রাজ্যের সহযোগিতায় গঙ্গাসাগরে ইসকনের জনমুখী প্রকল্প, কাজ করবে মানুষের সেবায়

দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ৯, ২০১৮ @ ১৯:২৯

এসপিটি নিউজ, গঙ্গাসাগর, ৯ জানুয়ারিঃ গঙ্গাসাগর মেলায় তারা দীর্ঘদিন ধরে অংশ নিচ্ছে।মায়াপুরের ইন্টারন্যশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস  বা ইসকন স্বীকার করে নিচ্ছে সেকাল আর একালের মধ্যে এখন অনেক তফাত। মেলা এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়ে উঠেছে। রাজ্যের সেই উন্নয়নের ধারায় তাল মিলিয়ে গঙ্গাসাগর মহাতীর্থে এক জনমুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইসকন। যে কাজে তাদের সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার। তারা তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

শ্রীমায়াপুর ইসকনের জনংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, গঙ্গাসাগর মহাতীর্থে ইসকনের একটি ছোট্ট সুন্দর শাখা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।এই কেন্দ্রটি সর্বদা তীর্থযাত্রী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সেবায় নিযুক্ত থাকবে। কেন্দ্রটি ভারতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতির ধারক ও বাহক রূপে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলের সুযোগ-সুবিধার দিকে লক্ষ রাখবে। তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিক হল-আধ্যাত্মিক চেতনার বিকাশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক মনোরম সৌন্দর্যের জন্য গড়ে তোলা হবে বাগান, পার্ক, ঝরনা এবং বিভিন্ন প্রদর্শনী। এছাড়াও থাকবে তীর্থযাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ নিরামিষ ভোজনের সুব্যবস্থা।জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, আমরা আশা করছি প্রকল্পটি আগামী ২০২০ সানের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্প রূপায়নে বিশেষ সহযোগিতার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও শ্রী গোবিন্দ সাহাই গুপ্তাকে ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, মহাসাধক কপিলমুনি ও পতিত উদ্ধারিণী মা গঙ্গার কৃপায় প্রকল্পটি রূপায়িত হলে দেশ-বিদেশের ভক্ত ও তীর্থযাত্রীদের আগমনে গঙ্গাসাগর আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠবে।

ইসকনের এমন জনমুখী প্রকল্পের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে রাজ্য সরকারও। এক সরকারি আধিকারিক জানান, সব সংস্থাই যদি এগিয়ে আসে তবে আগামীদিনে এই গঙ্গাসাগর হয়ে উঠবে দেশের সবচেয়ে উন্নত তীর্থস্থান।

তবে এসবের পাশাপাশি ইসকন তাদের সেবামূলক কাজ অব্যাহত রেখেছে। প্রতিবারের মত এবারও তারা গঙ্গাসাগর প্রাঙ্গনে তীর্থযাত্রীদের জন্য সেবা শিবির তোইর করেছে। জনসংযোগ আধিকারিজ রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, ১২ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের এই শিবির চলবে। শিবিরে তারা লক্ষাধিক তীর্থযাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে সারাদিন ধরে প্রসাদ বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবির, বস্ত্র বিতরণ ও গীতা দানের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ৬০০-র বেশি স্বেচ্ছাসেবক এই শিবিরে দিন-রাত সেবা দেবে। তীর্থযাত্রীদের জন্য থাকছে রাতে থাকার ব্যবস্থাও।এছাড়া হরনাম সংকীর্তন তো আছেই।

Published on: জানু ৯, ২০১৮ @ ১৯:২৯


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 57 = 63