মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের VETERINARY LABORATORY DIAGNOSIS বইটি প্রাণীচিকিৎসায় ল্যাবরেটরি টেস্টিং-এ হয়ে উঠবে অত্যন্ত সহায়ক

Main এসপিটি এক্সক্লুসিভ দেশ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-অনিরুদ্ধ পাল ও ডা. সৌমিত্র পন্ডিত

Published on: ফেব্রু ২, ২০১৯ @ ১৬:৪৪ 

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২ ফেব্রুয়ারিঃ এর আগে পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই গোটা পূর্বাঞ্চলে প্রাণী চিকিৎসায় সমস্ত রকমের ল্যাবরেটরি টেস্টিং নিয়ে এত বিস্তারিত ভাবে এধরনের উপযোগী বই প্রকাশিত হয়নি। সারা দেশে একটি মাত্র বই ছিল এই বিষয়ের উপর। পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়ক অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল ভেটেরিনারি ক্লিনিক্যাল কমপ্লেক্সে কাজ করা্র সময় বুঝতে পেরেছিলেন যেখানে মানুষের দেহে ল্যাবরেটরি টেস্টিং নিয়ে একাধিক বই আছে কিন্তু প্রাণীদেহের ক্ষেত্রে তা খুবই দুরূহ সেদিন তিনি এমন একটি বই লেখার তাগিদ অনুভব করেন। আর তারপর থেকেই শুরু হয় তাঁর পরিশ্রম। অবশেষে তিনি লেখেন “ভেটেরিনারি ল্যাবরেটরি ডায়াগনোসিস” বইটি।

অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয়বাবু জানান, “আমাদের ভেটেরিনারি ফিল্ডে যতগুলি ল্যাবরেটরি টেস্টিং আছে-এই বইটিতে সমস্ত কিছু বিস্তারিতভাবে দেওয়া আছে। এতে প্রসিডিওর, কনক্লুসন, ইন্টারপ্রিটেশন্স সমস্ত কিছু বিস্তারিতভাবে দেওয়া আছে।”

এই বই লেখার কারণ

“আমি দেখেছি মানুষের দেহে নানা ধরনের রোগ হলে তা নিয়ে একাধিক টেস্ট করার বিষয় নিয়ে একাধিক বই আছে। কিন্তু প্রাণীদেহের ক্ষেত্রে তেমন একটা বই সেভাবে খুব কম প্রকাশিত হয়েছে।তাছাড়া ভেটেরিনারিতে ডায়াগনোসিস পার্টটা সেভাবে এখনও উন্নত হয়নি।সেসব দিক ভেবেই এই বই লেখার তাগিদ অনুভব করেছি।” বলেন অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয়বাবু।

কাদের জন্য

মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন-“এখানে বন্যপ্রাণী থেকে গৃহপালিত সমস্ত ধরনের প্রাণীদেহের টেস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিতভাবেই বইটিতে দেওয়া আছে। এই বইটি তাদেরই কাজে লাগবে যারা আমাদের এই পেশায় যুক্ত আছে, যারা ল্যাব টেকনিশিয়ান, ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, এছাড়াও যারা মোটামুটি শিক্ষিত এ বিষয়ে আগ্রহী তাদের এই বই সহায়ক হয়ে উঠবে।”

বইটির বিশেষত্ব

“আমাদের প্রধান যেটি দরকার রোগ খতিয়ে দেখার সঠিক পদ্ধতি। সেটা যদি ঠিক থাকে তাহলে চিকিৎসা সেভাবে দেওয়া সম্ভব। সেজন্য ডায়াগনোসিস করতে গেলে শুধুমাত্র ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখে তো হয় না। এখানে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ যা আছে তার টেস্টিং করতে হবে। হেমাটোলজি আছে সমস্ত টেস্টিং আছে। প্যাথোলজি টেস্ট আছে।” বলেন মৃত্যুঞ্জয়বাবু। একই সঙ্গে তিনি বলেন-এবার আমি একটা প্রাণীর দেখলাম রোগ হয়েছে। কিছু প্রাণী মারা গেছে তাদের ময়না তদন্ত করলাম। করে আমি একটা ধারনা করে নিলাম যে এই ঘটিত রোগ হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া ঘটিত। তাহলে সেই মতো নমুনা সংগ্রহ করব। কিভাবে সংগ্রহ করব সেই প্রক্রিয়া এই বইটিতে দেওয়া আছে। কিভাবে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে, কিভাবে তা সংগ্রহের পর রাখতে হবে, কিভাবে টেস্টিং করতে হবে। তার ইন্টারপ্রিটেশন কিভাবে হবে? এসব কিছুই পাওয়া যাবে বইটিতে। এটাই এই বই-এর বিশেষত্ব।

আর কি পাওয়া যাবে বইটিতে

এর সাথে নর্মাল রেঞ্জ দেওয়া আছে। ব্লাড পিচারের নর্মাল রেট দেওয়া আছে। বায়োকেমিক্যাল নর্মাল রেট সবই দেওয়া আছে বইটিতে সুন্দরভাবে। এসবই বিস্তারিত মিলবে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর লেখা এই বইটিতে। দেওয়া আছে বইটিতে ল্যারেটরি টেস্টিং-এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রঙিন ছবিও।

Published on: ফেব্রু ২, ২০১৯ @ ১৬:৪৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 2 = 6