ভাসি থেকে দেড়-দু’ঘণ্টার জার্নি লোনাভলা-খান্ডালা

দেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

লেখক- অরুণাভ গুপ্ত

Published on: মে ৯, ২০১৮ @ ১৬:৫৩

এসপিটি নিউজঃ হুট করে চলে যাওয়া তাও মুম্বইতে ছিলাম বলে। অনেকের মুখে ঢালাও প্রশস্তি শুনেছি বলে আগ্রহ ছিল।তাছাড়া বাঙালি চরিত্র ঘোরার নাম শুনলে ঘোড়ার মতন ছোটে। তবে দূর হলে হার্গিস পা বাড়াতাম না। যেহেতু আস্তানা ছিল ভাসি এবং যেখান থেকে মাত্র দেড়-দু’ঘণ্টার জার্নি তাই বেরিয়ে পড়া-জায়গার নাম ‘ লোনাভলা-খান্ডালা।’ মেয়ের দৌলতে এসি কার জুটে যেতে টাটাফাটা রোদের তাপ টের পাইনি। সবটা অ্যারেঞ্জ করেছে এক নামি বহুজাতিক ট্যুর কোম্পানি। থাকার রিসর্ট থ্রিস্টার এবং নো ডাউট অনেক জায়গা জুড়ে খোলামেলা সাজানো, গোছানো পরিবেশ চমৎকার। প্রথম দর্শনে রিসেপশনে বাঙালি অনির্বান বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেয়ে খানিকটা বাড়তি অক্সিজেন পেলাম। যদিও ওর সহকর্মী অমিত ও অন্যান্য স্টাফ লেডিজ-জেন্টস এককথায় অপূর্ব। মুম্বইবাসী ওল্ড অ্যান্ড ইয়ং জেনেরেশন উইক এন্ডে হাজিরা দেবেনই। শনিবারের সকালে আসা রবিবারের সকালে যাওয়া। ওঁদের কাছে এই জায়গা-‘এমন বন্ধু আর কে আছে।’

নোনাভলা-খান্ডালা মিলিয়ে দেখার জায়গা অর্থাৎ স্পট হল ৯ খানা যেমন-নারায়নী ধাম, ইন্টারন্যাশনাল ওয়্যাক্স মিউজিয়াম, রামাচি পয়েন্ট, নোনাভলা ড্যাম, ভুসি ড্যাম,লায়ন্স পয়েন্ট, রেউড পয়েন্ট, ওয়াঘজাই টেম্পল, সানসেট পয়েন্ট। এছাড়া আরও ছটা স্পট আছে যেমন- পাওয়ানা ড্যাম, এমটিডিসি বোটিং, লোহাগড় ফোর্ট, ভাজা কেভস, কারলা কেভস ও দুর্গা পরেমেশ্বরী টেম্পল।

গাড়ির চালক রাজেন্দ্র প্রচন্ড ধর্মভীরু তাই পয়লা নোঙর ফেলল নারায়নী ধামে। এই স্পট সম্পর্কে ওখানকার স্থানীয়রাও প্রচুর উচ্ছ্বসিত। নাঃ সত্যি মন-প্রাণ দুই জুড়ানোর পবিত্র স্থান। সীমানায় কোন ঘাটতি নেই। আলোর সাজ, ফোয়ারা, আড়ম্বরের সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে অপার শান্তি। নারায়নী ধাম……মা দূর্গার আরাধনা… ডট সাতটায় আরতি শুরু হয়। তাই আগেভাগে মন্দিরের পুরোহিতদের সঙ্গে মিললাম। ওঁদের বলে পন্ডিতজী। জানলাম মন্দিরের বয়স বেশি নয় মাত্র আট বছর। ১৫জন রইস ধার্মিক ট্রাস্টির দেখভালে ধাম নিশ্চিন্ত। অতিথিশালা রয়েছে। চারজন পন্ডিতজী পালা করে প্রতিদিন আরতি করেন। প্রথমে পর্দার আড়ালে গোছগাছ পর্ব পরমুহূর্তে জমায়েত ভক্তবৃন্দের সামনে। বলা বাহুল্য ঘণ্টাধ্বনি-কাঁসর বাদ্যযন্ত্রে এবং সুরেলা ভক্তিগীতি নিমেষে অপার্থিব পরিবেশ তৈরি করেছে।পন্ডিতজীরা হলেন, বিষ্ণু, সুনীল, শ্রাওন ও শঙ্কর। কিছুক্ষন বসলাম, ভাল লাগল। পাহাড়ি-অন্ধকার নামছে ফেরার তাগিদ এল।

পরের দিন কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট করে ৮.৩০-এ বেরিয়ে পড়ি। ঘণ্টা চার থেকে পাঁচ ভালোই দেখলাম বাকি স্পটগুলি তবে ঐ লোনাভলা-খাণ্ডালা সীমানায় অন্যত্র নয়। ছোট্ট সফর কিন্তু যা পেলাম ফ্যালনা নয়।

কিভাবে যাবেনঃ মুম্বই থেকে দূরত্ব সড়ক পথে ৭৫ কিলোমিটার। একাধিক প্রাইভেট গাড়ি এবং প্যাকেজ ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে ব্যবস্থা করেও যাওয়া যায়।এছাড়াও ট্রেনে লোনাভলা কিংবা খান্ডালা নেমেও যাওয়া যায়।তবে খান্ডালার চেয়ে লোনাভলাতেই থাকার মনোরম জায়গা কিংবা হোটেল আছে।

কোথায় থাকবেনঃ থাকার জন্য সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা আছে লোনাভলায়।এখানে কোনও হোটেলে থেকেই খান্ডালা ঘুরে আসা যায়।ছবিঃ গুগল

Published on: মে ৯, ২০১৮ @ ১৬:৫৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 27 = 30