ফিল্ম নির্মাতা এই গোলকিপার বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই স্মরণীয় করে রেখে গেলেন এই ছবি

খেলা বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: জুন ১৭, ২০১৮ @ ১৬:৪৫

এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ চিরদিন কেউ সেরা থেকে না। থাকা অসম্ভব। এক দিন না একদিন কারও কাছে সেই সেরাকে পরাজিত হতেই হয়।সারা বিশ্বে আমাদের ভারত শুধু নয় এই উপ-মহাদেশের অলিতে-গলিতে কান পাতলে শোনা যাবে শুধু মেসি-মেসি-মেসি। মেসি যে এখন পড়ন্ত বেলার সূর্য সেটা কি মেসি ভক্তরা বুঝতে চাইবে। তাই তাদের বোঝানোর দায়িত্ব কাউকে নিতে হবে না, সেটা মাঠে নেমে মেসিকে যোগ্য জবাব দিয়ে তাঁর কোটি কোটি গুণমুগ্ধ ভক্তদের বুঝিয়ে দেবে। সেই কাজও শুরু হয়ে গেল রাশিয়ায় ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮ আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ড ম্যাচের ভিতর দিয়েই। আর সেই অসম্ভব কে স্মভব করে দেখালেন আইসল্যান্ডের গোলকিপার হ্যান্স হ্যালডরস্যন।অবসর সময় যিনি ফিল্মনির্মাণের কাজে ব্যস্ত থাকেন সেই ফিল্মনির্মাতা লিওনেল মেসির পেনাল্টি আটকে দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখে ফেললেন।

আসুন আইসল্যান্ডের এই গোলকিপারের সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।আইসল্যান্ডের এই গোলকিপার হ্যালডরস্যনের জন্ম ১৯৮৪ সালের ২৭ এপ্রিল। উচ্চতা ৬ফুট ৪ ইঞ্চি। বর্তমানে তিনি ড্যানিশ ক্লাব র‍্যান্ডার্স এফসি-র সঙ্গে তিন বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ।

২০১১ সালে হ্যালডরস্যনের দেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক ঘটে। ২০১২ সালে ইউরো কাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচে সাইপ্রাসের বিরুদ্ধে একটি গোলও খাননি। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ কোয়ালিফাই করার পর থেকে তিনি হয়ে যান আইসল্যান্ডের প্রধান গোলকিপার।

হ্যালডরস্যনের আরও একটা বড় পরিচয় আছে-তিনি হলেন আইসল্যান্ডের একজন ফিল্মনির্মাতাও। খেলার অবসরে তিনি ছবি তৈরি করে থাকেন। ২০১২ ইউরোভিশন গান প্রতিযোগিতায় তিনি ভিডিও অ্যালবাম তৈরি করেন।কিন্তু খেলার চাপে তিনি ফিল্মনির্মাতার কাজ থেকে অব্যাহতি নেন। তবে সাগাফিল্ম তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে যেদিন তিনি খেলা থেকে অবসর নেবেন সেদিন তাঁর চাকরি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ আবার তিনি ফিল্ম নির্মাণের কাজে নিজেকে নিযুক্ত রাখতে পারবেন। সাড়ে চার বছর আগেও তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান ছবি নির্মাতা। ২০১৪ সালে যখন তিনি ফিল্ম বানান তখন তাঁর বয়স ছিল ২৪ বছর।

“বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পেনাল্টি আটকে দেওয়া স্বপ্নের মতো ব্যাপার। এটা এমন এক অভিজ্ঞতা যে, আমি অনুমান করেছি পেনাল্টি আমাকে সেভ করতেই হবে। আমি ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারার জন্যই এভাবে পেনল্টি সেভ করা সম্ভব হয়েছে।” স্পার্টাক স্টেডিয়ামে খেলা শেষ হওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে  তাঁর বিস্ময়কর পারফরম্যান্সের পরে একথা বলেন হ্যালডরস্যন।

“সত্যি কথা বলতে কি, এটা আমি কখনোই বিশ্বাস করতে পারিনি যে আমি এমন অসম্ভব কিছু করেছি। রেফারির ফাইনাল বাঁশি বাজানোর আগে আমি শান্ত হতে পারিনি, শুধু ভাবছি শেষ পর্যন্ত এমনটা থাকবে তো? এরপর রেফারির ফাইনাল হুঁইশল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বাস করলাম, হ্যাঁ, আমরা পেরেছি।” বলেন হ্যালডরস্যন।

মেসির শট আটকানোর বিষয়ে বলতে গিয়ে হ্যালডরস্যন বলেন, “”আমি প্রস্তুত ছিলাম। মেসির মারা এমন অনেক পেনাল্টি শটের ব্যাপারে এমি একটা হোমওয়ার্ক করে নিয়েছিলাম। তিনি যেখানেই চান সেখানেই তিনি বলে লাথি মারতে পারেন, কিন্তু আমারও দৃঢ় অনুভূতি ছিল যে তিনি এই কোণ নির্বাচন করবেন। আর সেখান দিয়েই বল মারবেন। আমি সেটা আগে থেকে অনুমান করে নিয়েছিলাম। তারপর তো সবটাই স্বপ্ন সত্যি হওয়ার গল্প।”

Published on: জুন ১৭, ২০১৮ @ ১৬:৪৫

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 13 = 23