২০২৩ সালে প্রথম চাঁদ ভ্রমণের পরিকল্পনা নিলেন জাপানের এই ধনকুবের, সঙ্গে নিয়ে যেতে চান ৮ সেরা শিল্পীকে

Main বিদেশ ভ্রমণ স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান
শেয়ার করুন

Published on: সেপ্টে ১৮, ২০১৮ @ ১৫:৫৪

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ “ছোটবেলা থেকে আমি চাঁদ ভালোবাসি। সেই সময় আমি স্বপ্ন দেখে এসেছি একদিন আমি চাঁদে ভ্রমণ করব। আজ আমার সেই স্বপ্ন সার্থক হতে চলেছে।” গত সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ার হ্যাথোর্নে স্পেসএক্স সদর দফতর ও রকেট কারখানাতে দাঁড়িয়ে একথা বলেন জাপানি ধনকুবের এবং অনলাইন ফ্যাশন টাইকুন ইউসাকু মেসাওয়া।

১৯৭২ সালে শেষ মার্কিন অ্যাপোলো মিশন হলেও ৪২ বছর বয়সী মেসাওয়া হতে চলছেন প্রথম চন্দ্র ভ্রমণকারী। তিনি বিশেষাধিকারের জন্য অনির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থও প্রদান করেছেন ইতিমধ্যে।তিনি দৈত্যাকার স্পেসএক্স-এ চেপে চাঁদে ভ্রমণ করতে চলেছেন। মেসাওয়া জাপানের বৃহত্তম অনলাইন ফ্যাশন মলের প্রধান নির্বাহী আধিকারিক এবং ফোর্বসের ব্যবসায়ী ম্যাগাজিন অনুযায়ী, ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে তিনি হলেন ১৮তম ধনী ব্যক্তি। মেসাওয়ার-এর আরেকটি শখ আধুনিক শিল্পের মূল্যবান কাজ এবং গত বছর প্রচুর পরিমাণে তিনি তা সংগৃহীত করছেন। তিনি.১১০.৫ মিলিয়ন ডলারের জিন-মিশেল বাসকিয়াট মাস্টারপিস অর্জনের কথাও ঘোষণা করেন।

তিনি যোগ করেছেন: “আমি চাঁদের কাছে যেতে চাই … শিল্পীদের সাথে নিয়ে!”তিনি এজন্য পেইন্টার, ভাস্কর, ফটোগ্রাফার, সঙ্গীতজ্ঞ, চলচ্চিত্র পরিচালক, ফ্যাশন ডিজাইনার এবং স্থপতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানাতে চেয়েছেন।এ ব্যাপারে তিনি আবেগ আতড়িত হয়ে পড়েন। তিনি শিল্পীদের উদ্দেশ্যে বলেন-“যদি আপনারা আমার কাছ থেকেঙ্কিছু শুনতে চান, দয়া করে হ্যাঁ বলুন এবং আমার আমন্ত্রণ গ্রহণ করুন। অনুগ্রহ করে না বলবেন না!” শিল্পের প্রতি তাঁর প্রগাড় প্রেমের কারণে তিনি শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মেসাওয়া বলেন, “আমি এই মিশনে চাঁদের কাছে পৌঁছতে আমার ভ্রমণ সঙ্গী হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য সারা বিশ্বের ছয় থেকে আটজন শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই”।”পৃথিবীতে ফিরে আসার পরে তাদের কিছু তৈরি করার জন্য বলা হবে। তাদের এই শিল্পশৈলীগুলি আমাদের সকলের মধ্যে তাদের স্বপ্নদর্শীকে অনুপ্রাণিত করবে।”

এখন পর্যন্ত, আমেরিকা একমাত্র দেশ যারা পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছেছে। মোট ২৪জন নাসা মহাকাশচারী – যাদের সকলেই শ্বেতাঙ্গ- ১৯৬০ এবং ৭০-এর দশকে অ্যাপোলো যুগের সময় যারা চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন।এদের মধ্যে বারোজন চন্দ্র পৃষ্ঠে হেঁটে বেড়িয়েছেন।প্রথম মহাকাশ পর্যটক ডেনিস টিটো ছিলেন একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী, যিনি ২০০১ সালে রাশিয়ান স্পেসশিপে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যাওয়ার জন্য প্রায় ২0 মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছিলেন।

স্পেসএক্সের সিইও এলোন মস্ক মেসাওয়াকে “সাহসী” এবং “সেরা রোমঞ্চকর” বলে বর্ণনা করেছেন।”তিনি সবসময় এগিয়ে যেতে পছন্দ করেন। আমরা সম্মানিত যে তিনি আমাদের দ্বারা নির্বাচিত।”মাস্ক বলেন চাঁদে ভ্রমণের জন্য মেসেওয়া দামের মূল্য প্রকাশ করবেন না, তবে এটি “শিল্পীদের জন্য বিনামূল্যে” হবে।তাদের এক পয়াসাও লাগবে না।” একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন-“এটা খুব বিপজ্জনক ভ্রমণ, তা বেশ পরিষ্কার। মনে রাখতে হবে, এটি পার্কের মধ্যে হাঁটাচলা করা নয়।”

চাঁদে ভ্রমণের জন্য বিগ ফ্যালকন রকেট (বিএফআর)এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিএফআর-এর কথা ২০১৬ সালে প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এটি ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট হিসাবে নিজেকে মেলে ধরেছে। বলা হচ্ছে-এমনকি পাঁচ দশক আগে অ্যাপোলো মিশন-এ যে স্যাটার্ন ভি মুন রকেটটি ছিল এটি নাকি তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী।

১১৮ মিটার (১২৯ গজ) দীর্ঘ বিগ ফ্যালকন রকেটের ডিজাইনগুলি দেখানো হয়েছে, যা ইঞ্জিন ও জ্বালানি ব্যবস্থার সাথে কিভাবে সাযুজ্য রেখে চলে তা নিয়ে-প্রথম পর্যায় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে দেখানো হয়েছে এটি যা মহাকাশযান দিয়ে যাত্রীরা যাত্রা করবে। মাস্ক জানান, এটি নির্মাণ করতে  আনুমানিক ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে।

বিএফআর মহাকাশযান এর আকৃতিটি বাসের মতো, মার্কিন মহাকাশযানগুলি যা ১৯৮১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত মহাকাশচারী্দের নিয়ে ১৩৫ বার মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে। এবার চাঁদে ভ্রমণ করতে চলেছেন জাপানির ধনকুবের ইউসাকু মেসাওয়া। সূত্র ও ছবিঃ এএফপি

Published on: সেপ্টে ১৮, ২০১৮ @ ১৫:৫৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 4 =