Published on: জানু ২৪, ২০১৮ @ ২০:৩১
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ এখনও পর্যন্ত আমেরিকার উষ্মা প্রকাশ ও নির্দেশের পরও পাকিস্তান তাদের দেশে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসীবাদীদের কোনওভাবেই দমন করছে না। ক্ষুব্ধ আমেরিকা পাকিস্তানের সন্ত্রা্সী ঘাঁটিতে বোমাবাজি শুরু করেছে। ২৪ জানুয়ারি আমেরিকা ড্রোন দিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কে বোমা বিস্ফোরণ করে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, এই হামলায় হাক্কানি নেটওয়ার্কের তিন কমান্ডার মারা গেছেন। ড্রোন হামলার মাধ্যমে আমেরিকা ক্রমাগত পাকিস্তানে সন্ত্রাসীবাদীদের উপর হামলা করছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ড্রোন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র জঙ্গিদের ডেরায় ছোঁড়া হয়েছে, যেখানে কম্যান্ডার আহসান আক্কা খোরে নিহত হয়েছে।
এই ড্রোন হামলা পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান সীমান্তের শানাকিলিতে হামলা হয়েছে। এর আগেই এক হামলায় একজন আহত হন। ১৭ জানুয়ারির আগে আফগানিস্তানে বোমা হামলা হয়, যার মধ্যে অনেক সন্ত্রাসী নিহত হয়। যে জায়গাটি হামলা হয়েছিল সেটি পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে খুব কাছাকাছি ছিল।
উল্লেখযোগ্যভাবে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সাম্প্রতিক বোমা বিস্ফোরণের পর হোয়াইট হাউস পাকিস্তানকে সতর্ক করে। হোয়াইট হাউস মুখপাত্র সারা স্যান্ডার্স পাকিস্তানকে জানিয়ে দিয়েছিল যে তারা যেন সন্ত্রাসবাদীদের তাদের জমি ব্যবহার করতে না দেয়।
এ মাসের শুরুতে, ফাতায় একটি সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় গুরুতর আহত হন একজন। আরেকটি হাক্কানি জঙ্গি ডিসেম্বর মাসে নিহত হয়। একটি সন্দেহভাজন মার্কিন মধ্যে ২৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানে ড্রোন হা্মলায় আরও এক হাক্কানি জঙ্গি নিহত হয়েছিল।
যদিও জঙ্গিদের আশ্রয়ের কথা অস্বীকার করে ইসলামাবাদ। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তানের বিপুল আত্মত্যাগের প্রতি ওয়াশিংটন সম্মান দেখাচ্ছে না বলে দোষারোপ করেছে পাকিস্তান।
গত দশকে, আমেরিকার প্রায় সব ড্রোন হামলা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সীমান্ত এলাকায় সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু কিছু পাকিস্তানি কর্মকর্তারা আমেরিকার এমন আচরনে ভীত যে, আহামিদিনে এই হামলা এবার উপজাতিদের এলাকার বাইরে শুরু হবে।
আফগানিস্তানে ১৬বছরের যুদ্ধের সময় থেকে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। বিশেষ করে ২০১১ সালে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে আমেরিকার বিশেষ বাহিনীর হাতে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর সম্পর্কের আরও অবনতি হয়।
Published on: জানু ২৪, ২০১৮ @ ২০:৩১