সাত দিন সময় দিলাম, গোসাবায় বিদ্যুৎ পরিষেবা যেন স্বাভাবিক হয়- বিদ্যুৎ কর্তাকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ২৬, ২০১৮ @ ২০:৪৫

এসপিটি নিউজ, পৈলান, ২৬ মার্চঃ বিদ্যুতের হাল এতটাই খারাপ হয়েছে যে না চলছে জলের পাম্প না চলছে কম্পিউটার। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পৈলানে প্রশাসনিক বৈঠকে এই অভিযোগ শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাকে  নির্দেশ দেন সাত দিনের মধ্যে ঐ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে।গোসাবার বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে দলীয় বিধায়কের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এভাবেই বিদ্যুৎ কর্তাকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবারের প্রশাসনিক বৈঠকে গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, ৩৪ বছরে যা হয়নি এই সাড়ে ছয় বছরে অনেক কাজ হয়েছে এখানে। তবে, এর মধ্যে একটা সমস্যা আছে-তা হল বিদ্যুৎ পরিষেবা। এর পর তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, তাঁর কেন্দ্রে বিদ্যুতের এত লো-ভোল্টেজ হয়ে গেছে যে পিএইচই-র কোন পাম্প চলছে না। এত লো-ভোল্টেজ যে সেখানে কম্পিউটার পর্যন্ত চলছে না। এই অভিযোগ শোনার সময় মুখ্যমন্ত্রী দলীয় বিধায়কের কথা থামিয়ে বিদ্যুতের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তাকে নাম ধরে ডেকে বলেন রাজেশ, তোমরা কি বিদ্যুতের ব্যাপারটা অবহেলা করছো?

সেই কর্তা উঠে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে শান্ত করার চেষ্টা করে বলেন, না, এখানে ম্যাডাম সোনাখালিতে এক গ্রিড স্টেশন দু’আড়াই বছর ধরে হচ্ছে। লাস্ট ছ-সাত মাস ধরে একটু প্রবলেম হচ্ছে ম্যাডাম।মাননীয় মন্ত্রী ও স্পিকার সাহেবের ঘরেও একটা মিটিং হল। তিন মাস আগে। এখনও কিছু একটা প্রবলেম ওখানে আছে।কাজটা কিছু মানুষ করতে দিচ্ছে না, আটকে রেখে দিয়েছে।

ফের মুখ্যমন্ত্রীর পালটা প্রশ্ন, সেটা শর্ট-আউট করতে পারছেন না? ওটা না করলে বিদ্যুৎ লোকে পাবে কি করে?

সেই কর্তা জবাবে বলে ওঠেন, ম্যাডাম, ওই গ্রিড হলে চারটি ব্লক পুরোটাই ঠিক হয়ে যাবে।

মুখ্যমন্ত্রীর ফের প্রশ্ন, এটা কোন ব্লক? কোন বিধানসভা? বারুইপুর শোনার পরই মমতা এবার প্রশ্ন করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কেন বিমানদা এটা হচ্ছে না?

বিমানবাবু বলেন, আমরা গতকাল বসছিলাম। আগামিকাল একটা মিটিং করে একটা ফাইনালাইজ করে নেব। সামান্য একটু অসুবিধা ছিল। কিছু কিছু লোককে বাইরের লোক এসে প্রভাবিত করছে। একথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী ফের ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে থাকেন, আরে কয়েকটা বাজে লোক আছে সেগুলো চায় না কাজটা হোক। লোকে সাফার করছে তো? ডেকে বলে দিন। পুলিশের কে দায়িত্বে আছে? সবাই তখন থরহরি কম্প। সংশ্লিষ্ট কর্তা বলে ওঠেন, ওটা হয়ে যাবে। কয়েকদিনের মধ্যেই সলভ হয়ে যাবে।

মুখ্যমন্ত্রী এবার বলেন, করিয়ে নাও। আমি এটা ফেলে রাখব না।কয়েকটা লোক যা ইচ্ছা তাই করবে, আমার বিদুৎ উৎপাদন হবে না এটা ঠিক নয়। গরমেন্ট অনেক টলারেট করছে। টলারেট করা মানে এই নয় যে আমার বাংলাকে অন্ধকারে ঢেকে দেব। কেউ করে খাবে যার জন্য বাংলাটাকে অন্ধকারে ঢেকে দেব। ওরা চায় লোডশেডিং আগে যেমন হতো এখনও হোক। আমরা এটা চাই না। জয়ন্ত নস্কর যে কথাটা বলল, আমি সাত দিন টাইম দিচ্ছি বিদ্যুৎ দফতরকে বসে কথা বলে বিমানদাকে নিয়ে কাজটা করে দিতে হবে।ফাইল ছবি

Published on: মার্চ ২৬, ২০১৮ @ ২০:৪৫

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 1 = 2