বাংলাদেশে শারদীয়া দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি: এবছর ৩০ হাজারের বেশি পুজো মণ্ডপ

Main দেশ ধর্ম বাংলাদেশ
শেয়ার করুন

আতাউর রহমান

Published on: সেপ্টে ২২, ২০১৮ @ ২০:৪০

এসপিটি প্রতিবেদন, ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর : ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এই চেতনার বিকাশের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল ধারা আরও শক্তিশালী হচ্ছে।’বর্তমানে পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ হচ্ছে একটি অন্যতম প্রধান দেশ। এখানে সব ধর্মের প্রতি সর্ব ধর্মের মানুষের যে সম্প্রীতি তা বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবগুলিতেই প্রমাণ মিলে। ‘বারো মাসে তেরো পর্বণ’ কথাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য বাংলাদেশে প্রচলিত থাকলেও শারদীয়া বা দুর্গাপুজোই বেশি আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয়। সারাদেশে উৎসবের আঙ্গিকে শারদীয়া দুর্গোৎসব উদযাপনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিরোধ করার আহ্বানও জানানো হয় বাংলাদেশের সব ধর্মীয় উৎসবের সময়। গত বছর বাংলাদেশে ত্রিশ  হাজার ৭৭টি মণ্ডপে দুর্গাপুজো শুরু হয়। গতবারের চেয়ে এবার আরো বেশি মণ্ডপ এই পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কোথায় কত পুজো

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুজোর অনুষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেখে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়ে থাকে। এবারও তাই করা হবে। বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদ জানায়, গত বছর ৩০ হাজার মণ্ডপে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছর ১হাজার ৬৮৪টি পু্জো মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে চট্রগ্রাম
জেলায়। এছাড়া, দিনাজপুর জেলায় ১হাজার ২১৯ টি, গোপালগঞ্জে ১হাজার১৫৪ টি এবং টাঙ্গাইলে ১ হাজার ১৫০টি পুজো মণ্ডপে পুজো অনুষ্ঠিত হবে। এবার ঢাকা বিভাগে ৬ হাজার ৩৯৩টি, বরিশাল বিভাগে ১ হাজার ৬০১টি, রাজশাহীতে ৩ হাজার ৩১৫টি, খুলনায় ৪ হাজার ৬৩২টি, ময়মনসিংহে ১ হাজার ৮৫৪টি, চট্রগ্রাম বিভাগে ৪ হাজার ১৫০টি, রংপুর বিভাগে ৫ হাজার ১০টি সিলেটে ২ হাজার ৪৪০টি পুজো মণ্ডপে পুজো অনুষ্ঠিত হবে।

পুজোয় সরকারি বরাদ্দ

সরকার প্রতিবছরের ন্যায় এবার পুজোমণ্ডপ প্রস্তুত করতে বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠুভাবে পুজোর অনুষ্ঠান এবং পুজোর মণ্ডপ তৈরিতে এই বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শরৎ্কালে হয় বলে একে বলা হয় শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ১৫ই অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে পাঁচ দিনব্যাপী পুজোর প্রস্তুতি শুরু হবে।  মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয় প্রতিমা তৈরি, পোশাক-অলঙ্কার, আসন -কত রকমের কাজ। নাড়ু-মিষ্টি তৈরির কাজ তো আছেই। সব
মিলে এক মহাযজ্ঞ হয়ে থাকে বাংলাদেশের পুজোয়।

দাম পান না প্রতিমা শিল্পীরা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সবুজ বৃক্ষরাজির মধ্যে রমনা কালী মন্দিরের প্রতিমা তৈরির ইতিহাস অনেক আগের। ৭১ সালে পাক বাহিনী এখানেই প্রথম হামলা চালায়। নড়াইল সদরের রঘুনাথপুর উপজেলার প্রতিমা শিল্পীরা জানান, ‘একটি প্রতিমা তৈরি করতে ৩-৪ জনের একটি দলের ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগে। এক একটি দল পুজোর সময় ৭- ৮টি থেকে শুরু করে ১৪-১৫টি প্রতিমা তৈরি করে থাকেন।শিল্পী অসীম পাল জানান, একটি প্রতিমা তৈরি করে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পাই আমরা। তবে বর্তমান বাজারে এ কাজ করে জীবন যাপন করা অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য। আগে এ পেশায় অনেকেই থাকলেও বর্তমানে রং, চুন এবং চুলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বপুরুষের এ পেশা ছাড়তে অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন। রমেশ পাল বললেন, ‘পুজোর আগে আমরা প্রতিমা তৈরির কাজ করি। বাকি সময় মাঠে কৃষি কাজ করে সংসার চালাই।’
নড়াইলে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হয়ে থাকে। জেলা পুজো উদযাপন কমিটি জানায়, জেলায় প্রায় ৬০০ মন্দিরে দুর্গাপুজো উৎসব উদযাপিত হবে। পুররসভার মাছিমদিয়া এলাকার নির্মল পাল জানান, তার স্ত্রী, সন্তানসহ পাঁচজনের সংসার। প্রতিবছরে দুর্গাপুজোতে প্রতিমা তৈরি করে যে
টাকা পান তা দিয়ে ছেলে- মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ খেয়ে না খেয়েও সংসার চালাতে হয়। নির্মল বললেন, ‘আমাদের পরিবারে আমি ছাড়া আর কেউ এ কাজের সঙ্গে জড়িত নেই। অনেক কষ্টে পরিবার নিয়ে বেঁচে আছি।’ একই এলাকার সন্তোষ পাল, মুকুন্দ পাল, নারায়ণ পাল বললেন, আমরা একসময় মাটির জিনিসপত্র তৈরির কাজ করতাম। মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিলের চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন আর এ কাজ করি না।

দেবী দুর্গা নিয়া যা বললেন প্রতিমা শিল্পীরা

তারা বলেন, দেবী দুর্গা হলেন শক্তির রূপ, তিনি পরমব্রহ্ম। অনান্য দেব দেবী মানুষের মঙ্গলার্থে তাঁর বিভিন্ন রূপের প্রকাশ মাত্র। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুসারে দেবী দুর্গা ‘দুর্গতিনাশিনী’ বা সকল দুঃখ-দুর্দশার বিনাশকারিনী। পুরাকালে দেবতারা মহিষাসুরের অত্যাচারে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়েছিল। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও
মহেশ্বর’র শরীর থেকে আগুনের মত তেজরশ্মি একত্রিত হয়ে বিশাল এক আলোক পুঞ্জে পরিণত হয়। ঐ আলোক পুঞ্জ থেকে আর্বিভূত এক দেবী মূর্তি। এই দেবীই হলেন দুর্গা। দিব্য অস্ত্রে সজ্জিত আদ্যাশক্তি মহামায়া অসুর কুলকে একে একে বিনাশ করে স্বর্গ তথা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে শান্তি স্থাপন করেন। তারা আরও বলেন, দেবী দুর্গা ত্রি-নয়ণা বলে তাঁকে ‘ত্রৈম্বক্যে’ বলা হয়। তাঁর বাম চোখ হলো বাসনা (চন্দ্র), ডান চোখ কর্ম (সূর্য) ও কেন্দ্রীয় চোখ হলো জ্ঞান (অগ্নি)। দুর্গার দশ বাহুতে যে দশটি অস্ত্র রয়েছে, সেই অস্ত্রসমূহও বিভিন্ন প্রতীকের ইঙ্গিতবাহী। শঙ্খ ‘প্রণব’ বা ওঙ্কার ধ্বনির অর্থবহতা নির্দেশ করে। তীর ধনুক দেবীর শক্তিমত্তার প্রতীক। মায়ের হস্তে ধৃত বজ্রাগ্নি হলো ভক্তের সঙ্কল্পের দৃঢ়তা। দুর্গা’র হাতের পদ্ম বা ‘পঙ্কজ’ অর্থ হলো পদ্ম যেমন কাদামাটির ভেতর হতে অনাবিল হয়ে ফোটে, তেমনি দেবীর উপাসকরাও যেন লোভ-লালসার জাগতিক কাদার ভেতর হতে আত্মার বিকাশ ঘটাতে পারে। দেবীর তর্জনীতে ধরা সুদর্শন চক্র তাঁর শুভতার লালন ও অশুভের বিনাশের ইচ্ছার প্রকাশ। দুর্গার হাতে ধরা তলোয়ার জ্ঞানের ইঙ্গিত ও ত্রিশুল হলো সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ গুণের প্রকাশ। হিন্দু শাস্ত্র মতে, দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও ভয়-শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা।

দুর্গা পুজোর প্রচলন

দুর্গা পুজো কবে, কখন, কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল তা জানা যায় না। অনেকে বলে থাকেন, ভারতের দ্রাবিড় সভ্যতায় মাতৃতান্ত্রিক দ্রাবিড় জাতির মধ্যে মাতৃদেবীর পূজার প্রচলন ছিল। সিন্ধু সভ্যতায় (হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো সভ্যতা) দেবীমাতা, ত্রিমস্তক দেবতা, পশুপতি শিবের পুজোর প্রচলন ছিল। দুর্গা শিবের অর্ধাঙ্গিনী সে হিসাবে অথবা দেবী মাতা হিসাবে পুজো হতে পারে। তবে কৃত্তিবাসের রামায়নে আছে, শ্রীরাম চন্দ্র কালিদহ সাগর বাংলাদেশের বগুড়ার থেকে ১০১ টি নীল পদ্ম সংগ্রহ করে সাগর কূলে বসে বসন্তকালে সীতা উদ্ধারের জন্য সর্বপ্রথম শক্তি তথা দুর্গোৎসবের (বাসন্তি পূজা বা অকাল বোধন) আয়োজন করেছিলেন। মার্কেন্ডীয় পুরাণ মতে, চেদী রাজবংশের রাজা সুরাথা খ্রীষ্ট্রের জন্মের ৩০০ বছর আগে কলিঙ্গে (বর্তমানে উরিষ্যা) নামে দুর্গা পুজোর প্রচলন করেছিল। যদিও প্রাচীন উড়িষ্যার সাথে নেপালের পুজোর কোন যোগসূত্র আছে কিনা জানা যায়নি।

পুজো সম্পর্কে ইতিহাস

পূজা  সম্পর্কে ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়, মধ্য যুগে বাংলা সাহিত্যে দুর্গাপুজোর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ১১শ শতকে অভিনির্ণয়-এ, মৈথিলী কবি বিদ্যাপতির দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনীতে দুর্গা বন্দনা পাওয়া যায়। বঙ্গে ১৪শ শতকে দুর্গা পূজোর প্রচলন ছিল কিনা ভালভাবে জানা যায় না। ১৫১০ সালে কুচ বংশের রাজা বিশ্ব সিংহ কুচবিহারে দূর্গা পূজার আয়োজন করেছিলেন। ১৬১০ সালে কলকাতার বারিশার রায় চৌধুরী পরিবার প্রথম দুর্গা পুজোর আয়োজন করেছিল বলে ধারণা করা হয়। ১৭৯০ সালের দিকে এই পূজার আমেজে আকৃষ্ট হয়ে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়াতে বারোজন বন্ধু মিলে টাকা পয়সা (চাঁদা) তুলে প্রথম সার্বজনীন ভাবে আয়োজন করে বড় আকারে দুর্গা উৎসব। যা বারোইয়ার বা বারবন্ধুর পুজো নামে ব্যাপক পরিচিতি পায়। আধুনিক দুর্গা পুজোর প্রাথমিক ধাপ ১৮ম শতকে নানা বাদ্যযন্ত্র প্রয়োগে ব্যক্তিগত, বিশেষ করে জমিদার, বড় ব্যবসাযী,  রাজদরবারের রাজ কর্মচারী পর্যায়ে প্রচলন ছিল। পাটনাতে ১৮০৯ সালের দুর্গা পুজোর ওয়াটার কালার ছবির ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে। উড়িষ্যার রামেশ্বরপুরে একই স্থানে ৪০০ শত বছর ধরে সম্রাট আকবরের আমল থেকে দুর্গা পুজো হয়ে আসছে। ১৯১০ সালে সনাতন ধর্মউৎসাহিনী সভা ভবানীপুরে বলরাম বসু ঘাট লেনে এবং একই জেলায় অন্যান্যরা রামধন মিত্র লেন, সিকদার বাগানে একই বছরে ঘটা করে প্রথম বারোয়ারী পুজার আয়োজন করে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে দুর্গা স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে জাগ্রত হয়।

বিশ্বের অন্যতম সেরা উৎসব

বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এই পুজো ঐতিহ্যবাহী বারোয়ারি বা কমিউনিটি পুজো হিসাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। আর স্বাধীনতার পর এই পুজো পৃথিবীর অন্যতম প্রধান উৎসবের মর্যাদা পায়। সরকারি বা জাতীয়ভাবে এই উৎসবকে দূর্গা পূজা বা দূর্গা উৎসব হিসাবে অভিহিত করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় এটাকে শরৎ কালের বার্ষিক মহা উৎসব হিসাবে ধরা হয় বলে একে শারদীয় উৎসবও বলা হয়। কার্তিক মাসের দ্বিতীয়দিন
থেকে সপ্তমদিন পর্যন্ত এই উৎসবকে মহালয়া, ষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও দশমী নামে পালন করা হয়। অকালে বা অসময়ে দেবীর আগমন বা জাগরণ বলে বসন্তকালের এই উৎসবকে বাসন্তি পুজো বা অকালবোধনও বলা হয়। দুর্গা পুজো ভারতে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড,উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকভাবে উৎযাপন করা হয়। সেখানে ৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়। পশ্চিবঙ্গ ও ত্রিপুরায় (যেখানে
বাঙালি হিন্দুরা ব্যাপক সংখ্যায় বসবাস করে) সবচেয়ে বড় সামাজিক, ধর্মীয় উৎসব হিসাবে পালিত হয়। এ
ছাড়াও পূর্ব ভারতের বা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, হুগলি, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, লাটাগুড়ি, বাহারাপুর, জলপাইগুড়ি এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল যেমন, আসাম, বিহার, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাট, পাঞ্জাব, কাশ্মীর, অন্ধ্প্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়–, কেরালায় ঘটা করে এই উৎসব পালন করা হয়। নেপালে ও ভুটানেও স্থানীয় রীতি-নীতি অনুসারে প্রধান উৎসব হিসাবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশের সাতক্ষীরার কলারোয়ার ১৮ শতকের মঠবাড়িয়ার নবরত মন্দিরে (১৭৬৭) দুর্গা পুজো হত বলে লোকমুখে শোনা যায়। ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বরে আছে দুই ধরনের স্থাপত্যরীতি মন্দির। প্রাচীনতমটি পঞ্চরত্ন দেবী দুর্গার যা সংস্কারের ফলে মূল চেহারা হারিয়েছে। মন্দিরের প্রাচীন গঠনশৈলী বৌদ্ধ মন্দিরের মত। ধারণা করা হয়, দশম শতকে এখানে বৌদ্ধ মন্দির ছিল যা পরে সেন আমলে হিন্দু মন্দির হয়েছিল এবং ১১শ বা ১২শ শতক থেকে এখানে কালী পুজোর সাথে দুর্গা পুজোও হত।  ইতিহাসবিদ দানীর মতে, প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর আগে রমনায় কালী মন্দির নির্মিত হয়েছিল এবং এখানেও কালী পুজোর সাথে দুর্গা পুজোও হত। ছবি-ঢাকেশ্বরী কালীবাড়ি, ঢাকা
লেখক পরিচিতি- সাংবাদিক ও গবেষক, ঢাকা, বাংলাদেশ

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + 9 =