পর্যটনের আবহে এক অনবদ্য বসন্ত উৎসব হল কলকাতা প্রেস ক্লাবে

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৩ মার্চ: আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবের প্রাঙ্গনে এক অনবদ্য বস্নত উৎসব আয়োজিত হল। পর্যটনের আবহে এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়- ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত বসন্ত উৎসব-২০২৩’।অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্যুরিজম সার্ভিস প্রোভাইডার্স অফ বেঙ্গল। আবির খেলার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর ড. হরেকৃষ্ণ হালদার এবং রিতম্ভরা গ্রুপ-এর অনবদ্য রবীন্দ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসবের শুভ উদ্বোধন হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মদন আগরওয়াল, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক, ইন্ডিয়া ট্যুরিজমের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সায়ক নন্দী, রাজস্থান সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিংলাজ দন রত্নু প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।

কিংশুক প্রামাণিক দিলেন এই বার্তা

কলকাতা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক বলেন- আগামী সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাব বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে। তার আগেই এখানে বসন্ত উৎসবের আয়োজন হয়ে গেল। অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্যুরিজম সার্ভিস প্রোভাইডার্স অফ বেঙ্গল-কে এজন্য ধন্যবাদ জানাই। তারাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কলকাতা প্রেস ক্লাবে আপনারা অনুষ্ঠান করুন। বসন্ত উৎসব সব সব কিছুকে রঙীন করে দেয়। শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা বয়ে আনে। আজ কলকাতা প্রেস ক্লাব সত্যিই যেন এক টুকরো শান্তিনিকেতন হয়ে উঠেছে।

‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর তাৎপর্য বোঝালেন সায়ক নন্দী

ইন্ডিয়া ট্যুরিজমের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সায়ক নন্দী অ্যাসোসিয়েশনের এমন একটা অনুষ্ঠানের আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন- হোলি কিংবা দোল উৎসব শুধুমাত্র শান্তিনিকেতনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এটি আজ সারা বাংলায় সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। আজ আমাদের দেশে এই মুহূর্তে বহু বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করছেন। তারা জানে না কবে হোলি কিংবা দোল উৎসব। কিন্তু তারাও কিন্তু আজ এই উৎসবে শামিল হয়ে পড়েছে। এটাই আমাদের অভিনবত্ব। এটাই আমাদের বিশেষত্ব।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের একটি অংশকে উদ্ধৃতি করে তিনি বলেন- ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর তাৎপর্য হল এক জাতির সঙ্গে আর এক জাতির মেলবন্ধন। একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে একজন তামিল থাকলে সেখানে যেমন তামিল রীতি-নীতি পালিত হবে ঠিক সেইভাবে একজন বাঙালির বিয়েতে বাঙালি রীতি-নীতি পালিত হবে। এভাবেই তামিল ও বাঙলির মধ্যে মেলবন্ধন ঘটার মধ্যেই এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত-এর তাৎপর্য দৃঢ় হয়।

হিংলাজ দন রত্নু দিলেন এই সুসংবাদ

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে সকলকে ছাপিয়ে যান রাজস্থান সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের কলকাতা শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিংলাজ দন রত্নু একের পর এক হিন্দি শায়েরি উদ্ধৃত করে তিনি উপস্থিত দর্শকদের মন জয় করে নেন। বাংলার সঙ্গে রাজস্থানের পুরনো সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন তিনি। বিশ্ব খ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিত রায়ের জন্য জয়শলমীর আজ যে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে সেই কথাও স্বীকার করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি একটি সুসংবাদ দেন বাংলার মানুষকে। রাজস্থানের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট খুব শীঘ্রই জয়শলমীরে সত্যজিত রায়ের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করতে চলেছেন বলেও এদিনের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন হিংলাজ দন রত্নু।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মদন আগরওয়াল

সব শেষে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মদন আগরওয়াল উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি বসন্ত উৎসবের তাৎপর্যের কথা বলেন তিনি।

হরেকৃষ্ণ হালদার ও তার গ্রুপের অনবদ্য পরিবেশনা

তবে অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল ড. হরেকৃষ্ণ হালদার ও রিত্মভরা গ্রুপের অনব্দ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বাঁশির সুরে মৃদঙ্গের তালে কখনও রবীন্দ্র সংগীত আবার কখনও বাউলাঙ্গের সুরে অসাধারণ সঙ্গীতের তালে নৃত্য উপস্থিত সকল দর্শককে নব আনন্দের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। দোল পূর্ণিমার পুন্যতিথিতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব হয়েছিল তাই সেই ক্ষণকে স্মরণ করে এদিন হরেকৃষ্ণ হালদার ও তার গ্রুপের সদস্যরা হরেকৃষ্ণের সুরে সকলকে মাতিয়ে দেন।  অনুষ্ঠানে অন্যনাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সমর ঘোষ সহ অনেকেই।


শেয়ার করুন