সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: নভে ৩, ২০১৮ @ ২০:৪১
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ৩ অক্টোবরঃ যখন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে বিজেপি তাদের সংগঠন মজবুত করছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কর্মীদের সঙ্ঘবদ্ধ করছে ঠিক সেই সময় ঐক্যে ফাটল ধরল। জেলা বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে আগ্রাসী মনোভাব আর বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনে দলের রাজ্য সভাপতির কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়ে পদ ও দল থেকে সরে দাঁড়ালেন সহ সভাপতি পশুপতি দেব সিংহ। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিজেপির এমন কোন্দলে জেলা রাজনীতির চিত্রে আদৌ কোনও প্রভাব পড়বে কিনা তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক মহলে।
শনিবার মেদিনীপুরে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিতকুমার দাসের হাতে পদত্যাগ পত্র তুলে দেন পশুপতিবাবু।অভিযোগপত্রটি তিনি জেলা সভাপতির মাধ্যমে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে প্রেরণ করলেন বলে জানিয়েছেন। সেখানে তিনি যা লিখেছেন তা তুলে ধরে এদিন তিনি বলেন, “জেলা সভাপতির আগ্রাসী মনোভাব আর বিশ্বাসঘাতকতা আমাকে আঘাত করেছে। এভাবে দল করা যায় না। যাদের মন্ডলের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তারা সকলেই নতুন। পুরনোদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে অশান্তি আর প্রতি নিয়ত সঙ্ঘর্ষ হচ্ছে। এসবে প্রতিবাদ করেও কোন ও কাজ হয়নি। আমি যদি দলে থেকে দলের কাজই করতে না পারি তাহলে সেই দলে থেকে পদে থেকে কি করব। তাই আমি পদত্যাগ করলাম।”
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশুপতিবাবু তৃণমূলের কাবেরী চ্যাটার্জীর কাছে সামান্য ভোটে হেরে যান। জঙ্গলমহলে বিজেপির লড়াকু নেতা হিসেবে নাম করেছিলেন পশুপতিপ্রসাদ সিংহ। গোয়ালতোড়, গড়বেতা, শালবনী, চন্দ্রকোনা রোড এবং লালগড় থানা এলাকায় বিজেপির জনপ্রিয় নেতা ছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এমন একটা সময়ে পশুপতিবাবুর দল থেকে সরে দাঁড়ানোর খবরে বিজেপির মধ্যে তো বটেই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কাছেও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আগামিদিনে তিনি নতুন কোনও দলে নাম লেখাবেন নাকি রাজনীতি থেকেই নিজেকে সরিয়ে নেবেন সেই বিষয়টির জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে পশুপতিবাবু জানান। কারণ, তিনি এখন রাজ্য নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছেন। তারা যদি তাকে বিশেষ কোনও দায়িত্ব দিয়ে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন আর তাতে যদি তার সম্মান থাকে তবে অবশ্যই তিনি তারঁর সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।
Published on: নভে ৩, ২০১৮ @ ২০:৪১