বিমানে মাতলামোঃ কড়া প্রতিক্রিয়া টাফি’র অনিল পাঞ্জাবির-বললেন, ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা উচিত

Main দেশ বিদেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ৬, ২০২৩ @ ২৩:৫৮

Reporter:Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৬ জানুয়ারি: সাম্প্রতিককালে বিমানের ভিতর ভারতীয় যাত্রীদের একাংশের নিন্দনীয় আচরণ নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। এমন নিন্দনীয় আচরণের জন্য মুখ পুড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার। এখন অনেকেই এই এয়ারলাইন সংস্থাকে এড়িয়ে চলছে। ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি এই বিষয়টি নিয়ে মূল্যবান প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বলেছেন- বিমানের ভিতর মদ পান করা নিয়ে যাত্রীদের আগে থেকে সতর্ক করার পাশাপাশি এই বিষয়ে বিমানবন্দর চত্বরে সচেতনাতামূলক পোস্টার দেওয়া প্রয়োজন।

সাম্প্রতিককালে বিমানের ভিতর অভব্যতা

সাম্প্রতিককালে প্রথম ঘটনাটি নজরে আসে থাই স্মাইল এয়ারলাইনের কলকাতা-ব্যাঙ্কক বিমানের ভিতর কয়েকজন যাত্রী নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে। এরপর দশ দিনের ব্যবধানে পর পর দু’টি ঘটনার খবর রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। দুটোই ঘটে এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে। একটি ঘটে ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক-দিল্লিগামী বিমানে। সেখানে এক মদ্যপ পুরুষ যাত্রী এক মহিলা যাত্রীর উপর প্রস্রাব করে বলে অভিযোগ ওঠে।সেই পুরুষ যাত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক ভারতীয় ফৌজদারী দন্ডবিধির আইনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।অপরটি ৬ ডিসেম্বর প্যারিস-নিউ দিল্লি বিমানে।এবারের ঘটনাটি ঘটে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে। এবারেও এক মদ্যপ যাত্রী এক মহিলা যাত্রীর কম্বলে প্রস্রাব করে দেয় বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য দিল্লি বিমানবন্দরে দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া হয়ে যাওয়ায় কোনও মামলা হয়নি।

টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি জানালেন তাঁর মতামত

ট্রাভেল এজনেটস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বা টাফি’র চেয়ারম্যান (পূর্ব ভারত) অনিল পাঞ্জাবি সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর কাছে এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে অনিল পাঞ্জাবি বলেছেন- এই বিষয় থেকে শিক্ষা নিয়ে এয়ারলাইন সংস্থাগুলিকে আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন।শুধু একজন মদ্যপ যাত্রীকে এক মাসের জন্য বিমানে যাত্রা না করার নিষেধাজ্ঞা করলেই হবে না এর চেয়েও বড় শাস্তি প্রয়োজন, না হলে এ ধরনের অভব্যতা বন্ধ করা যাবে না।দীর্ঘ যাত্রার বিমানগুলিতে মদ পান করার অনুমতি আছে। তাছারা, বহু যাত্রী বিমানে অঠার আগেও মদ পান কর বিমানে ওঠে। এখন, এইসব মদ্যপ যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এয়ারলাইন সংস্থাগুলিকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে।

১) অবিলম্বে প্রতিটি বিমানবন্দরে যাত্রী সচেতনতার জন্য পোস্টার লাগাতে হবে। বিমানবন্দরের বাইরে ও ভিতরে, যাতে যাত্রীরা মদ পান করে বিমানে উঠে মাতলামো করতে না পারে।

২)সংশ্লিষ্ট এজেন্ট যিনি টিকিট বিক্রি করছেন তাকেও বেশি করে সচতন হতে হবে, যাতে তিনি তার কাস্টোমারকে সচেতন করে দিতে পারেন যে বিমানে উঠে মদ খ্যে যেন মাতলামো না করেন। তাহলে তার দায় সেই যাত্রীকেই নিতে হবে।

৩) সবশেষে যেটা করা যেতে পারে, তা হল- উপরের দুটো নিয়মেও কাজ না হলে তৃতীয় দাওয়াই হল- মদ্যপ যাত্রী যদি মাতলামো করে তাহলে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা। এমনটা হলে, তবেই এই অত্যাচার বন্ধ করা সম্ভব।

নতুন কোনও করা পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা, সেটাই দেখার

এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার উপর। একাধিক এজেন্টরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে এই ঘটনার অত্যন্ত খারাপ প্রভাব পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিট বক্রির উপর। কারণ, বহু যাত্রী এখন সরাসরি ‘এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিট নেব না’ কথাটি না বললেও তারা এড়িয়ে যাচ্ছে। বলছে- আপনাদের পরে জানাচ্ছি। কেউ আবার বলছে- অন্য বিমানের অবস্থা কি আছে, সেটা জানান।ইতিমধ্যে ডিজিসিএ এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে ২৬ নভেম্বর –এর ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনাকে ঘিরে নতুন কোনও করা পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা।

Published on: জানু ৬, ২০২৩ @ ২৩:৫৮


শেয়ার করুন