বাংলা নবজাগরন ঘটায়, বাংলা পথ দেখায়, বিজেপি এসে দাঙ্গা লাগিয়ে দেয়-বীরভূমে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ৪, ২০১৮ @ ০০:২৯

এসপিটি নিউজ বীরভূম ও ঝাড়গ্রামঃ তিনদিনের জেলা সফরের দ্বিতীয় দিনে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের আমোদপুরে চতুর্থ জঙ্গলমহল উৎসবের সূচনা করেন। এদিনের অনুষ্ঠানের আগে তিনি সতীপীঠ কঙ্কালীতলা দর্শন করেন।এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী তিন তালাক বিল নিয়ে বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মহিলাদের সম্মান দেওয়া আমাদের কাজ, কিন্তু তাই বলে ধর্মীয় অনুশাসনে হস্তক্ষেপ করা আমাদের কাজ নয়। আমরা মেয়েদের পক্ষে। কিন্তু, এই ভুল বিলে মহিলাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি তো দূরের কথা, তারা আরও বিপদে পড়ে যাবেন।এই বিল নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে।

বীরভূমের সভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন,সারা দেশে তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র দল যাদের সংসদে ৩৩ শতাংশ মহিলা সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা সন্তান মানুষ করার জন্য ৭৩১দিন মাতৃত্বকালীন চুটি দিয়ে থাকি। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তোলেন, বলুন তো সতীদাহ প্রথার সংস্কার বাংলা থেকে হয়নি? বাল্যবিবাহ রোধ বাংলা থেকে হয়নি? বিধবা বিবাহ প্রথা বাংলা থেকে চালু হয়নি? বাংলা নবজাগরন ঘটায়। বাংলা পথ দেখায়। বিজেপি এসে দাঙ্গা লাগিয়ে দেয়। এ রাজ্যে বিজেপি ধর্মের নামে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী আগের সিপিএমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি বামেদের মত নাস্তিক নই। আমরা সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করি। আমরা যেমন দুর্গাপুজো করি তেমনি ইদ উদযাপন করি। আমি বড়দিনে চার্চেও যাই।

এদিনের সভার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান কঙ্কালীতলায় সতীপীঠে। বীরভূমে তারাপীঠের উন্নয়েনে অনেক টাকা কজচ হচ্ছে অথচ এখানকার জন্য কি কিছুঈ হবে না, এমন প্রশ্ন এতদিন ধরে উঠছিল, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রশ্নেরও জবাব দিয়ে গেলেন। দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে সেখানে পরিদর্শনকালে তিনি জানিয়ে দিয়ে যান-উন্নয়ন এখানেও হবে। হবে গেস্ট হাউস, ক্যাফেটেরিয়া, শৌচালয়ও। মূল পুকুরটিরও সংস্কার করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যায় তাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে করমর্দন করতে।

বীরভূমের মঞ্চ থেকে যখন মুখ্যমন্ত্রী চতুর্থ বর্ষ জঙ্গলমহল উৎসবের সূচনা করেন ঠিক সেই সময়ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গনে এই উৎসবের সূচনা করেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত ও চূড়ামণি মাহাত। ছিলেন জেলার বিধায়করা।১০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। মেলা প্রাঙ্গনে বিভিন্ন দফতরের ৪২টি স্টল র‍য়েছে।থাকছে এখানকার হস্তশিল্প প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে জঙ্গলমহলের ২৪টি ব্লকের ৪৮০টি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীকে ধামসা-মাদল দেওয়া হবে। পরিবেশিত হবে আদিবাসী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর নৃত্যগীত। এছাড়াও পরিবেশিত হবে রণপা নৃত্য, পাতা নাচ, ঝুমুরগান, ছাগল নৃত্য, ভাদু-টুসু, ঘোড়া নাচ, ছৌ-নাচ, করন নাচ, বাহা নাচ। ছবি সৌজন্য মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজ ও রামপ্রসাদ সাউ  

Published on: জানু ৪, ২০১৮ @ ০০:২৯


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 2 = 1