাই-এর ঘটনা ঘটেছে। বৃদ্ধা সীমাদেবীকে লক্ষ্য করে তারা বলেন, আপনি সোনার গয়ানা গা থেকে খুলে ফেলুন। তিনি হাতের বালা-চুড়ি, গলায় সোনার চেন সব খুলে ফেলেন। তখন অঈ দুই যুবক গয়নাগুলি একটি কাগজের মোড়কে রাখতে বলেন। সেগুলি নিয়ে তারা তাদের কার্যসিদ্ধি করে ফেলে। বৃদ্ধ দম্পতিদের বোকা বানিয়ে দেখিয়ে দেয় সেগুলি তারা তাদের ব্যাগের ভিতর রেখে দিয়েছে। এইবার তাদের চলে যেতে বলেন।

দাদার বাড়ি পৌঁছে তারা যখন ব্যাগ খুলে কাগজের মোড়কটি খোলেন তাতে তারা যা দেখেন তা নিজের চোখকেও বিশ্বাস করাতে পারছিলেন না। এ কি! কোথায় সব গয়না! এ যে একেবারে ফাঁকা কাগজের মোড়ক। সব কথা শুনে দাদা সমরেশবাবু বুঝতে পারেন যে তাঁর ভাই ও ভাই-বউকে ছিনতাইবাজরা ধোকা খাইয়েছে।

এমন অভিজ্ঞতা যে হবে তা কি ভাবতে পেরেছিলেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি? সত্যি, দুর্গাপুরের এই সিটিসেন্টার এখন একদল ছিনতাইবাজদের আঁখরা হয়ে উঠেছে। পুলিশ এখন সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু অনেকেই বলছেন, পুলিশ কি আদৌ ঐ বৃদ্ধ দম্পতির সোনার গয়ান উদ্ধার করে দিতে পারবেন?

Published on: মার্চ ১৪, ২০১৮ @ ২৩:৪৬

 

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

44 − 40 =