Published on: জুন ৯, ২০২১ @ ১৬:১৮
Reporter: Aniruddha Pal
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৯ জুন: গত শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শঙ্করপুরের লছিমপুর গ্রামে ‘ইয়াস’ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহয্য করল ফার্মাকন ভেট প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। কোম্পানির কর্ণধার সঞ্জয় রায়ের তত্ত্বাবধানে এই ত্রাণ শিবিরে গ্রামের ২৫০ মানুষ উপকৃত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার পঞ্চায়েত সদস্য শুভাশিস দাস।
ফার্মাকনের ত্রাণ শিবির
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষদের একেবারে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আজও এই সব এলাকার মানুষরা ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়ে আছে।তাদের কারোরই ঘর-বাড়ি নেই। সব জলে ভেসে গিয়েছে।কিভাবে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জুটবে তা জানা নেই এই অসহায় মানুষগুলির। এদের না আছে ঘর, না আছে পরনের জামা-কাপড়। এইসব অসহায় মানুষগুলির পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাণী চিকিৎসার ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফার্মাকন ভেট প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।
ত্রাণ শিবিরে যেসব দেওয়া হল
কোম্পানির কর্ণধার সঞ্জয় রায় সংবাদ প্রভাকর টাইমসকে বলেন-“গত ৫ জুন ফার্মাকন ভেট প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে আমরা একটা ত্রাণ শিবির করেছিলাম শঙ্করপুরে, তালগাছারি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জামরা-শ্যামপুরের লছিমপুর গ্রামে। সমুদ্রের পাড়েই অশোকা হোটেল আছে। আমরা সেখানে কাজকর্মের জন্য যাতায়াত করে থাকি। সেখানকার যে মালিক আমাকে ত্রাণের জন্য একটা অনুরোধ করেছিল। আমরা তাই ফার্মাকন কোম্পানির পক্ষ থেকে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ওই ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষগুলিকে সাহায্যের চেষ্টা করেছি। আমরা তাদের চাল, ডাল, বাতাসা,চিড়ে, নিউট্রিলার প্যাকেট, ডিম, বিস্কুট, স্যানিটাইজার, জিওলিন, জামা-কাপড়, এছাড়া আলু, তেল আরও অনেক কিছু যেমন ত্রিপলও দিয়েছি।
‘পরনের একটা লুঙ্গি আর এই গামছা ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই’
ফার্মাকনের এই সময়োপযোগী সাহায্যে রীতিমতো সন্তুষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত পরিবার। তেমনই এক অসহায় ব্যক্তি জয়দেব বেরা জানালেন তাঁর মনের কোনে কমে থাকা এক রাশ কষ্টের কথা। তিনি বলেন- আজ এনারা যে ত্রাণ দিয়েছে তা পেয়ে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। আমরা আশা করব আগামিদিনেও তারা আমাদের পাশে থাকবে। আজ আমাদের খুবই খারাপ অবস্থা। এখানে আজ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে পরনের একটা লুঙ্গি আর এই গামছা ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। ঘর-বাড়ি পর্যন্ত নেই। আমরা শেষ হয়ে গেছি। আমরা মাছ ধরতাম। আমার একটা ভুটভুটি ছিল। সেটাও চলে গেছে। সেটা জলে ভেসে গেছে। আমি আজ খুবই অসহায়। আমার কিছুই নেই। মাছ চাষও করেছিলাম ঋণ নিয়ে তাও জলে চলে গেছে।”
পাশে দাঁড়িয়েছে #PharmaconPvtLtd ঘূর্ণিঝড় #ইয়াস কেড়ে নিয়েছে সব কিছু। #শঙ্করপুরে ত্রাণ শিবিরে দাঁড়িয়ে এই মানুষটি জানালেন তাঁর কষ্টের কথা। pic.twitter.com/BTGYG18rHP
— Aniruddha Pal (@Anirudd66301677) June 9, 2021
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানালেন কৃতজ্ঞতা
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শুভাশিস দাস জানান- “লছিমপুরে ২৯টা পরিবারকে উঠিয়ে নিয়ে এসে এই ত্রাণ শিবিরে রেখেছি। ওনাদের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আমি ফোনে সঞ্জয়বাবুকে জানিয়েছিলাম যে যদি কিছু ত্রাণের ব্যবস্থা করেন তাহলে খুবই ভাল হয়। সেই মতো তারা এসে অনেক কিছু দিয়েছেন। যা খাবার দিয়েছেন তাতে পাঁচ-সাত দিন অনায়াসেই চলে যাবে।আমরা সকলে তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।”
নামখানা ব্লকেও দুর্গতদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা
বৃহস্পতিবার নামখানা ব্লকে দুর্যোগ কবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষদের ত্রাণ দিতে যাচ্ছে ফার্মাকন ভেট প্রাইভেট লিমিটেডে কোম্পানির প্রতিনিধিরা। আজ কোম্পানির অফিসে সেই ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেট তৈরির কাজ চলে। কোম্পানির কর্ণধার সঞ্জয় রায় জানিয়েছেন- তাদের ডিস্ট্রিবিউটর অনুরোধ করেছিলেন যে সেখানে ৫০টি পরিবারের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করতে। সেখানে আমরা ১০০টিরও বেশি পরিবারের জন্য এই ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি।
ত্রাণের তালিকায় থাকছে- এক কিলো ডাল, দু’কিলো চাল, দু’কিলো আলু, ৫০০গ্রাম চিড়ে, ৩০০ গ্রাম চিনি, দু’প্যাকেট নিউট্রিলা, ২০০ গ্রাম ছাতু, ৫০ গ্রাম শুকনো লঙ্কা গুড়ো, ৫০ গ্রাম হলুদ গুড়ো, ৫০০ গ্রাম লবন, একটা ২০০গ্রাম সর্ষের তেলের শিশি। আড়াইশো গ্রাম মুড়ির প্যাকেট, ৩০ টাকা দামের ৩০০ গ্রামের বিস্কুটের প্যাকেট, আড়াইশো গ্রাম বাতাসা।
Preparation of relief distribution in Namkhana Block by #PharmaconVetPvtLtd pic.twitter.com/3cpVBHDrXy
— Aniruddha Pal (@Anirudd66301677) June 9, 2021
Relief materials packing by #PharmaconVetPvtLtd pic.twitter.com/ZmZRf4Kisr
— Aniruddha Pal (@Anirudd66301677) June 9, 2021
Published on: জুন ৯, ২০২১ @ ১৬:১৮