কৃষককে গালি ওসির: শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি- সংযত করুন আপনার পুলিশকে

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ৭, ২০২৩ at ২১:১১

এসপিটি নিউজ, ৭ ডিসেম্বর:  আজ হুগলির গোঘাটে এক পুলিশ আধিকারিকের কৃষকের প্রতি কু-শব্দ প্রয়োগের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এদিন বিধানসভায় প্রেস কর্নারে সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেন- “আমি হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, সংযত করুন আপনার পুলিশকে।” এরপর একের পর এক তোপ দাগেন তিনি।

শুভেন্দু অভিযোগ করেন- “আপনারা দেখেছেন আজ আমি একটি ভিডিও এক্স হ্যান্ডেল এবং ফেসবুকে পোস্ট করেছি। সেখানে একজন ওসির স্বরূপ উঠে এসেছে।এ রাজ্যে কৃষকের কাছ থেকে ৫-১০ কেজি পর্যন্ত কুইন্টাল প্রতি ধান কেটে নেওয়া হচ্ছে। এই ছবি দক্ষিণ থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত। একজন কৃষক যদি ২০ কুইন্টাল ধান কিষাণমান্ডি কিংবা সমবায়ে জমা দেয় তাহলে ১০০ কেজি অর্থাৎ এক কুইন্টাল ধান তার কাছ থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে।কোথাও আবার সেটা ৮-১০ কেজিও হচ্ছে। এটা কোনও রাজ্যে হয় না। এই সরকার কৃষকদের কাছ থেকেও লুঠ করতে চাইছেন।আজ গোঘাটের কৃষকরা এর প্রতিবাদ করেছিল বলে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়েছে ওসি।”

এই সময় শুভেন্দু নিজের মোবাইল থেকে ভিডিও দেখিয়ে অভিযোগের সুরে বলেন- “দেখুন, এই মমতা পুলিশকে দেখুন। এর নাম হচ্ছে অরূপ মণ্ডল। গোঘাট থানার ওসি। একদিকে ধান ক্রয়ের এই অবস্থা অন্যদিকে ৩৬০০ টাকা ইউরিয়া সারের বস্তা তাতেও নরেন্দ্র মোদিজি হাজার হাজার কোটি টাকা সাবসিডি দিয়ে ১২০০ টাকা করে দিয়েছে। সেই ইউরিয়া সার এই মুহূর্তে আলু চাষের যারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন আড়াই হাজার টাকা করে কিনতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। ধান ক্রয়ে বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর গত বছর ধান বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল ২৯ লক্ষ চাষি। এবার মা্ত্র ১১ লক্ষ চাষি রেজিস্ট্রেশন করেছে।তারপর গত বছর পর্যন্ত এই সরকার ১৮ লক্ষ ভুয়ো রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ভারত সরকারের পাঠানো ৫ হাজার কোটি টাকা লুঠ করেছে। আমি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির শতকরা ৭০-৭৫ ভাগ নির্ভর করে কৃষির উপর।” এরপরই শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি- আমি গোঘাট থানায় যাচ্ছি, আমি এই ওসি যে কৃষককে বরাহনন্দন বলে গালি দিয়েছে তার পা ধরাবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, সংযত করুন আপনার পুলিশকে।”

গত ৪৮ ঘণ্টায় অবিরাম বর্ষণের ফলে দক্ষিণবঙ্গে কৃষকদের সর্বনাশ হয়ে গেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর তিনি মমতা সরকাররের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন- “আমি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে কোনও সরকার বা রাজনৈতিক দলকে যেমন দায়ী করব না তেমনই সরকারকে দায়ী করব এই জন্য যে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে আসা যে ঘূর্ণিঝড় সেটা আছড়ে পরার পর তার প্রভাবে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সহ যেখানে যেখানে অতি বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দফতরের আবহাওয়া দফতরকে সাথে নিয়ে মাঠের ধানটা তাড়াতাড়ি তুলে ফেলুন- এই ক্যাম্পেইন্টা দরকার ছিল, যা আমরা আগে দেখেছি। আজ তা না করার ফলে শস্য ভাণ্ডার হাওড়া, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বর্ধমান, বাঁকুড়া সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।বহু কৃষক মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন।এই বিপর্যয়ের সামনে তারা পড়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্মাসিকতা, অবহেলা এবং কর্তব্যে গাফিলতির জন্য তারা কিছু করতে পারল না। অন্নদাতা ভগবান কৃষকরা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হন তার প্রভাব কিন্তু অর্থনীতিতে পড়ে।সামগ্রিকভাবে সমাজের মধ্যে পড়ে।”

Published on: ডিসে ৭, ২০২৩ at ২১:১১


শেয়ার করুন