প্রথম প্রহরে নীরবতা আর শ্রদ্ধায় স্মরণ অমর একুশকে, ঢাকা শহর জুড়ে শুধু বাংলার ধ্বনি

বাংলাদেশ
শেয়ার করুন

অনিরুদ্ধ পাল, ঢাকা

Published on: ফেব্রু ২১, ২০১৮ @ ০২:১৬

এসপিটি নিউজ, ২০ ফেব্রুয়ারিঃ দেখতে দেখতে কেটে গেল  ৬৬ বছর। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তারিখটি বাঙালি আজও স্মরণে রেখেছে। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরেই আমার সোনার বাংলাদেশ নীরবতা আর শ্রদ্ধায় স্মরণ করল অমর একুশকে। শ্রদ্ধা জানাল ভাষা শহীদদের। সম্মান জানাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে। এদিন রাত ১২টা বাজার আগেই গোটা ঢাকা শহর নীরবতায় স্তব্ধ হয়ে যায়। ভাষা শহীদদের স্মরণ করতে সকলে শহীদ মিনারমুখী হন। সর্বপ্রথম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ পুষ্প স্তবক দিয়ে ভাষ শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এরপর একই ভাবে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একে একে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে দেশের নানা সংগঠন পুষ্প স্তবক দিয়ে শহীদদের স্মরণ করেন।

আজ সকাল থেকেই সারা বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয়ে যাবে অমর একুশে নিয়ে নানা অনুষ্ঠান। রাত থেকেই তার প্রস্তুতি শুরুও হয়ে গেছে। দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ এসছে বাংলাদেশে।

একদিন আগে থেকেই কিন্তু বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয়ে গেছে অমর একুশকে স্মরণ করা। যখন ঊর্দু ভাষাকে বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেদিন বাঙালির প্রাণের ভাষা হৃদয়ের ভাষা মাতৃভাষাকে জাতীয় ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ। এজন্য সেদিন তাদের বন্দুকের নলের নিশানা হতে হয়েছিল। সেদিন ঢাকার রাজপথ সেইসব বাঙালি ভাষাপ্রেমী ছাত্রদের শ্রীরের রক্তে রাঙা হয়ে গেছিল।

প্রাণের বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষার স্বীকৃতি মেনে নিয়েছিল পাকিস্তান।তারপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ পালন করে আসছে এই দিনটিকে। একজন ভারতীয় বাঙালি হিসেবে এবার বাংলাদেশে উপস্থিত থেকে অনেক কথা মনে আসছিল। আমাদের দেশেও এই দিনটি ইদানীং ঘটা করে কোনও কোনও জায়গায় পালিত হয়। তবে তা বিচ্ছিন্নভাবে।

এখানে না এলে বুঝতে পারতাম না এই দিনটির তাৎপর্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে  কতখানি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই  ঢাকা শহরের চারিদিকে মাইকে বাজতে শুরু করেছিল ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি’……। আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল বাংলা গানের সুর। যে সুরে প্রাণের টান আছে। যে সুরে বাঙালির সংস্কৃতির ঐতিহ্য ছড়িয়ে আছে। রাস্তায়-অলিতে-গলিতে ছোট ছেলে-মেয়ে থেকে বয়স্ক সকলেই এদিন বাংলা ভাষা নিয়ে অনুষ্ঠান করেছে। যা একজন বাঙালি হিসেবে আমাকে গর্বিত করেছে।

শুধু একটা কথাই মনে হয়েছে বাংলাদেশ পারলেও আমরা কেন আমাদের প্রাণের মাতৃভাষাকে সেভাবে সম্মান জানাতে পারছি না!

Published on: ফেব্রু ২১, ২০১৮ @ ০২:১৬


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + = 17