“লুটেরাদেরদের বাঁচাতে আপনি যতই ধরনা দিন মোদির হাত থেকে তাদের আপনি রক্ষা করতে পারবেন না”-হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর

দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ৮, ২০১৯ @ ২৩:২০

এসপিটি নিউজ, জলপাইগুড়ি, ৮ ফেব্রুয়ারিঃ জলাপাইগুড়িতে এসে এক সভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চাওয়ালাকে দিদির এত ভয় কেন? লুটেরাদেরদের বাঁচাতে আপনি যতই ধরনা দিন মোদির হাত থেকে তাদের আপনি রক্ষা করতে পারবেন না। বিদেশ থেকে সব দালাল-ধোকাবাজদের ধরে নিয়ে আসব। এভাবেই হুঙ্কার ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন-এই স্থান মহাদেব ভোলানাথের আশীর্বাদ প্রাপ্ত। তাঁর চরণে প্রণাম জানাই। এই স্থান আমাদের জনজাতিকে নিয়ে কাজ করা ঠাকুর পঞ্চাননের কর্মস্থল। এই ভূমি নেপালি ভাষার কবি ভানুভক্ত আচার্যের কর্মস্থল।সবাইকে আমার প্রণাম।

কিছু সময় আগে প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জাতীয় সড়কে ফোরলেনের শিলান্যাস হয়েছে। এই প্রকল্প শেষ হয়ে গেলে শিলিগুড়ি থেকে আসা-যাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। আপনাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে সরকার কাজ করে চলেছে।

আজ আপনাদের সামনে গত এক দশক ধরে চলতে থাকা পুরোনো একটি দাবি পূরণ হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন। এর ফলে এই জায়গার সব ধরনের মানুষের সুবিধা হবে। এখন থেকে আপনাদের হাইকোর্টের কাজ করার জন্য আর কলকাতা ছুটতে হবে না।

এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন-“চাওয়ালাকে দিদির এত ভয় কেন?যেখানে এখানকার পরিচিতি চায়ের সঙ্গে। এখানকার আইন-শৃঙ্খলা খুব খারাপ হয়ে গেছে। এখানকার যুবকদের কাজ নেই। তারা এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সরকার মাটির বদনাম করে দিয়েছে আর মানুষকে অসহায় করে দিয়েছে।

বিশেষ করে তিনি আইনজীবীদের অভিনন্দন জানান। এর ফলে সময় বাঁচবে, পয়সাও সাশ্রয় হবে। কংগ্রেস অথবা তৃণমূল অথবা বামদল কারও আপনাদের নিয়ে ভাবার সময় নেই। এখানে যে সুবিধা মিলেছে তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের থেকে প্রায় ২০ বছর আগে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এজন্য ক্যাবিনেট তা অনুমোদনও করে। এখন আপনাদের স্বপ্ন সার্থক হল।

মোদি বলেন-“উত্তরবঙ্গ থ্রি টি-এর জন্য বিখ্যাত। টিম্বর, টি এবং ট্যুরিজম। এই তিনটি দিকের উপর কোনওদিনই নজর দেওয়া হয়নি। এর আগের সরকার এসবের দিকে গুরুত্বই দেয়নি। আমাদের স্লোগানই হল-সবকা সাথ সবকা বিকাশ। আর তাই কেন্দ্র এখানকার চা-বাগানগুলি খুলিয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকদের পরিবারদের জন্য এক বড় প্রকল্প আমাদের সরকার বানিয়েছে। এই প্রকল্প স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত কোনও সরকার করতে পারেনি। এখন থেকে চা-বাগানের পরিবার পেনশন পাবেন।

পশ্চিমবঙ্গে হিংসা বন্ধ হওয়া খুব জরুরী। যেখানে কম্যিউনিস্টদের পতাকা উড়ত সেখানে বিজেপি নেতৃত্ব সরকার গড়েছে। যা ত্রিপুরায় হয়েছে সেটাই এবার পশ্চিমবঙ্গেও হবে। জগাই-মাধাইয়ের যাওয়ার সময় এসেছে। গুন্ডাদের সঙ্গে লড়ার জন্য বিজেপি নেতৃত্ব সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে আছে।

দেশের ইতিহাসে এই প্রথম দেখা গেল কোনও মুখ্যমন্ত্রী গরিবের টাকা লুটেরাদের পক্ষে ধরনায় বসলেন। লুটেরাদের রক্ষা করতে। আমি মমতা দিদিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে গরিবদের টাকা লোটা মানুষদের পক্ষে আপনি ধরনায় বসেছেন। তবু আপনি তাদের রক্ষা করতে পারবেন না। এই চৌকিদার তাদের ছাড়বে না।যত লুটেরা আছে তাদের কেউ ছাড়া পাবে না।আমি আজ চিটফান্ড দুর্নীতিতে লুঠ হওয়া মানুষকে ভরসা দিতে চাই যে লুটেরাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবেই।

তিনি বলতে থাকেন-“দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে কলকাতায় মঞ্চ তৈরি করে ফেলা হল। আজ সেইসিব প্রতিটি মানুষের মোদিকে ভয় লাগছে যারা প্রত্যেকে দুর্নীতিগ্রস্ত।লুটেরাদের বিদেশ থেকে ধরে নিয়ে আসব। দালাল এবং ধোকাবাজদের বাঁচানোর প্রয়াস মোদি কখনোই সফল হতে দেবে না।

যখনই দেশে এদের সত্যটা বলা হয় তখন এরা এধরনের হাঙ্গামা বাধায়। এদের নিজস্ব কোনও বিচারধারা নেই। এখন আপনারাই দেখুন পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস নেতা বলছে এখানে অরাজকতা চলছে। কিন্তু দিল্লিতে ওনার মিস্টার বাঢরার শ্যালক সাহেব এসব দেখতে পাচ্ছেন না। এখানকার সরকার ঘুষখোরদের স্বাগত জানায়, কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিজেপির রাজনৈতিক নেতাদের রোখা হয়। যাদের হৃদয়ে স্বামী বিবেকানন্দের মূল্য আছে তাদের হেলিকপ্টার নামতে না দেওয়া, বিজেপি নেতাদের উপর হামলা্ আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের জমি হারানোরই সংকেত।

“এখন প্রতিজ্ঞা করতে হবে গুন্ডা আর সিন্ডিকেটের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গকে মুক্তি দিতে হবে। এই সময় দেশে সব চেয়ে বেশি রাজ্যে আমাদের সরকার চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা হয়েছে। বুথের পর বুথ লুঠ হয়েছে। তবু মানুষ বিজেপিকে ব্যাপক হারে ভোট দিয়েছে। লোকসভা ভোটে আধাসামরিক বাহিনীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে।”

Published on: ফেব্রু ৮, ২০১৯ @ ২৩:২০

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

86 + = 88