পশুখাদ্য মামলায় লালুকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা ঘোষণা সিবিআই আদালতে

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: জানু ৬, ২০১৮ @ ২৩:১৩

রাঁচি, ৬ জানুয়ারি (পিটিআই): পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত সিবিআইয়ের একটি বিশেষ আদালত আজ রাস্ট্রীয় জনতা দল প্রধান লালু প্রসাদ যাদবকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

সিবিআই আদালতের বিচারক শিব পাল সিং আজ ৬৯বছর বয়সী লালুর সাজা ঘোষণা করেন। এটি দ্বিতীয়বার যে তিনি পশু খাদ্য মামলায় জেলে যাচ্ছেন।বিচারক তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন।

প্রতারণার অপরাধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) অধীন অন্যান্য বিভাগের জন্য একটি পশুখাদ্য মামলায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডে দন্ডিত হয়।দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন (পিসিএ) -এর আওতায় প্রসাদকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।আইপিসি এবং পিসিএর অধীনে দুই ক্ষেত্রে তাকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ প্রসাদ বলেন, জরিমানা দিতে না পারলে আরও ছয় মাস জেল কার্যকর হবে।কারাদণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে জানান তিনি।২৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় দোষী সাব্যস্ত হন প্রসাদ, বর্তমানে তিনি বিরসা মুন্ডা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। এদিন নিরাপত্তার কারণে তাকে আদালতে নিয়ে আসা হয়নি।তাকে নিয়ে এলে পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এই আশঙ্কায় তাকে আনা হয়নি। বিচারক প্রসাদকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সাজা প্রদান করেন।

১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় দেওঘরের ট্রেজারি থেকে ৮৯হাজার ২৭ লাখ টাকা তুলে নেওয়ারও অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১০ জনকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে আর্গুমেন্ট শোনা যায়।

এর আগে আজ আদালতে পাঁচটি মামলার অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে লালুকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাড়ে ছয় মাস ধরে কারাগারে থাকার পর তিনি সুপ্রিম কোর্টের জামিনে মুক্তি পান।বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র এবং পাঁচজনকে সিবিআই বিশেষ জজ আদালতে ২৩ ডিসেম্বর অভিযুক্ত করেন।1996 সালে, পাটনা হাইকোর্ট পশুখাদ্য মামলায় একটি তদন্তের আদেশ দেন এবং ১৯৯৭ সালের ২৭ অক্টোবর দেওঘর ট্রেজারির মামলায় ৩৮জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।তাদের মধ্যে ১১জন মারা গেছেন এবং তিনজন অভিযুক্ত হয়েছেন। ২০০৬-০৭ সালে দুইজন স্বীকার করে এবং তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

২০১৩ সালের ৩০সেপ্টেম্বর যাদব, জগন্নাথ মিশ্র এবং আরও কয়েকজনকে ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৩৭.৭ কোটি টাকা অবৈধভাবে তুলে নেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।লালু আরও তিনটি পশু খাদ্য দুর্নীতি মামলায় মুখোমুখি হয়-যেখানে দুমকা ট্রেজারি থেকে ৩.৯৭ কোটি টাকা, চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৩৬ কোটি টাকা এবং দোরান্ড ট্রেজারি থেকে ১৮৪ কোটি টাকা অবৈধভাবে টাকা তোলার অভিযোগ ছিল।এদিকে, পাটনায় আজ লালুর ছেলে তেজস্বী যাদব বলেন যে, তারা তার বাবার দোষী সাব্যস্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।

Published on: জানু ৬, ২০১৮ @ ২৩:১৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 86 = 96