বিশ্বের সর্ববৃহৎ দস্তানা প্রস্তুতকারক সংস্থার সামনে এখন এক নয়া চ্যালেঞ্জ

বিদেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

  • বিশ্বের অন্যতম সেরা দস্তানা প্রস্তুতকারক সংস্থা মালয়েশিয়ার টপ গ্লোভ কর্পোরেশন।
  • শীর্ষ দস্তানা প্রস্তুতকারক সংস্থাটি দিনে 200 মিলিয়ন প্রাকৃতিক এবং সিন্থেটিক রাবার দস্তানা উৎপাদন করতে পারে।
  • সংস্থাটি পণ্য সরবরাহের সময়সীমা ন্যূনতম 30 দিন থেকে বাড়িয়ে 150 দিন পর্যন্ত করেছে।

Published on: মার্চ ২৯, ২০২০ @ ২০:৫৮ 

এসপিটি নিউজ ডেস্ক:  বিশ্বজুড়ে এখন সবচেয়ে বড় বাধা করোনা ভাইরাস। যা নিয়ে সকলেই চিন্তিত। এরই মধ্যে আবার বিশ্বের অন্যতম সেরা দস্তানা প্রস্তুতকারক সংস্থা মালয়েশিয়ার টপ গ্লোভ কর্পোরেশন-এর কাছে বেশি করে অর্ডার আসতে শুরু করেছে। কিন্তু সারা বিশ্বে লকডাউন চলার ফলে তাদের হাতে এখন সেভাবে কর্মী না থাকায় সাময়িক সমস্যা তৈরি হলেও তারা স্থানীয় কর্মী দিয়েই এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।

মালয়েশিয়ার এই দস্তানা প্রস্তুকারক সংস্থা

মালয়েশিয়ার এই দস্তানা প্রস্তুকারক সংস্থা বিশ্বের অন্যতম সেরা সংস্থা। যারা বিশ্বব্যাপী প্রতি পাঁচটি দস্তানার মধ্যে একটি প্রস্তুত করে থাকে। বর্তমানে ইউরোপ এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে দস্তানার চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে পণ্য সংকট দেখা দিতে চলেছে।যদিও ওই সংস্থাটি এই সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে কোম্পানির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান লিম ওয়ে চই শুক্রবার জানিয়েছেন, এই চাহিদা বাড়ার জন্য তারা জাহাজে পণ্য তোলার সময়সীমা বাড়িয়েছেন। লিম জানান, গত কয়েক সপ্তাহে তাদের কাছে যে অর্ডারগুলি এসেছে সেগুলি বেশিরভাগই ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, যেখানে সংস্থার উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ। দিনে 200 মিলিয়ন প্রাকৃতিক এবং সিন্থেটিক রাবার দস্তানা উৎপাদন করতে পারে।

দস্তানার চাহিদা বেড়ে গেছে

বিশ্বজুড়ে 202 টি দেশ ও অঞ্চলগুলিতে এখন 6,00,000 এরও বেশি মানুষ করোনভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ সংক্রামিত হয়েছে।তারা চিনকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। ইউরোপে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর অব্যাহত রয়েছে। “কিছু গ্রাহক এই পরিস্থিতিতে বেশ আতঙ্কিত তাদের অর্ডার নিয়ে। সাধারণত তারা মাসে 10 পেটি অর্ডার করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের চাহিদা আরও বেড়ে গেছে। এখন তারা 20 পেটি করে অর্ডার করছে, ” বলেন লিম।

পণ্য সরবরাহের সময়সীমা  বাড়ানো হয়েছে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার সতর্ক করে দিয়েছিল যে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হুমকির মধ্যে “ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক বিষয়ে দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বব্যাপী ঘাটতি”  এখন অন্যতম। সেই সঙ্গে তিনি স্বীকার করে নেন যে ঘাটতি তো আছেই। তারা 100 শতাংশ অর্ডার করে। আমরা সেটা 20 শতাংশ বাড়াতে পারি। এর ফলে ঘাটতি কিন্তু সেই 50 থেকে 80 শতাংশ থেকেই যায়।একই সঙ্গে তিনি বলেন- ” এই অতিরিক্ত অর্ডার আরও তিন মাস হয়তো স্থায়ী হতে পারে। এশিয়ার বাজারগুলিতে চাহিদা কিছুটা কমলেও অর্ডার আরও নয় মাস পর্যন্ত জোরালো থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে, সংস্থাটি পণ্য সরবরাহের সময়সীমা ন্যূনতম 30 দিন থেকে বাড়িয়ে 150 দিন পর্যন্ত করেছে।লিম সেই সঙ্গে তাদের সমস্ত গ্রাহককে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে তারা তাদের অর্ডারের অতিরিক্ত দস্তানার ন্যায্য অংশ পাবেনই, সেই বিষয়ে তারা যেন নিশ্চিত থাকেন।

উৎপাদন বাড়াতে নেওয়া হয়েছে একধিক ব্যবস্থা

লিম জানান- ” এ এক বড় সমস্যা। তারা আমাদের কাছ থেকেই পণ্য কেনে। এখন তাদের চাহিদা পূরণ করাটাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই এই সমস্যার সমাধানও আমাদেরই করতে হবে।এ জন্য প্রতি সপ্তাহে আমরা নতুন মেশিন নিয়ে আসছি যাতে করে আমরা আমাদের উৎপাদন 30 শতাংশ বাড়াতে পারি। এই মাসে শীর্ষ দস্তানার কারখানার ব্যবহার 10 থেকে 95 শতাংশ বাড়িয়েছে। এখানেই সমস্যা মিটছে না।কারণ কারখানা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের 1 হাজার কর্মীকে ধরে রাখতে হবে, যা এই মুহূর্তে বেশ কঠিন কাজ। আমাদের প্রায় 10 শতাংশ অতিরিক্ত শ্রমিক দরকার। আমাদের কারখানায় বেশিরভাগ নেপালের শ্রমিকরা কাজ করে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা কেউ এখন আসতে পারছে না। কাজেই আমাদের এখন মালয়েশিয়া থেকে কর্মীদের কাজে লাগাতে হচ্ছে। ”  সূত্রঃ রয়টার্স

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + 6 =