ভারতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, পশ্চিমবঙ্গ সহ ৮ রাজ্য নিয়ে উদ্বেগ

Main কোভিড-১৯ দেশ বিদেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ১২, ২০২২ @ ২১:২৮

এসপিটি নিউজ:  সারা দেশে ক্রমে বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতেও করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ সহ আট রাজ্যকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।তবে পশ্চমবঙ্গ সরকার গোটা রাজ্যজুড়ে করোনা সংক্রমণ রোধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নিয়েছে।

ভারতে করোনার সংক্রমণ খুবই বেড়েছে

ভারতে করোনার সংক্রমণ খুবই বেড়েছে। আজ পর্যন্ত দেশে সক্রিয় কেস ৯,৫৫,৩১৯টি। ১৫৯টি দেশে বিশ্বব্যাপী উচ্চ ঢেউ লক্ষ্য করা গেছে। ইউরোপের আটটি দেশ গত দুই সপ্তাহে দু’গুণের বেশি কেস বৃদ্ধির রিপোর্ট করছে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্রকের যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল একথা জানানোর পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, কেরালা এবং গুজরাটে সংক্রমণের বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উদ্বেগজনক রাজ্যগুলি উচ্চ ইতিবাচক হারের রিপোর্টও তুলে ধরেন তিনি। তাতে সবার উপরে আছে পশ্চিমবঙ্গ-৩২.১৮ শতাংশ। এরপর দিল্লি-২৩.১, মহারাষ্ট্র-২২.৩৯ এবং উত্তরপ্রদেশ- ৪.৪৭ শতাংশ।

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ভারতে যে অবস্থায়

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট  নভেম্বরের শেষে উদ্বেগের একটি বৈকল্পিক হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিল। ১৪৯টি দেশে প্রায় মোট ৫.৫২ লাখ ওমিক্রন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে এবং ১১৫ জন মারা গেছে। ভারতে, ২৮টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪,৪৬৮টি মামলা রিপোর্ট করা হয়েছে এবং ১,৮০৫টি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।ভারতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে ওমিক্রনের ডেল্টার তুলনায় যথেষ্ট বৃদ্ধির সুবিধা রয়েছে…দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্কের ডেটা ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করার পরামর্শ দেয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব।

টিকার প্রয়োজনীয়তা

এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে এও জানানো হয়েছে যে ২০২১ সালের মে মাস থেকে বিশ্লেষণের সময়কাল জুড়ে নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্তের হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা ৯০.২ এবং ৯৫.৭ শতাংশ কম ছিল টিকা না দেওয়া জনসংখ্যার তুলনায়। অর্থাৎ টিকা নেওয়া এমন অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। এতে সংক্রমণ রোধে টিকার কার্যাকারিতাকে গুরুত্বপূর্ণ করেছে।

পশ্চিমবঙ্গে সরকার নিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে সার্বিকভাবে লকডাউন না হলেও আংশিক লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে একাধিক পুরসভা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। কলকাতায় একাধিক অঞ্চলে কনটেইনমেন্ট জোন করে দেওয়া হয়েছে।সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিতে হাজিরা ৫০ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। রাত ১০টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে। মধ্যমগ্রাম, বারাসতে ক্রমব্ররধমান করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সপ্তাহে তিনদিন দোকানপাট-বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসন।বারাকপুর মহকুমার নৈহাটি পুরসভা এলাকাতেও করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের নির্দেশে স্থানীয় পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নৈহাটিতে সপ্তাহে দু’দিন বাজার বন্ধ থাকবে

নৈহাটি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশাসক সনৎ দে সংবাদ প্রভাকর টাইমসকে জানিয়েছেন- পুর এলাকায় সংক্রমণ ঠেকাতে পুরসভা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪২জন। পুনরুদ্ধার হয়েছে ১৮ জন। আরও অনেকেই এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন। ইতিমধ্যেই নৈহাটি শহরে আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে প্রতি সপ্তাহে দু’দিন সোম ও শুক্রবার সমস্ত বাজার-দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাস্তায় কেউ যদি মাস্ক না পরে বেরোন তাহলে তাকে ধরে করোনা টেস্ট করা হবে। তাতে যদি তার পজিটিভ রিপোর্ট আসে সেই মুহূর্তে ওই ব্যক্তিকে সোজা সেফ হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং তাকে জরিমানা করা হবে। এজন্য আজ থেকে সারা নৈহাটি শহরে বিভিন্ন প্রান্তে মাইকিং শুরু হয়েছে এবং নাগরিকদের সচেতন করা হচ্ছে।

Published on: জানু ১২, ২০২২ @ ২১:২৮


শেয়ার করুন