স্বচ্ছতার সঙ্গে কিভাবে এগোচ্ছে রাজ্য খাদ্য দফতর, জানালেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

এ বছর ৫৪ লক্ষ মেট্রিক টনের কাছাকাছি ধান সংগ্রহ করেছে রাজ্য, এগোচ্ছে লক্ষ্য পূরণের দিকে।

রাজ্যে ২০, ৩৫৪টি রেশন দোকান ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে ।

Published on: আগ ১৫, ২০২৩ @ ১৩:০৬
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৫ আগস্ট:  একটা সময় খাদ্য দফতর নিয়ে অনেক অভিযোগ ছিল মানুষের। আজ আর সেই অভিযোগ নেই। এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দফতর পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে কাজ করে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে স্বচ্ছতা বজায় রেখে এগিয়ে চলেছে এই দফতর। মানুষকে সুষ্ঠু পরিষেবা দিয়ে চলেছে। একই সঙ্গে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। সংবাদ প্রভাকর টাইমসকে বিশেষ সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।

এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন

খাদ্য দফতর নিয়ে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী রথীন ঘোষ সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর কাছে তুলে ধরেন খাদ্য দফতরের কাজকর্ম। তিনি বলেন-  ‘খাদ্য দফতরে দুটো কাজ। একটা ধান কেনা আর একটা হচ্ছে ধান থেকে চাল তৈরি করে দেওয়া। তার সাথে আমরা এনএফএসসি-তে আটা অর্থাৎ গম দিয়ে থাকি। এছাড়া অন্ত্যোদ্ব্য়, অন্ন  যোজনায় এক কেজি করে চিনি দি। এটাই আমরা মূলত করি।এছাড়াও আমরা এবছর ৫৪ লক্ষ টনের কাছাকাছি ধান সংগ্রহ করেছি। আমাদের এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ, যা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।’

সিপিসি বা ওয়াইসিপিসি-তে ২২০৩ টাকা করেও পেতে পারেন কৃষকরা

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যেটা উদ্দেশ্য, আমাদের রাজ্যের অভাবী কৃষকরা যাতে ধান বিক্রি করতে পারেন সেটা দেখা।আমাদের কাছে ধানের দামটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রীয় সরকার আগামী বছর থেকে এমএসপি-টা বাড়িয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো রাজ্যের যে রবি শস্য আছে সেটা আমরা ২১৮৩ টাকা করে কিনছি। এছাড়া যদি আমাদের সিপিসি বা ওয়াইসিপিসি-তে কেউ আমাদের ধান বিক্রি করে তাহলে তারা সেটা ২২০৩ টাকা করে পাবেন। অর্থাৎ একদিকে আমরা ধানের দাম বাড়িয়েছি। আর একদিকে এই কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনি।বলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।

৫০০ সিপিসি আছে ৩১টা মোবাইল সিপিসি

আমাদের এবছর ৫০০ সিপিসি আছে ৩১টা মোবাইল সিপিসি আছে। এছাড়াও আমাদের সিএমআর এজেন্সিগুলো আছে। তারা ডব্ল্যুইসিএসসি, বেনফেড, কনফেড, এনসিসিএ, পিএমইএসিএন এরা আমদের হয়ে কেনে।এছাড়া, সেলফ হেল্গ গ্রুপের মহিলারা কেনে। প্যাডস যারা আছে তারা সবাই বিক্রি করেন। সেই লক্ষ্যমাত্রার পূরণের দিকে এগোচ্ছি। এখন আমাদের রাজ্যের যে এনএফএসএফ এইসব মিলিয়ে প্রায় ৮ কোটি ৮০ লক্ষ রেশন কার্ড গ্রাহক আছে।

১৬ নভেম্বর ২০২২ সালে ‘দুয়ারে রেশন প্রকল্প’ চালু হয়

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গত ১৬ নভেম্বর ২০২২ সালে ‘দুয়ারে রেশন প্রকল্প’ চালু করেছিলেন- সেটা আমরা এখন সকলের কাছে পৌঁছচ্ছি। অথেন্টিক ট্রানজাকশন যা আমরা করি ইপজের মাধ্যমে, যেখানে আধার কার্ডের শতকরা হার ৯৭%, যেটা আমাদের লক্ষ্যমাত্র তার কাছাকাছি আমরা আছি। এই অবস্থায় খাদ্য দফতর এগোচ্ছে পরিচ্ছন্নভাবে- তা সে ডিলার হোক, ডিস্ট্রিবিউটার দেওয়া হোক, প্যানেল করা হোক  সব দিকে তা বজায় রাখছি। ধান কেনার ক্ষেত্রেও আমরা ফেয়ার অ্যাভারেজ কোয়ালিটিতে নিয়ে আসি। আমাদের রাজ্যে ২০, ৩৫৪টি রেশন দোকান সবাই দুয়ারে রেশন চালু রেখেছে।পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেষ্টা আছে।যোগ করেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।

পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে যা কাজ করছে খাদ্য দফতর

পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে যেটা বেশ কিছু কাজ করা হচ্ছে।সেই প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন-  ‘ইপজের সাথে সাথে ইউএম স্কেল আছে। আমাদের রেটিনা স্ক্যানার আছে। যদি আঙুলের ছাপ না মেলে তাহলে যে আইডি স্ক্যানার যেটা আছে ওটা দিয়ে আমরা চোখের ছাপ নিয়ে সেই গ্রাহককে তার প্রাপ্য মাল দিয়ে থাকি। আর ইউএমস স্কেলটা করেছি তার কারণ- নির্দিষ্ট খাদ্যদ্রব্য আমরা দি সেটা যাতে মানুষ ঠিক ওজনে পায় সেজন্য ইপজের সাথে ইউএম করেছি যাতে যতক্ষণ ঠিক ওজন হবে ততক্ষণ লেনদেনটা সম্পূর্ণ হবে না। এটা দেওয়ার আগে আমাদের একটা এসএমএস যায় যে আপনি কত পাবেন; সেটা দেওয়ার পর লেনদেন শেষ হলে য়াবার এসএমএস যায় যে আপনি কত পেলেন। এভাবে আমরা স্বচ্ছতার সাথে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে চেষ্টা করছি খাদ্য দফতরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।মানুষের আগে অনেক অভিযোগ ছিল একসময়। সেটা এখন নেই বলতে গেলে।’

Published on: আগ ১৫, ২০২৩ @ ১৩:০৬


শেয়ার করুন