সবই তো এগোচ্ছে মমতার কথা মতোই, এনডিএ ছাড়ল টিডিপি-জানিয়ে দিল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবেও আছে সমর্থন

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ১৬, ২০১৮ @ ১১:২৭

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ কয়েক দিন আগেও এ রাজ্যে বিজেপির আস্ফালন ছিল চোখে পড়ার মতো। পশ্চিম্বঙ্গের রাজ্য বিজেপি সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে অশালীন কথার বান ছুটিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই কথাকে খুব আমল দেননি। শুধু জানিয়েছিলে- এত অহঙ্কার ভালো নয়, ঝড়ে পড়ে যাব। দেখতে থাকো আরও অনেক কিছু বাকি আছে। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম পার্টি বা টিডিপি আরও অনেকে। ২০১৯ -এর অনেক আগেই অঙ্ক বদলে যাবে। মমতা যে কত বড় দূরদৃষ্ট সম্পন্ন রাজনীতিবিদ তা এখন গোটা দেশ বুঝছে বিজেপি বিরোধী সব কটি রাজনৈতিক দল। মমতার কথা মতোই কিন্তু প্রথমে টিডিপির মন্ত্রীরা মোদির সর থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। আর তারপর আজ সকালেই টিডিপি মোদির সরকার থেকেঈ শুধু নয় এনডিএ জোট থেকেই সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন।

উত্তরপ্রদেশ, বিহারের উপ-নির্বাচনের ঘা এখনও শুকায়নি। তার মধ্যে আরও এক বড় ধাক্কা খেল মদি-অমিত শাহের বিজেপি। গোটা দেশ যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তাতে কিন্তু মমতার কথা মতোই এগিয়ে চলেছে সব কিছু। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদৃষ্টির তারিফ করতে শুরু করেছেন।

একমাত্র তিনি পারেন বেজেপি বিরোধী সব দলকে এক জোট করতে। পরিস্থিতি কিন্তু সেদিকেই এগোচ্ছে।

প্রায় ৪ বছর হয়ে গেল মোদি সরকার কেন্দ্রে এবং এখন পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতিগুলিও পূর্ণ গতিতে চলছে। এদিকে, মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দল ও তাদের মিত্ররা রীতিমতো এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। শুক্রবার,  এই প্রথম সংসদে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ হতে চলেছে। এদিকে, চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি এনডিএ থেকে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করে বেরিয়ে এসেছে। অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ আর্থিক রাজ্য ঘোষণা না করায় টিডিপি ক্ষুব্ধ, তাই তারা এই চরম সিদ্ধান্ত শুক্রবার সকালে নিতে বাধ্য হয়েছে।

আমি আপনাদের বলছি যে, এই সমস্যা নিয়ে টিডিপি কোটার মন্ত্রীরা ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে পদত্যাগ করেছেন। একই সময়ে, বিজেপি কোটার মন্ত্রীরাও রাজ্য সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চন্দ্রবাবু নাইডু তার সাংসদদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আলোচনা করেন। অল্প সময়ের মধ্যে চন্দ্রবাবু নাইডু বিজেপি সভাপতি আমিত শাহকে এই বিষয়ে ই-মেইল ও ফ্যাক্সের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহ করবেন।

টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু এই বিষয় নিয়ে দলের সর্বোচ্চ নির্ণায়ক কমিটি পলিটব্যুরোর সঙ্গে বৈঠকও করেন। এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্তটি এই বৈঠকেই গৃহীত হয়। এরপরই এই বৈঠকে এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন নাইডু। টিডিপি অভিযোগ করেন, বিজেপি সঠিকভাবে অন্ধ্র প্রদেশের সাথে আচরণ করেনি। এই বৈঠকে, দল আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে লোকসভাতে তারা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে শামিল হবে।

অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য লোকসভায় মহাসচিবকে ওয়াইএসআর পার্টির ছয় সাংসদ সদস্য নোটিশও দিয়েছেন। এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এখনই লোকসভায় এই অনাস্থা প্রতাবকে সমর্থন করতে পারে টিডিপি।

টিডিপি এর পূর্ণ সমর্থন

অন্ধ্রপ্রদেশে বিশেষ রাজ্যের অবস্থানের জন্য টিডিপি ধারাবাহিকভাবে দাবি করে আসছে। টিডিপির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুও প্রস্তাবটি সমর্থন করার জন্য ঘোষণা করেছেন। বিধানসভায় নাইডু বলেন, যদি প্রয়োজন হয় টিডিপি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করবে। জগন্নাথ মোহন রেড্ডিও নাইডুর কাছে সমর্থন চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন। এই ছাড়াও, টিআরএসও বিশেষ রাজ্যের জন্য একটি দাবি জানিয়েছে।

জগন্নাথ মোহন রেড্ডির দল এই ইস্যুতে অন্যান্য বিরোধী দলকে কাছে পেতে প্রয়াস জারি রেখেছে। সাংসদ সদস্য সংসদে সদস্যদের কাছে লিখিত চিঠি বিতরণ করছেন এবং এই প্রস্তাবকে সমর্থন করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই প্রস্তাবটি সংসদে উপস্থাপন করতে কমপক্ষে ৫০ জন সংসদ সদস্য প্রয়োজন।

কি ভাবে হতে পারে এই প্রক্রিয়া ?

বর্তমান, নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম লোকসভা স্পিকার সুমিত্রা মহাজন ওয়াইএসআর  কংগ্রেসকে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বলবেন। তারপরে, প্রায় ৫০জন সংসদ সদস্যকে এটি সমর্থন করার জন্য দাঁড়াতে হবে, কেবল তখনই প্রক্রিয়াটি এগিয়ে যাবে। কিন্তু আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা যেতে পারে শুধুমাত্র যখন হাউস আদেশ দেবে, তবে এই সময় একজন সাংসদও যদি হইহট্টোগোল পাকায় তাহলে কিন্তু অনাস্থা প[রস্তাব আনা মুশকিল হয়ে যাবে।

বিজেপি-২৭২+১(স্পিকার), কংগ্রেস-৪৮, এআইএডিএমকে-৩৭, তৃণমূল কংগ্রেস-৩৪, বিজেডি-২০, শিবসেনা-১৮, টিডিপি-১৬, টিআরএস-১১, সিপিআই(এম)-৯, ওয়াইএসআর কংগ্রেস-৯, সমাজবাদী পার্টি-৭, এছাড়াও ২৬ অন্য পার্টির সদস্য ৫৮জন, ৫টি আসন খালি আছে। সূত্রঃ আজতক

Published on: মার্চ ১৬, ২০১৮ @ ১১:২৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + 2 =