‘বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের’ প্রধান জিয়োনা চানা মারা গেছেন, রেখে গেছেন ৩৯ জন স্ত্রী এবং ৯৪ জন সন্তানকে

Main দেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

Published on: জুন ২৬, ২০২১ @ ১৮:৪৭

এসপিটি নিউজ:   জিয়োনা চানা। ৭৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ‘বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের’ প্রধান হিসাবে সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজোরামের প্রত্যন্ত বক্তাং গ্রামে থাকতেন তিনি। রেখে গিয়েছেন ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪জন সন্তানকে। গ্রামের মধ্যে চারতলা বিশিষ্ট একটি গোলাপী বাড়িতে ১০০টি ঘরে তিনি এই বিশাল পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার নাতি-নাতনির সংখ্যাও নেহাত কম নয়- ৩৩জন।

ছানা নামে স্থানীয় খ্রিস্তান সম্প্রদায়ের নেতা ছিলেন ৭৬ বছরের জিয়ানা। ১৯৪২ সালে তার পিতা এই সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।তিনি শত শত পরিবারের সদস্য ছিলেন।

বছরে একবার ১০জন মহিলাকে বিয়ে করেন চানা

শোনা যায়, জিয়ানার যখন ১৭ বছর বয়স তখনই প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন তিনি একবার বছরে ১০জন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন।তারা তার ব্যক্তিগত শোবার ঘরের কাছে একটি ছাত্রাবাস ভাগ করে নিয়েছিলেন এবং স্থানীয়দের কথা অনুযায়ী যে জিয়ানা সব সময় তার পাশে সাত বা আটজনকে নিয়ে থাকতে পছন্দ করতেন।

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটারে দিলেন বার্তা

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বলেছেন বক্তাং গ্রামটি ওই পরিবারের কারণে “পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ” হয়ে উঠেছে।স্থানীয় মিডিয়া অনুসারে মোট ১৬৭ জন সদস্যের সাথে পরিবারটি বিশ্বের বৃহত্তম, যদিও সেখানে ছানার নাতি-নাতনীকে গণনা করা হয়েছে কিনা তার উপর নির্ভর করছে।

পরিবারের কাজকর্ম দেখভাল করেন চানার প্রথমা স্ত্রী

জিয়োনা চানা পেশায় ছুতোর ছিলেন। একই সাথে এই বৃহৎ পরিবারের মহিলারা কৃষিকাজ করেন এবং পরিবার পরিচালনায় অবদানও রাখেন। চানার প্রথমা স্ত্রী বাড়ির সমস্ত সদস্যের কাজ বিতরণের পাশাপাশি কাজের দিকে নজর রাখেন।

দিনে ৪৫কেজি চাল লাগে

একটি সাধারণ পরিবারে দুই মাস ধরে যে পরিমাণ রেশন থাকে, এই পরিবারের ক্ষুধা মেটাতে প্রতিদিন প্রচুর রেশন ব্যয় হয়। এখানে দিনে ৪৫ কেজি বেশি চাল, ৩০-৪০টি মুরগি, ২৫ কেজি ডাল, কয়েক ডজন ডিম, ৬০ কেজি শাকসবজি প্রয়োজন হয়। এছাড়াও এই পরিবারে প্রতিদিন প্রায় ২০ কেজি ফল খাওয়া হয়।

পরিবারের সদস্যদের নাম মনে রাখা কঠিন

বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের সদস্যদের নাম, তাদের জন্মদিন এবং তাদের অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলি ট্র্যাক করা কতটা কঠিন। এ বিষয়ে চানার বড় ছেলে নুনপারলিয়ানা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন যে পরিবারের সকল সদস্যের নাম মনে রাখা খুব কঠিন । লোকেরা তাদের অনেক বন্ধুর নাম মনে করে, আমরা একইভাবে আমাদের ভাই-বোন এবং নিজের এবং তাদের সন্তানদের নাম মনে করি। হ্যাঁ, জন্মদিনগুলি স্মরণ করা কঠিন, তবে কেউ কেউ এটি মনে রাখে।

Published on: জুন ২৬, ২০২১ @ ১৮:৪৭


শেয়ার করুন