বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বের পথ ধরে ভারতীয় গুণীজনদের ‘ মুক্তিযোদ্ধা মৈত্রী সন্মাননা ‘ প্রদান

Main দেশ বাংলাদেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ১২, ২০২১ @ ১১:৩৪

এসপিটি নিউজ:   কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে গত 6 ফেব্রুয়ারি ভারতীয় গুণীজনদের মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সন্মাননা’ প্রদান করেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং সেদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সহ 1972 সালের 6 ফেব্রিয়ারি বঙ্গবন্ধুর কলকাতার ব্রগেড প্যরেড গ্রাউন্ডে ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এই পুরস্কার তুলে দেন।অনুষ্ঠানটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই-কমিশন আয়োজন করেছিল।

1971 সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিককে সম্মানিত করেন।সম্মানের ক্রেস্ট তুলে দেওয়ার সময় ডঃ হাসান মাহমুদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি লাইন স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব চিরকাল থাকবে।ড. হাসান মাহমুদ অনুষ্ঠানে বলেন যে 1972 সালে সেদিন শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের বিজয় উদযাপনটি সম্পন্ন করেছিল।

কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল 1971 সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 1972 সালের 6  ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।যেখানে সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন –

  • “আমার বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে। আমার বাংলা আজ মুক্ত হয়েছে। বাংলার ছেলেরা বাংলার মায়েরা বাংলার কৃষক বাংলার বুদ্ধিজীবী যারা সংগ্রাম করেছে … আমি জানতাম আমার বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।
  • … তোমরা যদি আমাকে মেরে ফেলে দাও তাতে আমার আপত্তি নেই কিন্তু মৃত্যুর পরে আমার লাশটা বাঙালির কাছে দিয়ে দিও; এই একটা অনুরোধ তোমাদের কাছে রেখে গেলাম।
  • তবে বলে রাখি, বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, বাংলাদেশ স্বাধীন থাকবে। বাংলাদেশকে কেউ দমাতে পারবে না।
  • জানতাম না আমার ফাঁসির হুকুম হয়ে গেছে। আমার জন্য কবর খোড়া হয়েছে। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম – বলেছিলাম, আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান একবার মরে দুইবার মরে না।
  • আমি বলেছিলাম… আমার বাঙালি জাতিকে অবদমিত হতে দেব না। তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে যাব না। যাওয়ার সময় বলে যাব- জয় বাংলা, সাধের বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার প্রাণ।

এদিনের অনুষ্ঠানে কবি গোবিন্দ হালদার, কিংবদন্তি গায়ক মান্না দে এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিন্ধার্থে শঙ্কর রায় প্রমুখের পরিবারকে মন্ত্রী ড. হাসান ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করেন।

Published on: ফেব্রু ১২, ২০২১ @ ১১:৩৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

51 + = 54