ভারত পাকিস্তানকে দেখাল F-16 এর প্রমাণ, বিশ্বকে জানাল তারা ঠিক বলেনি

দেশ
শেয়ার করুন

  • সেনা জানাল-পাকিস্তানের F-16  যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া মিশাইলের টুকরো পাওয়া গেল রাজৌরি সেক্টরে।
  • বায়ুসেনা জানাল যে উইং কম্যান্ডার অভিনন্দনের মুক্তি জেনেভে চুক্তির নিয়ম অনুসারেই করা হবে।
  • সেনা জানিয়েছে-পাকিস্তান ৩৫ বার সিজফায়ার বিধি ভেঙেছে।

Published on: মার্চ ১, ২০১৯ @ ০১:১৪

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানী নয়া দিইলিতে সেনা এক সনযুক্ত প্রেস কনফারেন্স করে জানিয়ে দেয় যে পাকিস্তানের বিবৃতি ঠিক নয়। বিশেষ করে F-16 নিয়ে ভারতীয় সীমানায় হামলা করার বিষয়টি পাকিস্তান যে ভাবে অস্বীকার করেছে তা একেবারে মিথ্যা সেই প্রমাণ এদিন একেবারে প্রমাণ সহ তুলে ধরেন ভারতের তিন সেনা প্রধান। তারা যৌথন সাংবাদিক সম্মেলনে দাঁড়িয়ে জানান যে পাকিস্তানের বায়ুসেনা F-16 যুদ্ধবিমান নিয়ে ভারতীয় সীমানা পার করে ঢুকে পড়ে হামলা চালিয়েছিল। তারা ভারতীয় সেনা ছাউনি ধ্বংস করতে এম্রাম মিশাইল ব্যভার করেছিল, যা কেবল F-16  যুদ্ধ বিমানেই বহন করা সম্ভব।

ভারত বলেছে পাকিস্তান তিনটি মিথ্যা বলেছে

  • মিথ্যা ১-“পাকিস্তান মিথ্যা বয়ান দিয়েছে। ২টি এয়ারক্র্যাফট ধ্বংস ও পাইলটকে হত্যা করার কথা একেবারে ভুল। পাকিস্তান পরে জানিয়েছে যে এক ভারতীয় পাইলট তাদের হেফাজতে আছে। সন্ধ্যায় তারা সত্যিটা তুলে ধরে।”বলেন এয়ার ভাইস মার্শাল আরজেকে কাপুর।
  • মিথ্যা ২-“পাকিস্তান বলেছে তারা ভারতের সৈন্য এলাকাতে বোম ফেলেছে।যদিও এই সব বোমা সেনার শিবিরেই ফেলা হয়েছিল।”
  • মিথ্যা ৩- “পাকিস্তান বলেছিল যে তারা F-16  ব্যভার করেনি। কিন্তু এর প্রমাণ ইলেক্ট্রনিক্স সিগ্নেচার, মিশাইলের টুকরোর মধ্য দিয়েই প্রমাণ উঠে এসেছে যে তারা F-16  ব্যভার করেছিল ভারতে হামলা চালানোর জন্য। আমরা F-16  কে ধ্বংস করে ফেলার প্রমাণ জোগাড় করেছি। পাকিস্তান পিলট অভিনন্দঙ্কে ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছে।বায়ুসেনা এতে খুব খুশি।”

পাকিস্তান F-16  যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে

এয়ার মার্শাল বলেন-“যেখানে প্রমাণের প্রশ্ন উঠেছে সেখানে পাকিস্তানে মাত্র একটি F-16  বিমা্ন আছে। যার এম্রাম মিশাল লাগানোর ক্ষমতা আছে। ওই মিশাইলের টুকরো রাজৌরি সেক্টরের পাশে ভারতীয় সীমায় পাওয়া গেছে। এর থেকে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে পাকিস্তান F-16  ব্যবহার করেছিল। বায়ুসেনার কাছে অঙ্কে কিছু আছে। সব প্লেনের ইলেক্ট্রনিক সিগনেচার থাকে। য়ামরা যে সিগনেচার পেয়েছি, তা পাকিস্তানের F-16  উড়ানের অংশ।”

“পাক মিডিয়া রিপোর্টস যদি দেখেন তাহলে দেখবে তারা যে ঈঞ্জিনের ছবি দেখিয়েছে তা কিন্তু আমাদের MIG-21 এর নয়। যেখানে ভারতের এক মিগ মিশাইল আছে। এর থেকে পরিষ্কার যে F-16 এর ব্যবহার করা হয়েছিল। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যা আমাদের ছিল এবং যা আমরা হাসিল করতে চেয়েছিলাম তা আমরা হাসিল করেছি।এখন এটা রাজনৈতিক নেতাদের উপর ছেড়ে দিয়েছেই তারা কিভাবে এটাকে সামনে আনবে তা তাদের ব্যাপার।”

POK হেফাজতে নিয়ে আসা হল পাইলটকে

এয়ার ভাইস মার্শাল আরজেকে কাউর জানান, “২৭ ফেব্রুয়ারি ১০টা নাগাদ ভারতীয় র‍্যাডারে পাকিস্তানি বিমানের নড়াচড়া ধরা পড়ে। রাজৌরী এবং সুন্দরবনীতে বিমান ঢুকে পড়ে। MIG-21  বাইসন, সুখোই-৩০ এবং মিরাজ-২০০০ কে এই গোপনে ঢুকে পড়া পাকিস্তান বিমানকে রোখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমাদের সেনারা ওই বিমানটিকে নিশানা বানাতে সফল হয়। তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিমানটি পিছু হঠতে বাধ্য হয়। সেইসময় পাকিস্তানি বিমানটি যাওয়ার সময় বোম ফেলে দিয়ে যায় তাতে আমাদের কোনও ক্ষতি হয়নি। বরং পাকিস্তানের F-16 আমাদের MIG-21 ধ্বংস করে দেয়। আমাদের বিমানটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে গিয়ে পড়ে। এরিয়ল ইঙ্গিজমেন্টে একজন পাইলট পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে গিয়ে পরে। যেখান থেকে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে নেয় পাক সেনা।”

পাকিস্তান আমাদের সেনাদের ঠিকানাকে নিশানা বানানোর প্র্যাস করে বলছে স্থল সেনা

স্থল সেনার মেজর জেনারেল সুরিন্দর মহল বলেন-“পাকিস্তান ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩৫ বার সিজফায়ার এর নিয়ম ভাঙে। তারা রাতেও সিজফায়ারের নিয়ম লঙ্ঘন করে। যার মোক্ষম জবাব ভারতীয় সেনা দিয়েছে। ২৭ তারিখে পাকিস্তানের বায়ুসেনা আমাদের সৈন্যদের ঠিকানাকে নিশানা বানায়। যার মধ্যে ছিল ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার, ব্যাটেলিয়ন হেড কোয়ার্টার এবং দ্বিতীয় সৈন্য ঠিকান সামিল ছিল।”

“আমরা সতর্ক থাকায় আমরা রক্ষা পেয়েছি। ওরা ব্যর্থ হয়েছে। লাইন অব কন্ট্রোল এবং আইবিতে সতর্কতা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।সেনাকে স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে। আমরা দেশকে ভরসা দিতে চাই যে দেশ সুরক্ষিত হাতে আছে এবং যে কোনও ধরনের হামলার জবাব দেওয়ার আমরা প্রস্তুত হয়ে আছি। আমরা ভারতের বিরুদ্ধে অন্যায় পদক্ষেপ নেওয়া যে কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সক্ষ্মম আছি।”

নেভির রিয়র অ্যাডমিরল দলবীর সিংহ গুজরাল জানিয়েছেন,”পাকিস্তান যদি সমুদ্র সীমা দিয়ে কোনওরকম কিছু করতে চায় সেক্ষেত্রে আপনাদের আমরা ভরসা দিতে চাই যে সেকাহ্নে আমরা উচিত শিক্ষা দেব। আমরা দেশবাসীকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখারা ব্যাপারে একেবারে তোইরি আছি। আমরা সকলে এক সঙ্গে লড়ছি।”

Published on: মার্চ ১, ২০১৯ @ ০১:১৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

63 + = 70