সুভাষ চন্দ্র বসু্র জীবনী পড়ুন- দেশের যুব সম্প্রদায়কে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ১৯, ২০২১ @ ২১:৩৬
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৯ ফেব্রুয়ারি:  বিগত কয়েক দশকে এভাবে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু’কে নিয়ে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে উৎসাহ দেখাচ্ছেন তা সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ। নেতাজির ১২৫তম জন্মদিবসে কলকাতায় এসে অনুষ্ঠানের সূচনা করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর আজ কলকাতায় জাতীয় গ্রন্থাগারে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শৌর্যাঞ্জলী অনুষ্ঠানে এক সাইকেল যাত্রার উদ্বোধন করে ফের আরও একবার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন- ‘সুভাষবাবুর জীবনী পড়ুন। অনেক কিছু শেখার আছে।’

সুভাষবাবুকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা চালালেও তা সফল হয়নি-অমিত শাহ

কলকাতা জাতীয় গ্রন্থাগারের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতিচারণ করে গেলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন- “সুভাষবাবুকে দেশের মানুষ এত বছর পরও এত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে যেমনটা তিনি জীবিত থাকার সময় লড়াই চালাতেন। সুভাষবাবুকে মানুষ যাতে ভুলে যায় তার জন্য অনেক চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এতসব চেষ্টা কর সত্ত্বেও ওনার কর্তৃত্ব, ওনার দেশভক্তি এবং ওনার সর্বোচ্চ বলিদান আগামী সব প্রজন্মের মানুষের হৃদয়ে আজও উজ্জ্বল হয়ে আছে।”

‘সুভাষবাবুর দেশভক্তির সংস্কার চিরকাল ভারতবাসী মনে রাখবে’

নেতাজির প্রতি দেশের বর্তমান সরকা্রের ভাবনা-চিন্তার কথা পরিষ্কার করে দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন-“এজন্য ভারত সরকার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক কমিটি গঠন করেছে। যে কমিটি সুনিশ্চিত করবে যে সুভাষবাবুর জীবন, কর্ম এবং তাঁর যে দেশভক্তির সংস্কার তা চিরকাল শুধু ভারতে বসবাসকারী ভারতীয় নয় বিশ্বের সব প্রান্তে থাকা ভারতীয়রাও সমানভাবে চিরকাল তাঁকে স্মরণ করবে। একই সঙ্গে তাঁর প্রেরণা নিয়ে ভারতকে মহান দেশ গড়ার ক্ষেত্রে নিজেকে যুক্ত করবে।”

দেশ থেকে ইংরেজদের তাড়ানোই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু সম্পর্কে দেশবাসীকে আরও আগ্রহী হওয়ার কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। “আমি দেশের যুব সম্প্রদায়কে বলতে চাই- একবার সুভষবাবুর জীবনী পড়ুন। এতে অনেক কিছু শেখার আছে। এক অসাধারণ মেধাবী বিদ্যার্থী যিনি আইসিএস পরীক্ষায় সেসময় শীর্ষ স্থান অর্জন করেছিলান। ওইসময় আইসিএস হওয়া বিশাল কৃতিত্বের ব্যাপার ছিল। ইংরেজ সরকারের চাকরি মিলত। সুভাষবাবু সেই চাকরি হেলায় ত্যাগ করে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। ভারত মা’কে মুক্ত করার অঙ্গীকার নিয়েছিলেন। আইসিএস পরীক্ষা পাস করেও ইংরেজের চাকরি ত্যাগ করে তিনি এই বার্তাই দিতে চেয়েছিলেন যে চাকরি নয় দেশ মায়ের মুক্তি এবং শক্তিশালী ভারত গড়া এবং ইংরেজদের দেশ থেকে তাড়ানো। আর তাই তিনি লড়াই শুরু করেছিলেন।”

“সুভাষবাবু এক দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন। কংগ্রেস পার্টিতে দু’বার সভাপতি হয়েছিলেন। একবার তো গান্ধিজির ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচন লড়ে গান্ধিজির পছন্দের প্রার্থীকে পর্যন্ত হারিয়ে কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন।”

‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অবদান কোনওদিন ভুলে যাওয়া উচিত নয়’

অমিত শাহ বলে চলেন- “তাঁর জনপ্রিয়তা এবং দেশের প্রেতি তাঁর অদম্য উৎসাহ ছিল। সেখানে তিনি কোনও ত্রুটি রাখেননি। এক শক্তিশালী সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে উনি লড়াই করেছিলেন যাদের সূর্যোদয় কোনওদিন সমাপ্তিই হত না। যাদের শাসনের সূর্য অস্ত যেত না। বহু দেশের উপর তাদের সাম্রাজ্য বিস্তার হয়েছিল। সেই দোর্দন্ডপ্রতাপ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তাদের চোখে ধুলো দিয়ে বাংলা থেকে পালিয়ে হাজার কিলোমিটার যাত্রা করে পায়ে হেঁটে কখনও সাবমেরিনে করে অবশেষে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে ভারতের মাটিতে তেরঙ্গা পতাকা তুলেছিলেন। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর এই অবদান কোনওদিন ভারতবাসীর ভুলে যাওয়া উচিত নয়।”

“এজন্য ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীকে শুধু সুভাষবাবুই নয় যেসমস্ত বীর সন্তান বলিদান দিয়েছিলেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য তাদের জনমানসে পুনর্জীবিত করা এবং তাদের জীব্ন কাহিনির প্রেরণা নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Published on: ফেব্রু ১৯, ২০২১ @ ২১:৩৬


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 6 = 4