দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি- “২৩শে মে ভোটের ফল ঘোষণার পরই তৃণমূল কর্মীদের ডেথ সার্টিফিকেটগুলি দেওয়া হবে”

রাজ্য লোকসভা ভোট 2019
শেয়ার করুন

  1. দিলীপ ঘোষ বলেন- “নন্দীগ্রামের জন্য সিপিএম দলটা শেষ হয়ে গেছে তেমনি কেশপুরের জন্য তৃণমূল ও আগামী দিনে রাজ্য থেকে মুছে যাবে।

  2. “এই সভার পর যদি কেশপুরে দলের কোন কর্মীর গায়ে তৃণমূল হাত দেয় তাহলে সে যদি মাটির নিচে থাকে তাহলে তাকে মাটি খুঁড়ে তুলে নিয়ে আসবো।”

  3. “দিদি বাংলাকে আফগানিস্তান বানিয়েছেন, কেশপুরকে ইরাক, ইরান তৈরি করেছে।

  4. “উন্নয়নের টাকা চুরি করে দিদির ভাইয়েরা ভিখা্রি থেকে কোটিপতি হয়েছে। আর রাজ্যের গরিব মানুষ আরো গরিব হয়েছে।”

সংবাদদাতা– বাপ্পা মন্ডলশ

ছবি– বাপন ঘোষ

Published on: এপ্রি ৭, ২০১৯ @ ২১:০১

এসপিটি নিউজ, ঘাটাল, ৬ এপ্রিলঃ  ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের সমর্থনে রবিবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কেশপুরে একাধিক নির্বাচনী প্রচার চালান। সেই প্রচারে দাঁড়িয়ে তিনি কেশপুরের তৃণমূল কর্মীদের চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে যান। সন্ত্রাস বন্ধ করার নিদান দেন তিনি। এজন্য সময়সীমাও বেঁধে দিয়ে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি-“২৩শে মে লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই তৃণমূল কর্মীদের ডেথ সার্টিফিকেটগুলি দিয়ে দেওয়া হবে। সেগুলি তৈরি আছে।”

কেশপুরকে তৃণমূলের শেষপুর করে ছাড়ার হুমকি দিলীপের

1) দিলীপ ঘোষ বলেন- “তৃণমূল কর্মীদের ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি। ২৩শে মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তৃণমূল কর্মীদের সার্টিফিকেট গুলি দেওয়া হবে। কেশপুরকে আমি শেষ পুর করে ছাড়বো।” তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন- “তৃণমূল ছাড়া কেশপুরে কেউ থাকবে না এসব চলতে দেব না। অনেক হয়েছে। আর না।তাই আমি তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে কেশপুরে এই সভা করছে। তৃণমূল তাদের বিধায়ক কে এখানে ঢুকতে দেয় না। উগ্রপন্থী সমাজবিরোধীরা ক্ষুদিরামের জন্মস্থানকে কলঙ্কিত করেছে।”

“সন্ত্রাস বন্ধ না করলে তৃণমূল কর্মীদের কপালে অনেক দুঃখ আছে”

2) তৃণমূলকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন- “নন্দীগ্রামের জন্য সিপিএম দলটা শেষ হয়ে গেছে তেমনি কেশপুরের জন্য তৃণমূল ও আগামী দিনে রাজ্য থেকে মুছে যাবে।তৃণমূলকে জেতালে কেশপুরের মানুষ আর কোন দিন ভোট দিতে পারবে না।” “এই সভার পর যদি কেশপুরে দলের কোন কর্মীর গায়ে তৃণমূল হাত দেয় তাহলে সে পৃথিবীর যেখানে থাকুক না কেন, এমনকি যদি মাটির নিচে থাকে তাহলে তাকে মাটি খুঁড়ে তুলে নিয়ে আসবো।”

3) দিলীপের তোপ- “দিদি বাংলাকে আফগানিস্তান বানিয়েছেন, কেশপুরকে ইরাক, ইরান তৈরি করেছে। যদি সুখে খেতে ও থাকতে চাও তাহলে সন্ত্রাস বন্ধ করো তা না হলে তৃণমূল কর্মীদের কপালে অনেক দুঃখ আছে।” তিনি কেশপুরে সন্ত্রাস বন্ধের জন্য সাত দিন সময়সীমা বেঁধে দিয়ে যান।দিলীপ বলেন- “নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসন এর বিষয়টি আমি দেখে নেব। তবে কেশপুর থেকে সন্ত্রাসকে দূর করব।” তাঁর সাফ কথা- “মেদিনীপুরের ছেলে হিসেবে আমি মেদিনীপুরের অপমান সহ্য করতে পারবো না। তৃণমূলের তোলাবাজি দুর্নীতি আমি বরদাস্ত করবো না। উন্নয়নের টাকা চুরি করে দিদির ভাইয়েরা ভিখা্রি থেকে কোটিপতি হয়েছে। আর রাজ্যের গরিব মানুষ আরো গরিব হয়েছে।”

Published on: এপ্রি ৭, ২০১৯ @ ২১:০১

 

 

 

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

40 − 38 =