নতুন বছরে ভারতে সর্বাধিক শিশুর জন্ম হবে-এমনটাই বলছে রাষ্ট্রসংঘ

দেশ বিদেশ স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান
শেয়ার করুন

Published on: জানু ১, ২০১৯ @ ২৩:৫৮

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ রাষ্ট্রসংঘের সাম্প্রতিক এক তথ্যে ভারতের জনসংখ্যার এক ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। সেখানে তারা ভবিষ্যদ্বানী করে বলছে যে একুশ শতকে বিশ্বে সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত। একই সঙ্গে তারা এক তথ্য পেশ করে বলেছে ২০১৯ সালে অর্থাৎ নতুন বছরে দেশটিতে ৮৯,৯৪৪টি শিশু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।বিশ্বব্যাপী মোট শিশুর জন্মের যা প্রায় ১৮শতাংশ।

রাষ্ট্রসংঘের সংকলিত সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, ৮৯হাজার ৯৪৪টি শিশু নতুন বছরে ভারতে জন্মগ্রহণ করবে এবং এরপরেই তালিকায় আছে চিন ও নাইজেরিয়া- যথাক্রমে ৪৪,৯৪০ এবং ২৫,৬৮৫টি শিশু দেশ দুটিতে জন্মগ্রহণ করবে।একই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান ইউনিসেফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি ইয়াসমিন আলী হক। তিনি বলেন, “এই নববর্ষের দিন, আসুন আমরা সব শিশুকে বাঁচাতে প্রতিটি কন্যা ও পুত্র সন্তানের অধিকার পূরণ করার জন্য একটি শপথ নিই।”তিনি স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উপর জোর দেন যাতে প্রত্যেক নবজাতক জন্মের পর থেকেই তাদের হাতে নিরাপদে থাকে।

সেই তথ্যে উঠে এসেছে, ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তান ১৫,১১২টি  শিশুর জন্ম দেবে, তালিকায় তারা চতুর্থ স্থানে রয়েছে, ইন্দোনেশিয়া (১৩,২৫৬ শিশু), আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র (১,০৮৬ শিশু), কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (১০,০৫৩ শিশু) এবং বাংলাদেশে (৮,৪২৮ শিশু) জন্মগ্রহণ করবে।

প্রায় ১.৩ বিলিয়ন মানুষের বাসযোগ্য ভারত, বর্তমানে চিনের পরই বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে জনবহুল দেশ। রাষ্ট্রসংঘের অনুমান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা চিনকেও ছাড়িয়ে যাবে।

ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, অপেক্ষাকৃত অল্প বয়সের কাঠামোও ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। “চিনের ৩৮ বছরের তুলনায় ভারতের মাঝবয়সী ২৭ বছর যার মধ্যে পড়ে। চিনের এক-পঞ্চমাংশের তুলনায় ১৮বছরের কম বয়সী শিশুদের এক তৃতীয়াংশ রয়েছে ভারতীয় জনসংখ্যার হিসাবে”,  ইউনিভার্সিটির রিপোর্টে উল্ল্যেখ করা হয়েছে “ভারতের জনসংখ্যাঃ এক নম্বরে উঠে আসছে।”

“জন্মের আয়ু ১৯৬০ সালের মাঝামাঝি ৪৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৮ বছর। ভারতে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি এক হাজারটি জন্ম পিছু ৩৮ যা চিনে ১১ হারের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। প্রারম্ভিক বিয়ে এবং গর্ভাবস্থা এখনও অত্যধিক হারে মাতৃমৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং যার ফলে চিনের চেয়ে ভারতীয় নারীদের আয়ু আট বছর কমে গেছে, ” ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টটিতে এমনটাই উঠে এসেছে। সূত্র-এএনআই

Published on: জানু ১, ২০১৯ @ ২৩:৫৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

41 − 35 =