থাই এয়ারওয়েজ: ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে বিশ্বের সাথে পুনঃসংযোগ স্থাপন , ফিরছে কলকাতায় – টাফি’র মিটিং-এ মিলল বার্তা

Main দেশ বিদেশ বিমান ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ১৯, ২০২২ @ ১৯:৪৮
Reporting: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর: থাই এয়ারওয়েজ ২০২৩ সালের শুরু থেকে বিশ্বের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করছে। তারই অংশ হিসাবে ভারত থেকে থাই এয়ারওয়েজের মোট ৬১টি উড়ান এবং থাই স্মাইল-এর ২১টি উড়ান ব্যাঙ্কক ও থাইল্যান্ডে ছাড়বে। এর মধ্যে কলকাতাবাসীর কাছে খুশির খবর, করোনা মহামারীর পর পুনরায় কলকাতা থেকে থাই এয়ারওয়েজ তাদের পরিষেবা শুরু করছে। ১ জানুরাই, ২০২৩ থেকেই কলকাতা-ব্যাঙ্কক রুটে উড়ান চলাবে থাই এয়ারওয়েজ। গত ১৫ ডিসেম্বর কলকাতায় ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বা টাফি’র ইস্টার্ন ইন্ডিয়া চ্যাপ্টারের দ্বি-মাসিক মিটিং-এ এক সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনায় এই কথা জানিয়েছেন থাই এয়ারওয়েজের পক্ষে সাজিদ খান।

ভারত থেকে থাইল্যান্ডের মোট ৮২টি উড়ান পরিচালিত হবে

থাই এয়ারওয়েজ ভারতের ছ’টি শহর থেকে ৬১টি উড়ান , থাই স্মাইল ভারতের ৩টি শহর থেকে ২১টি উড়ান অর্থাৎ মোট ৮২টি উড়ান পরিচালনা করবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে থাই এয়ারওয়েজ ভারত থেকে ৬১টি উড়ান ছাড়বে। এই ৬১টি উড়ান –এর মধ্যে ২২টি ছাড়বে নয়াদিল্লি থেকে, ১১টি ছাড়বে মুম্বই থেকে এবং কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরু প্রতিটি বিমানবন্দর থেকে ৭টি করে মোট ২৮টি উড়ান ছাড়বে।

কলকাতা থেকে ব্যাঙ্কক-এ  ১ জানুয়ারি উড়বে থাই এয়ারওয়েজের উড়ান

এই কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১ জানুয়ারি, ২০২৩ কলকাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাঙ্ককের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়ান পরিচালনা পুনরায় শুরু করবে থাই এয়ারওয়েজ। করোনা মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তাই থাই এয়ারওয়েজ কলকাতা থেকে তাদের পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল। যদিও কলকাতা থেকে ব্যাঙ্কক রুটে পরিষেবা চালু রেখেছিল থাই স্মাইল।

সাজিদ খান বলেন- কলকাতা-ব্যাঙ্কক রুটে চলাচলকারী থাই এয়ারওয়েজের উড়ানের জন্য ওয়াইড বডি এয়ারক্র্যাফট ব্যবহার করা হবে। এয়ারবাস বি৭৮৭-৮০০ কলকাতা থেকে পরিচালনা করবে । এটি দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে আসছে। এর বহরে থাকা অন্যান্য বিমানগুলি হল এয়ারবাস  ৩৫০-৯০০,  বি৭৭৭-৩০০ ইআর, বি৭৭৭-৩০০, বি৭৮৭-৯০০, ড্রিমলাইনার ইত্যাদি৷ এর পাশাপাশি থাই স্মাইল –এর এয়ারবাস হল-এ৩২৫ এবং এ৩২০ ।

সাজিদ খান জানান, থাই স্মাইল তাদের পার্টনার এয়ারলাইন্স। গত ১৬ ডিসেম্বর আহমেদাবাদ থেকে প্রতিদিনের উড়ান পরিষেবা চালু হয়েছে। ৬ জানুয়ারি থেকে তারা জয়পুর উড়ান পরিষেবা শুরু করছে। থাই এয়ারওয়েজ সমস্ত আন্তর্জাতিক রুট এবং থাই স্মাই স্মাইল আভ্যন্তরীণ সফর পরিচালনা করে। আপনি এখন যদি ফুকেট কিংবা ক্র্যাবি যান তাহলে দেখবেন থাই স্মাইল দ্বারা পরিচালিত উড়ানটিকে।

আন্তর্জাতিক যে সমস্ত রুটে পুনরায় চলবে থাই এয়ারওয়েজ

সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে সাজিদ খান জানান- “থাই এয়ারওয়েজের কেন্দ্র স্থল হল ব্যাঙ্কক। তাই সেখান থেকেই সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ান পরিচালিত হয়। আন্তর্জাতিক যেসব রুট এই মুহূর্তে খোলা হয়েছে তা হল- জাপানে ফুকোওকা, নাগোয়া, ওসাকা, স্যাপ্পোরো, টোকিও। দক্ষিণ কোরিয়ায় সিওল।  অস্ট্রেলিয়ায় সিডনি ও মেলবোর্ন। সিডনিতে একটি দৈনিক উড়ান পরিচালিত হচ্ছে এবং  মেলবোর্নে দৈনিক দু’টি উড়ান পরিচালিত হচ্ছে। নর্থ এশিয়ায় হংকং ও তাইপে। সাউদার্ন রোডে থাই এয়ারওয়েজের আছে সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর জাকার্তা ও বালি। ইউরোপে এখন সাতটি গন্তব্যে চলছে উড়ান। এগুলি হল- লন্ডন, প্যারিস, মিউনিখ, কোপেনহেগেন, স্টকহোম, জুরিখ, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট।“

আমাদের কাছে এটি দুর্দান্ত খবর- অনিল পাঞ্জাবি

“বিগত ৪০ বছর ধরে যে থাই এয়ারওয়েজ  ছিল, সেটা কোভিড টাইমে বন্ধ হয়ে গেছিল। অনেক অনুরোধ করা পর আগামী ১ জানুয়ারি থেকে পুনরায় শুরু হচ্ছে। এটি আমাদের সকলের কাছে একটা দুর্দান্ত খবর। আমরা থাই এয়ারওয়েজের কাছে বলেছিলাম যে আপনারা একজন প্রতিনিধিকে পাঠান, যিনি বলতে পারবেন যে এই বিমানের কত ভাড়া হবে, কেমন ধরনের বিমান হবে। কত আসন থাকবে। কারণ, এটা চালু হওয়ার পর যদি লোক না হয়, কেউ যদি না যায় তাহলে আবার এটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই আমরা বলেছিলাম যে আপনি চালু করুন, আমরা বিক্রি করব। থাই এয়ারওয়েজ একটা ওয়ান্ডারফুল প্রোডাক্ট। ৪০ বছর ধরে ছিল। আবার সেটা পুনরায় চালু হচ্ছে। তাই তাদের আপডেট জানানো দরকার। তাই একটা প্রেজেন্টেশন করেছে।“ বলেন ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বা টাফি’র চেয়ারম্যান (পূর্ব ভারত) অনিল পাঞ্জাবি।

থাই এয়ারওয়েজ

থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড বা টিএইচএআই হিসাবে যারা ট্রেডিং করে। থাই হল- থাইল্যান্ডের একটি ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ার বিমান পরিবহন সংস্থা। ১৯৮৮ সালে গঠিত এই বিমান পরিবহন সংস্থার কর্পোরেট সদর দফতর ভিভাভাদী রাংসিত রোড, চাতুচাক জেলা, ব্যাঙ্কক-এ অবস্থিত। প্রাথমিক ভাবে সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তারা তাদের বিমান পরিষেবা পরিচালনা করে।থাই হল স্টার স্টার অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। নতুন এয়ারবাস এ৩২০ বিমান ব্যবহার করে ২০১২ সালের মাঝখানে থাই স্মাইল নামে একটি আঞ্চলিক ক্যারিয়ার চালু করে।

Published on: ডিসে ১৯, ২০২২ @ ১৯:৪৮


শেয়ার করুন