বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে

Main দেশ বাংলাদেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: আগ ১৬, ২০২৩ @ ১৮:৪৭

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৬ আগস্ট: গতকাল ১৫ আগস্ট ছিল বাঙ্গাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস। সেই উপলক্ষ্যে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ- হাইকমিশনে দিনটি উদযাপিত হয় সমস্ত রীতি মেনেই। উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস কলকাতায় উপ-হাইকমিশনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। পাশাপাশি “মুজিব চিরঞ্জীব” মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং কলকাতাস্থ বেকার গভ: হস্টেল-এর বঙ্গবন্ধু স্মৃতিবেষ্টিত কক্ষে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।দুপুরে খাবারের আয়োজন করা হয় এতিম খানার দুস্থ ও অনাথ শিশুদের জন্য।প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সংবাদ জানিয়েছেন।

এছাড়াও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ ১৬ আগস্ট বুধবার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতা বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

গভর্নমেন্ট হস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষ

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র হিসেবে ১৯৪৫-৪৬ সালে ৮, স্মিথ লেনের বেকার গভর্নমেন্ট হস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালে বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন

১৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে ‘বাংলাদেশ গ্যালারী’তে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত বানী পাঠ করা হয়। যথাক্রমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বানী পাঠ করেন কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন কাউন্সেলর (কন্স্যুলার) এএসএম আলমাস হোসেন, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন প্রথম সচিব (বাণ্যিজিক), মো: শামসুল আরিফ, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম, দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক)।

আলোচনা সভায় বক্তারা যা বললেন

  • আলোচনা সভায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো ক্যারিশমেটিক ব্যক্তিত্ব খুব কম দেখা যায়, যার ডাকে মানুষ অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিতে রাজি। আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর যে উন্নয়ন হচ্ছে সে উদাহরণ দুনিয়ায় বিরল।
  • বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলকাতা প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট স্নেহাশীষ সুর বলেন, শেখ মুজিব শুধু ভারতীয় উপমহাদেশ নয় পুরো এশিয়ার মানচিত্র বদলে দিয়েছেন।
  • অনুষ্ঠানের সভাপতি উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, শুভ-অশুভর যুদ্ধ নিরন্তর চলমান। যা কিছু শুভ বঙ্গবন্ধু ছিলেন তার প্রতীক। তাই অশুভ শক্তি তাঁকে হত্যা করেছিলো। কিন্তু শুভর জয় সুনিশ্চিত এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান ঈর্ষণীয় সাফল্য তারই প্রমাণ।
  • পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার স্পীকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করা গেলেও তার চেতনাকে হত্যা করা সম্ভব নয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফেরাতে শেখ হাসিনার সরকারের প্রচেষ্টা সফল হবে।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন তুষিতা চাকমা, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক)।
সবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

Published on: আগ ১৬, ২০২৩ @ ১৮:৪৭

 


শেয়ার করুন