নন্দীগ্রামে বিজেপি-র সভায় গণ্ডগোলের চেষ্টা রুখে শুভেন্দুর হুঙ্কার ১৮-র জবাব ১৯-এ

রাজ্য
শেয়ার করুন

  • সিপিএম কখনও তৃণমূলের সভায় ঢুকে ঢিল ছোঁড়েনি।-শুভেন্দু অধিকারী।
  • করোনা কবে যাবে তা বলতে পারবো না তবে তৃণমূল আগামী ২০ মে-র পর চলে যাবে-দিলীপ ঘোষ।
  • প্রধানমন্ত্রীকে বলব বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে শিল্প গড়তে, বলেন মুকুল রায়।

Published on: জানু ৮, ২০২১ @ ১৮:৪৩

এসপিটি নিউজ, নন্দীগ্রাম, ৮ জানুয়ারি: নন্দীগ্রামে বিজেপির সভায় গন্ডগোলের চেষ্টা হয়। সভার মূল আয়োজক বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সভা চালু রাখেন। তিনি বলেন- সিপিএম কখনও তৃণমূলের সভায় ঢুকে ঢিল ছোঁড়েনি।এরপরই তাঁর হুঙ্কার- ১৮ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর সভার জবাব তিনি ১৯ তারিখে দেবেন।

সভায় তখন বক্তব্য রাখছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আচমকা সভার এক ধারে হইচই শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিয়তে এগিয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। হাতে মাইক তুলে নেন। বলেন- কেউ কোথাও যাবেন না। আমি তো আছি। কেউ হুড়োহুড়ি করবেন না। শান্ত হয়ে বসুন। সভা ভন্ডুল করতে দু’একজন চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।এদিনের সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় নন্দীগ্রামের পুরনো ইতিহাস টেনে আনেন। শুভেন্দুর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে বলেন- সিঙ্গুরে তখন টাটাদের শিল্প গড়তে না দিয়ে বড় ভুল করেছিলাম। তাই প্রধানমন্ত্রীকে বলব বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে শিল্প গড়তে।

ক্ষমতায় এসে দিদি তোলার বাংলা বানিয়েছেন-কৈলাস বিজয়বর্গীয়

কৈলাসজি তখন সবে বলা তৃণমূল নেত্রী ও তাঁর ভাইপোর নাম না করে তোপ দাগতে শুরু করেছেন। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন- কোল মাফিয়া কে? সমর্থকরা সমস্বরে চেঁচিয়ে জবাব দিচ্ছে -ভাইপো। এরপর তিনি বলতে থাকেন দিদি বলেঞ্ছিলেন ক্ষমতায় এলে সোনার বাংলা গড়বেন। কিন্তু ক্ষমতায় এসে দিদি তোলার বাংলা বানিয়েছেন। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে যারা দিদির পাশে থেকে সেই আন্দোলনকে মজবুত করেছিলেন সেই মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী এখন দিদির পাশে নেই। কারণ দিদি আজ আর তাদের সম্মান দেয় না। দিদি ক্ষমতায় এসে নন্দীগ্রামের মানুষকে ধোকা দিয়েছে। সেইসময় যে সমস্ত পুলিশ মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছে তাদের অনেককেই আজ দিদি তৃণমূলের সদস্য করে দিয়েছেন।

করোনা ভাইরাসের চেয়েও বড় ভাইরাস হল তৃণমূল-দিলীপ ঘোষ

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন নন্দীগ্রামের সভায় দাঁড়িয়ে বলেন- আমি তো আজ এখানে অতিথি হয়ে এসেছি। এখানকার আসল নায়ক হলেন শুভেন্দু অধিকারী। দিদি এখন তাঁর নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রীদের বাড়িরে সামনে পুলিশ পোশটিং বসিয়ে রেখেছে। যাতে করে কেউ বিজেপিতে যোগ দিতে না পারে। দিদির পুলিশ আজ দলের বিধায়কদের পিছন পিছিন ছুটছে। তারা বাথরুমে গেলেও পুলিশ সেখানে যাচ্ছে। নেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন- করোনা ভাইরাস কবে যাবে বলুন তো! আমি তাদের একটা কথাই বলেছি যে করোনা কবে যাবে তা বলতে পারবো না তবে তৃণমূল আগামী ২০ মে-র পর চলে যাবে। করোনা ভাইরাসের চেয়েও বড় ভাইরাস হল তৃণমূল ।

“আপনারা না ফেরা পর্যন্ত আমি নন্দীগ্রামে থাকবো”

সবার শেষে বক্তব্য রাখতে উঠে শুভেন্দু অধিকারী বলেন- এই সভা ভন্ডুল করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এভাবে সভা ভন্ডুল করতে পারবে না। এর পর তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলে ওঠেন- সিপিএমকে কখনও তৃণমূলের সভায় ঢুকে ঢিল ছুঁড়তে দেখিনি। এরপরই তিনি বলেন- সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে আপনারা সকলে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যান। আপনারা না ফেরা পর্যন্ত আমি নন্দীগ্রামে থাকবো। তবে ১৮ তারিখ তৃণমূলের সভার জবাব আমি ১৯ তারিখের পালটা সভায় দেব।

Published on: জানু ৮, ২০২১ @ ১৮:৪৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 1 = 3