সারা রাত দু’চোখের পাতা বোজাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জৈশের ক্যাম্পে এয়ার স্ট্রাইক-এর খবর নিচ্ছিলেন

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ২৭, ২০১৯ @ ০১:০৭

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ পুলওয়াময় সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ১২ দিনের মাথায় ভারতীয় বায়ুসেনা বদলা নিল। ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের মিরাজ ফাইটার প্লেন নিয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর ঢুকে পড়ে জৈশ-ই-মহম্মদের ক্যাম্প চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আসে। ভারতীয় বায়ুসেনার এই স্ট্রাইকের উপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নজর ছিল।

সূত্রে খবর বলছে, বায়ুসেনার হামলার এই রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারা রাত জেগে কাটিয়েছেন। দু’চোখের পাতা এক করেননি। শুধু ঘড়ির দিকে তাকিয়েছেন। পরিবারের পিতার মতো তিনি সর্বক্ষণ পায়চারি করেছেন। তো কখনো নিজের চেয়ারে বসে ঘড়ির দিকে নজর রেখেছেন।আর যেন তাঁকে খারাপ খবর শুনতে না হয়। এই অভিযানে যেন আমাদের বীর সন্তানদের আর না হারাতে হয়। কোনও ভারতীয় মায়ের কোল খালি না হয়। এই ভাবনাতেই চোখের পাতা এক করেননি। তিনি তখনই শুতে যান যখন খবর পেলেন বায়ুসেনার সব কটি প্লেন জওয়ান সমেত সুরক্ষিত অবস্থায় দেশের সীমা পার করে চলে এসেছে। কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। তখন প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি অভিযানে যাওয়া বায়ুসেনার সমস্ত জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে ১০টা নাগাদ মন্ত্রীমন্ডলের নিরাপত্তা নিয়ে এক বৈঠক হয়। এছাড়াও গোটা দিন প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়েছেন। এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে যান এবং সেখানে তিনি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেন। এরপর মোদি রাজস্থানে এক সভায় যোগ দিতে রওনা হয়ে যান। এরপর তিনি দিল্লি ফিরে ইসকনের এক কর্মসূচিতে যোগ দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি সূত্রের খবর অনুসারে প্রধানমন্ত্রী গোটা রাতে ঘুমোননি। যতক্ষন বায়ুসেনা অভিযান সেরে না ফিরেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, সোমবার রাতে মোদি তাজ প্যালেস হোটেলের এক কার্যক্রমে অংশ নেন। এবং রাত সোয়া ন’টা নাগাদ তিনি নিজের বাসভবনের দিকে রঅণা হয়ে যান। সেখানে ১০ মিনিটের মধ্যে সাত ব্যক্তি কল্যান মার্গে অবস্থিত নিজের বাসভবনে পৌঁছে মোদি হাল্কা খাবার খান। এবং এরপর তিনি অভিযানের সঙ্গে যুক্ত থাকা যারা বায়ুসেনার এই হামলার বিষয় নিয়ে লেখালেখি করছিলেন সেদিকে নজর রাখেন।

এটা আমরা জানি না যে তিনি সেইসময় নিজের ঘরে ছিলেন না কি অন্য কোনও স্থানে ছিলেন যেখানে এক কন্ট্রোল রুমে এই এয়ারস্ট্রাইকের ঐতিহাসিক ঘটনার নজর রাখা হচ্ছিল।প্রধানমন্ত্রীর এক বিশ্বস্ত সূত্র এক ন্যাশনাল সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এই অভিযানের সময়ে এবং তারপর তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধনোয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে যাচ্ছিলেন।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে যে অভিযান শেষ হতেই পিএম মোদি বায়সুনের যে সমস্ত পাইলট এয়ার স্ট্রাইকে গেছিলেন তারা ঠিকভাবে ফিরে আসতে পেরেছেন কিনা তা জেনে নেন। এবং তাদের অভিবাদন জানান।

Published on: ফেব্রু ২৭, ২০১৯ @ ০১:০৭

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

86 + = 92