বিজেপিকে ফের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুরঃ একজন তৃণমূল কর্মীর গায়ে হাত পড়লে আপনাদের আমি ছাড়ব না-দেখা হবে রণাঙ্গণে

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল                                                                              ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: জানু ১৩, ২০১৯ @ ২১:১১

এসপিটি নিউজ, কেশিয়াড়ি, ১৩ জানুয়ারিঃ এর আগেও তিনি কেশিয়াড়িতে সভা করে গেছেন। রবিবার আবারও করে গেলেন সেখানে সভা। এদিন আরও বড় করে। এই নিয়ে তিনবার- বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসুর সভা করে যাওয়ার পর। তবে ১৯শে জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি সভা হলেও এদিন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীর গলাতে ঝড়ে পড়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে এক রাশ ক্ষোভ, ঘৃণা, রাগ।বিজেপিকে তাঁর হুঁশিয়ারি-“যদি একজন তৃণমূল কর্মীর গায়ে কাটার আঁচড় লাগে তাহলে আমি কিন্তু আপনাদের ছেড়ে কথা বলব না।দেখা হবে রণাঙ্গণে।”

রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী রবিবার কেশিয়াড়িতে ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি সভা করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়িতে।সভার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর বক্তৃতা জুড়ে ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ। বিশেষ করে গত একুশে জুলাই কলকাতার সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর বিজেপির আক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল এই কেশিয়াড়িতেই। সেই ঘটনা স্মরণ করে ইতিমধ্যেই তিনি একাধিকবার বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেছেন। এদিন আবারও আরও কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন বিজেপিকে।

ভরা সভায় দাঁড়িয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও শুভেন্দু অধিকারীর হুঙ্কার-“কেশিয়াড়িতে চারটি অঞ্চল পেয়েছেন, পঞ্চায়েত সমিতির ২৫টি আসনের মধ্যে ১৩টি পেয়েছেন। তাতেই লম্ফজম্ফ করছেন। ভদ্রভাবে রাজনীতি করুন। সুশান্ত ঘোষ, অনুজ পান্ডে, ডালিম পান্ডের মতো সিপিএমের গুন্ডা নেতাদের ও কিষেণজির মতো দুর্বৃত্তকে সোজা করে দিয়েছি। যদি তৃণমূলের একটা কর্মীর গায়ে কাঁটার আঁচড় পড়ে তাহলে আমি কিন্তু আপনাদের ছেড়ে কথা বলব না। আপনাদের সাথে দেখা হবে রণাঙ্গণে।”

এখানেই থেমে থাকেননি পরিবহনমন্ত্রী। ফের বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন-“আমার দলের নেতারা পাঁচবার ডাকলে আমি একবার আসব।কিন্তু আমার দলের কোনও কর্মীরা গায়ে বিজেপি যদি হাত দেয় তাহলে আমি বারে বারে কেশিয়াড়িতে আসব।”

” বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি- এখানে ধর্ম নিয়ে জাতপাত নিয়ে রাজনীতি হয়নি। এসব করলে বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষ উপযুক্ত জবাব দেবে। বিজেপির নৌকো ফুটো হয়ে গেছে। সেই নৌকোয় কেউ উঠবে না। ২০১৯ সাল বিজেপির ফুটো নৌকো ডুবে যাবে। উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী- অখিলেশ যাদব জোট করেছে। তাই পাটিগণিতের হিসেবে ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ২৭২-এর কাছজে বিজেপি কোনওভাবেই পৌঁছতে পারবে না। তাই নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা ভয় পেয়েছে।কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যের সঙ্গে উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় পারবে না। তাই তারা রাজ্যের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে।”এভাবেই বিজেপিকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন-“আগামী ১৯শে জানুয়ারি ব্রিগেডের সভায় দেশের ২২টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন। থাকবেন-অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য যশবন্ত সিনহা, বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা সহ আরও অনেকেই। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশনেত্রী হিসেবে দেখতে চায়।” এরপর শুভেন্দু মঞ্চে দাঁড়িয়েই স্লোগান তোলেন- “ডাক দিয়েছে মমতা ব্রিগেড ভরাবে জনতা।”

এদিনের সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তর সিংহ হাজরা, জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, জেলার যুব সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি, বিধায়ক দীনেন রায়, প্রদ্যুৎ ঘোষ, আশীষ চক্রবর্তী, বিক্রম প্রধান, পরেশ মুর্মু প্রমুখ।

Published on: জানু ১৩, ২০১৯ @ ২১:১১


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

31 + = 36