দেখা হল সোনিয়ার সঙ্গেও, মমতার নেতৃত্বে মান্যতা দিলেন বিজেপি বিরোধী সব দলই, শত্রুঘ্ন সিনহা, যশবন্ত সিনহারা কি বললেন জানেন

দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ২৮, ২০১৮ @ ২৩:৫৩

এসপিটি নিউজ, নতুন দিল্লি, ২৮ মার্চঃ বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করেন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। যেখানে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট নিয়ে আলোচনা হয়।যেখানে তিনি সোনিয়া গান্ধীর কাছে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে মমতা প্রস্তাব দেন বিজেপির বিরুদ্ধে একের বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীর যেন লড়াই হয়। যে কেন্দ্রে যে রাজনৈতিক দল শক্তিশালী সেই দল প্রার্থী দেবে বিজেপি বিরোধী বাকি দল তাকে সমর্থন করবে।সোনিয়া তাঁর এই প্রস্তাব সমর্থন করেছেন বলে এদিন মমতা জানিয়েছেন।

এর আগে মমতা ভারতীয় জনতা পার্টির কিছু বিদ্রোহী নেতার সঙ্গে মিলিত হন। যাদের মধ্যে ছিলেন ‘বিহারি বাবু’ শত্রুঘ্ন সিনহা, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, অরুন শৌরীরা। দিল্লি সফরের তৃতীয় দিনে মমতা দেখালেন কেন তাঁকে জননেত্রী বলা হয়ে থাকে। কেন এখনও দেশ জুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়েও আকাশ চুম্বী।

তারপর বিজেপি-র এই বিদ্রোহী নেতারা যে বললেন তা যে বিজেপির অন্দরে অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলবে তা বলার অবকাশ রাখে না। কি বললেন তাঁরা জানেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, মমতা প্রশংসনীয় কাজ করেছেন।আমার তাঁর প্রতি সমর্থন আছে। তাঁর সঙ্গে আমি বাজপেয়ী সরকারে একসঙ্গে কাজ করেছিলাম এবং এখনও তাঁর প্রতি আমার বিশ্বাস আছে।

এরপর শত্রুঘ্ন সিনহা কি বললেন জানেন? শত্রুঘ্ন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কারও তুলনা করা যাবে না। আমিও ওনার সাথে আছি। এটাকে দল বিরোধী কার্যকলাপ বলা যাবে না। কারণ, দেশের মঙ্গলের জন্য এটা করা হচ্ছে। দেশ দলেরও উর্দ্ধে, তাই আমি দেশ রক্ষার লড়াইয়ে মমতার সাথেই আছি।

আর এক প্রবীণ বিজেপি নেতা অরুন শৌরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের সরকারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।অর্থব্যবস্থার সাথে সাথে সরকারের সব নীতি ব্যর্থ প্রমাণিত হচ্ছে। সেশ জুড়ে হতাশা দেখা দিচ্ছে। আর সরকার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং পরিকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে অসফল হয়ে চলেছে। তৃতীয় ফ্রন্ট সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, দেশে ছোট ছোট দলগুলি এক জোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক হয়ে তিনি এও জানিয়ে দেন যে আদবানীজিও এই ব্যাপারে আমার সঙ্গে একমত হবেন যে মোদি একজন ভালো ইভেন্ট ম্যানেজার।

মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিলিত হয়েছিলেন এনসিপি, শিবসেনা, টিআরএস, টিডিপি, আরজেডি এবং  সপা-র নেতাদের সঙ্গে। ইতিমধ্যে মমতার পাশে থেকে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে থাকার কথা কিন্তু অনেকেই জানিয়ে দিয়েছে।

ইতিপূর্বে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও কলকাতায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেস জোট হিসেবে ফেডারাল ফ্রন্ট গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তারই প্রাথমিক কাজ সফলভাবেই সেরে ফেললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংরেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে তিনি বিজেপির সহযোগী দল শিবসেনা এমনকী তিন বিজেপি নেতাকে পাশে টেনে তাদের মুখ দিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনা করাতে পেরেছেন এবং তারাও যেভাবে তাঁকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা যদি সব ঠিকঠাক হয় তাহলে কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনে দেশ জুড়ে এক অভূতপূর্ব লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠবে। সেদিকেই তাকিয়ে এখন গোটা দেশ। ছবি-পিটিআই

Published on: মার্চ ২৮, ২০১৮ @ ২৩:৫৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 20 = 29