বিরোধীরা অপমান করেছে চৌকিদারেরঃ প্রধামনমন্ত্রী মোদি বললেন-আমি ক্ষমা চাইছি

দেশ লোকসভা ভোট 2019
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ২১, ২০১৯ @ ২২:৫০

এসপিটি নিউজ, নিউ দিল্লি, ২১ মার্চঃ বিরোধীদের আক্রমনকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের ২৫ লক্ষ চৌকিদারের পক্ষ নিয়ে বলেন- ‘চৌকিদার চোর’ বলে বিরোধীরা যেভাবে তাদের অপমান করে চলেছে যাতে দেশেরও অপমান হচ্ছে। বিরোধীদের ভাষা প্রয়োগে দেশজুড়ে চৌকিদারদের অপমানের জন্য তিনি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন এবং বলেন- সমস্ত পুলিশ, সেনা, আধাসেনা এমনকি নিজস্ব নিরাপত্তায় যুক্ত থাকা জওয়ান থেকে শুরু করে চৌকিদারি করা মানুষ অথবা শিক্ষক সকলেই চৌকিদার।

“গরিবি দূর না করা পর্যন্ত চৌকিদার শান্তিতে ঘুমোবে না”

১) তাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠার নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে হতাশা আর নিরাশায় ডুবে থাকা মানুষ এর আগেও এমনটা বলেছে। কিন্তু চৌকিদার নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর কাজ করে চলেছে। তিনি আরও বলেন যে গরিবের উন্নতির জন্য তিনি কাজ করে যাবেন এবং যতদিন দেশ থেকে গরিবি দূর না করতে পারবেন ততদিন এই চৌকিদার শান্তিতে ঘুমোতেও পারবেন না। লাগাতর কংগ্রেস চৌকিদার চোর স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যক্তিগত হয়রানিকে সামনে রেখে নিজের দায়িত্ব পালন করে চলা চৌকিদারদের স্যালুট করতে গিয়ে বলেন- এখানে তাদের সমস্ত অশুভ দিকের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি এবং দেশের চৌকিদারি করার প্রেরণা দিয়ে চলেছেন।

গোটা দেশ জুড়ে আজ চৌকিদার

২) প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন-কিছু মানুষ নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে কোনও চিন্তা-ভাবনা না করেই আজে-বাজে বকছে অথবা গালি-গালাজ দেওয়া শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুসারে বিরোধীদের এত গালিগালাজের পরেও গোটা দেশ আপনাদের পাশে আছে। গর্বের বিষয় এই যে আজ গোটা দেশ চৌকিদার হওয়ার শপথ নিচ্ছে। চৌকিদারি এখন নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার পর্যায়ে উন্নত হয়েছে। চৌকিদারদের সম্বোধন করে তিনি বলেন যে তাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে এবং তাদের ঘরের বাচ্চাদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র, সেনাবাহিনীতে জওয়ান করতে হবে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। কিন্তু একটা কথা স্মরণে রাখতে হবে যে তাদের মনে চৌকিদারীর মনোভাব যেন সর্বদা জাগ্রত থাকে।

মার খেল পাকিস্তান আর দেশে কিছু মানুষ তাদের কাঁদুনি গেয়ে চলেছে

৩) পুলওয়ামা হামলার পর এয়ার স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানরা তো চৌকিদারির সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সকলের ছাতি চওড়া হয়ে গেছে। কিন্তু ছোট-ছোট গোষ্ঠীকে সমর্থন করা মানুষগুলি এটা হজম করতে পারেনি।মার খেল পাকিস্তান আর দেশের ভিতর কিছু মানুষ পাকিস্তানের জন্য কাঁদুনি গেয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন সরাসরি বলেন যে তিনিও দেশের হয়ে চৌকিদারি করে চলেছেন। তিনি এদিন এও বলেন যে দেশের শিক্ষক, ডাক্তার, সেনাবাহিনীর জওয়ান সকলেই কিন্তু তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন, তারা সকলেই চৌকিদার।

Published on: মার্চ ২১, ২০১৯ @ ২২:৫০

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

70 − 65 =