বঙ্গবন্ধু বাঙালি ভাষা ও সংস্কৃতিভিত্তিক জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেন-বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার

Main দেশ বাংলাদেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ২২, ২০২৩ @ ১৭:৪৫

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২২ ফেব্রুয়ারি: গতকাল কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। সেই উপলক্ষ্যে প্রভাতফেরি বের হয় সকালে। বিকেলে আলোচনা সভা ও বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস তাঁর বক্তব্যে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।তিনি বলেন যে বঙ্গবন্ধু বাঙালি ভাষা ও সংস্কৃতিভিত্তিক জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেন।

২১শে ফেব্রুয়ারি মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর গুরুত্ব তুলে ধরতে এদিন বিকেলে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস তাঁর বক্তব্যে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন যে বঙ্গবন্ধু বাঙালি ভাষা ও সংস্কৃতিভিত্তিক জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নেতৃত্বেই ‘৫২-এর প্রেরণায় আমরা পেয়েছিলাম ‘৭১ এর স্বাধীনতা। জাতিসংঘ কর্তৃক ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় নেতৃত্ব প্রদানের জন্য উপ-হাইকমিশনার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।উপ-হাইকমিশনার পৃথিবীর সকল মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন যে মাতৃভাষা চর্চার মাধ্যমে একটি জাতি, একটি সমাজ অগ্রসর হতে পারে। আলোচনায় অন্যান্য বিশিষ্টরাও অংশ নেন।

এর আগে একুশের শুরুতে উপ-হাইকমিশন চত্বরে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।এরপর ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ১ মিনিট নিরবতা পালন, মিশন প্রাঙ্গনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আয়োজিত প্রভাতফেরি শুরু হয়। প্রভাতফেরিটি ৩নং সোহরাওয়ার্দী এভিনিউস্থ ‘বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্র’ থেকে শুরু হয়ে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিং পার হয়ে এ.জে.সি বোস রোড ফ্লাইওভারের নীচের রাস্তা দিয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন চত্বরে এসে শেষ হয়। এ প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করেন কলকাতার কবি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীগণ এবং বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ।

Published on: ফেব্রু ২২, ২০২৩ @ ১৭:৪৫


শেয়ার করুন