জুবিনদা আমার সংগীত জীবনের কেরিয়ারে মূল ফোকাসঃ সংহতি

Main দেশ বিনোদন রাজ্য
শেয়ার করুন

উত্তর কলকাতার বাসিন্দা বাংলার উদীয়মান গায়িকা  এখন অসমীয়া ভাষায় গান গেয়ে আসামে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আসাম তথা বলিউড ও টলিউডের অন্যতম বিখ্যাত গায়ক জুবিন গর্গের সঙ্গেও কাজ করছেন। প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। আগামিদিনে রয়েছে তাঁর নানা পরিকল্পনা। সেকথাই জানালেন সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর প্রধান সম্পাদক অনিরুদ্ধ পাল-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে।

Published on: অক্টো ১৩, ২০১৯ @ ১৯:৪৮

এসপিটি: 2001 সাল থেকে আমার সঙ্গীত জীবনের যাত্রা শুরু হয়েছে।আমি তখন ক্লাস থ্রি-তে পড়ি। স্বর্গীয় শ্রীমতী পাপিয়া বিশ্বাসের কাছে আমার সঙ্গীতজীবন শুরু। তারপর সাধারণভাবে গান শিখতে শিখতে পরে আমি পন্ডিত নীহারজঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীত শিক্ষার তালিম নি। গ্র্যাজুয়েশনের পর আমি স্থির করি এই পেশাতেই আসব। তারপর আমার নিজের ইচ্ছা তো ছিলই কিন্তু জুবিনদা আমার কেরিয়ারে ফোকাস। বলতে পারেন জুবিনদাকে দেখেই আমার এই সঙ্গীত জীবনের পেশাকে বেছে নেওয়ার তাগিদ জন্মায়। তারপর আমি অরিজিৎ চক্রবর্তীর কাছে ২০১৩ সালে পেশা হিসেবে গানবাজনা করার তালিম নিতে শুরু করি। এরপর আমি অনির্বান চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তালিম নিচ্ছি। নেপাল সাউ-এর কাছে গীটার শিখছি।জানালেন সংহতি দাস।

প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ

‘২০১৫ সালে আমার প্রথম অ্যালবাম ‘কোন কাননের ফুল’ মিউজিক-২০০০ থেকে রিলিজ করে।এটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবাম। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত যুব উৎসবে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতায় রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান এবং কলকাতায় প্রথম স্থান অধিকার করি। আর আধুনিকে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলাম। তারপর ২০১৬ ‘রৌদ্রচ্ছায়া’ মিউজিক-২০০০ থেকে বের হয়। ২০১৬ সালে রাগা মিউজিক থেকে বের হয় ‘নামটি লিখ’। তারপর আসামেও আমি গান গাইতে যাই সেটা জুবিনদার সাহায্যেই।’

জুবিনদার সঙ্গে প্রথম স্টেজ পার্ফর্ম করি পানিহাটি উৎসবে

‘আসামে কাজ করার ইচ্ছা অনেকদিন ধরেই ছিল। এরপর আমার জুবিনদার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি। ২০১৬ সালে জুবিনদার সঙ্গে আমার জুবিনদার সঙ্গে প্রথম স্টেজ পারফর্ম করি। আর সেটা হয় একেবারে কাকতলীয়ভাবেই। পানিহাটি উৎসবে জুবিনদা এসেছিলেন গান গাইতে। আর আমি গেছিলাম জুবিনদার প্রোগ্রাম দেখতে। আর সেসময় ঘটে যায় বিস্ময়কর ঘটনা। হঠাৎ করেই জুবিনদা আমায় স্টেজে ডেকে নেয়। তার আগে দাদার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে একাধিকবার। আমাকে স্টেজে ডেকে ‘মন মানে না’ এই ডুয়েট গানটা গেয়েছিল। আমি দাদার সঙ্গে গান গাওয়ার প্রথম স্টেজ পারফর্ম করার সুযোগ পেয়েছিলাম।’

আসামে বিহু উৎসবেও অংশ নেওয়ার সুযোগ মিলেছে

তার পরের বছরেই আমি বিহু উৎসব দেখতে আসামে যাই। সেটাও হয়েছিল দাদার সৌজন্যে। বিহু উৎসব দেখার আমার খুব ইচ্ছা ছিল। ওদের এই সংস্কৃতি জানার খুব ইচ্ছা ছিল। ২০১৭ সালে আমি বিহুতে যাই। যাওয়ার পর সেখানেও দু’তিনটে স্টেজ করেছি দাদার সাথে। এর পর আমার মধ্যে একটা বিশ্বাস জন্মাল যে আসামেও কিছু গান করা যেতে পারে।

অসমিয়া ভাষায় আমার প্রথম গান

তাছাড়া বেঙ্গল থেকে কোনও শিল্পী গেলে ওদের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি।সেজন্য ২০১৭ -র নভেম্বর মাসে জুবিনদার ৪৫ বছরের জন্মদিনে জুবিনদাকে নিয়েই আমি একটা গান গাই যেটি লেখা ও সুর আমারই এক বন্ধুর ও আসামেরই ছেলে সত্যরঞ্জন ভুইঞা। ও লিখে সুর করে দেয়। জোজোদা পরান বর্কটোকে সঙ্গীত পরিচালনা করেন। আমি গেয়েছিলাম। ওটাই আমার প্রথম অসমীয়া ভাষায় গাওয়া গান। পুরো গানটাই দাদাকে নিয়ে। জুবিনদার ৪৫ বছরের জন্মদিন- ওটা আমি দাদাকে উপহার দিয়েছিলাম। সেই গানটি আসামেই রিলিজ হয়েছিল আবার রেকর্ডিংও হয়েছিল ওখানেই। গানটি জুবিনদার জন্মদিনের পার্টিতে দাদাই ওই গানটা রিলিজ করেছিল। আমার ইউটিউব চ্যানেলে গানটা দিয়েছিলাম। ‘হারে আসে তো খিউ জীবন’ বলে একটি গান রিলিজ করে।

অসমীয়া নিউজ চ্যানেলে ‘আমার ভূপেনদা- সিজন ফোর’-এ অংশগ্রহণ

‘তারপর ২০১৮ সালে প্রথম বিহু গান গেয়েছিলাম। যেখানে জুবিনদা আমার সঙ্গে দুটো লাইন গেয়েছিলেন। সেটাও সত্যরঞ্জনের লেখা ও সুর করা আর পরানদা পরিচালনা করেছিলাম। এরপর ‘আমার ভূপেনদা- সিজন ফোর’ প্রাগ নিউজ চ্যানেল এক সঙ্গীতের রিয়্যালিটি শো-এর আয়োজন করে। সেখানে আমি সুযোগ পাই। শুধু ড. ভূপেন হাজারিকার গানের উপরেই রিয়্যালিটি শো। সেখানে অংশ নিয়ে প্রথম রানার আপ হই। ঠিক উৎসাহ বলব না ভেবেছিলাম ওখানে অংশ নিলে হয়তো ভূপেন হাজারিকার আরও কিছু গান জানতে পারব শিখতে পারব। সেই সঙ্গে আসামের সঙ্গে আরও একটু কাছাকাছি আসতে পারব। যারা আমার গ্রুমার ছিলেন আলেখ্য স্যার এবং নিত্যানন্দ- ওনারা আমাকে খুব স্নেহ করেন। তাঁরা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। ভূপেন হাজারিকার গান গাওয়া যে কত কঠিন প্রতিটা গানের পিছনে যে গল্প আছে সেইসব অনেক কিছু বিস্তারিতভাবে জানতে পারি। সেইসঙ্গে ভূপেন হাজারিকার ভাইয়ের স্ত্রী মনীষা হাজারিকা যিনি নিজেও বাঙালি- ওনার সঙ্গে আমার একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। উনি খুব খুশি যে আমি কলকাতার মেয়ে হয়ে ওখানে আমি সাফল্য পেয়েছি।’

জুবিনদার সঙ্গে ডুয়েট

‘সম্প্রতি আমি একটি পুরনো গান যা গেয়েছেন মন্দিরা লাহিড়ি, সেটি ছিল রেডিও রেকর্ডিং- যেটির ডুয়েট ভার্সান নেই, ‘আহর দরে’ সেটা আমি আর জুবিনদা ডুয়েট ভার্সান করেছি। যথেষ্ট সাড়া পেয়েছি। তার ভিডিও আসবে খুব শীগিগিরি। মাঝে একটি রাভা গীত গেয়েছি। ট্র্যাডিশনাল গান। আমার আরও কিছু কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। আসামের বিভিন্ন জায়গার যে কালচার সেগুলি আরও গ্রহণ করা জানার ইচ্ছা আছে।’

গানের বিষয়ে জুবিনদা সব সময় গাইডেন্স দিয়ে থাকে

‘জুবিনদা আমাকে সবসময় পরামর্শ দিয়ে থাকে। আসলে স্টেজে পারফর্ম করাটা জুবিনদার সঙ্গে খুবই কঠিন। কি করবে আমি নিজেও জানি না। একই গান কিন্তু সেটাকে কোন লাইন থেকে ধরবে বা কিভাবে ধরবে সেটা আমি নিজেও জানি না। এটা খুবই কঠিন এই বোঝাপড়াটা রাখা। সেটা এখন কিছুটা আয়ত্ত করতে পেরেছি। গানের বিষয়ে জুবিনদা সব সময় গাইডেন্স দিয়ে থাকে। আমি ওখানে কিছু কাজ করলে আমি আগে দাদাকে জিজ্ঞাসা করি। কার কাছে করলে ভালো হবে। কারণ এখন ওখানে বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রি বলতে জুবিনদা।’

জুবিনদার সঙ্গে আমার একটা বাংলা গান আসছে

‘জুবিনদার সঙ্গে আমার একটা বাংলা গান আসছে। গত তিন বছর ধরে প্রোজেক্টটা চলছে। ওটার অসমীয়া ভার্সান আছে সেটারই বাংলা ভার্সান হচ্ছে। সুমিত আচারিয়া লিখেছেন সুর জুবিনদার। একবার আমার ডাবিং হয়ে গেছে। দাদার সেটা পছন্দ হয়নি। বলেছে আবার ডাবিং করতে। সম্প্রতি আমার যে অসমীয়া গানটা হয়েছে সেটাও একবার ডাবিং করার পর আবার আমাকে ডাবিং করতে হয়েছে। ওনার স্যাটিশফ্যাকশন পাওয়াটা খুব জরুরী।’

পাগলামি না থাকলে ক্রিয়েশন হবে না

‘গান নিয়ে তিনি বেশি কিছু বলেননি শুধু স্টেজ পারফর্ম নিয়ে বলেছেন যে সেখানে বডি ল্যাঙ্গুয়েজটা একটু বেশি দরকার। একটুখানি নাচতে হবে। আর যেটা বলে গান-বাজনা করতে গেলে পাগলামিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাগলামি না থাকলে ক্রিয়েশন হবে না। ডিসিপ্লিন লাইফ মেইন্টেইন করলে হবে না। এর মধ্যে দাদার স্টুডিওতে আমার একটা গান রেকর্ডিং হয়। দাদা সেদিন রাত এগারোটায় স্টুডিওতে ঢুকেছে। ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সাতটা গানের ডাবিং করেছে। শেষে ভোর চারটের সময় আমার গানটাই করেছে। গান রেকর্ডিং-এর পর একজনের বাইক নিয়ে গেছে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের সামনে কচুরি খেতে। আমার বাংলা গানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। পর পর রেকর্ডিং হচ্ছে। আমি জানি আমার হবে রেকর্ডিং। সারা রাত বসে থাকলাম – বলল আজ আর মুড নেই আজ তোরটা হবে না। জানে আমাকে বললে আমি প্রতিবাদ করব না। আমাকে বলল-কাল এখানে পার্টি হবে, পরশু আমার জন্মদিন- আমার কিন্তু স্টুডিওর ভিতরে ডাবিং হবে। যদিও সেদিন কিচ্ছু হয়নি। আর আমি ফোর্স করতে পারি না কারণ দাদা আমার একটা প্রজেক্টেও টাকা নেয় না। টাকার কথা বললেই দাদা রেগে যায়। টাকা যেখানে থাকে সেখানে ভালো সম্পর্ক থাকতে পারে না। ফলে আমি জোর করতে পারছি না।’

বলিউড নিয়ে একেবারে অনুৎসাহী জুবিনদা

‘বলিউডের ব্যাপারে জুবিনদা একেবারে অনুৎসাহী। বম্বেতে ফ্ল্যাট আছে থাকেও না। দিনে দু’দিনের বেশি থাকলেই পাগল পাগল লাগে। বলিউড সম্পর্কে জুবিনদা আমাকে যেতা বলেছে- ‘বলিউড দেখতে খুব ভালো লাগে। কিন্তু রাজনীতি সাঙ্ঘাতিক লেভেলে। যেটা আমাদের কলকাতাতেও আছে। সব ইন্ডাস্ট্রিতেই আছে কিন্তু বলিউডে অনেক বেশি। আমাকে যা বলেছে যে তোর মতো মানুষের পক্ষে যেটা খুবই মুশকিল। নোংরামিটা সাঙ্ঘাতিক লেভেলে আর পয়সা ছাড়া কোনও কথাই নেই।’

রিয়্যালিটি শো তোর জন্য নয়, তুই গান বানা

‘এই তো রিয়্যালিটি শো-এর ব্যাপারেও দাদা খুব রাগ করেছিল। বলেছিল- রিয়্যালিটি শো তোর জন্য নয়। তুই গান বানা। তুই আসামিজ জানিস। বাংলা-হিন্দি জানিস নিজে গান বানা। তুই কেন গেছিস ওখানে। বলছে রিয়্যালিটি শো-তে এত বেশি লবিবাজি চলে সবটা দেখতেই লাগে রিয়্যালিটি শো। তবে দেখলাম আমাদের এখানের মতো নয়। এখানের মতো কায়দাকানুন, নাটকবাজিটা জানে না। ওখানে পার্টিসিপেন্টরাও খুব ফেইন্ডলি। আমার ভুল হলে অন্যরা বলে দিচ্ছে। তাছাড়া ডিরেক্টর কিংবা প্রদিউসারদের হাতে থাকে। যেমন আগেরদিন আমি রিহার্সাল করে এসেছি। কাল শ্যুটিং। ফোন করে বলছে না, এই গানটা হবে না। অন্য গান হবে। এটা গাইলে তুমি এলিমিনেট হবে। আমি বলেছিলাম, ঠিক আছে, ভালো গান গেয়ে এলিমিনেট হব। যাই হোক এলিমিনেট করতে পারেনি। দাদা তাই বলে যে রিয়্যালিটি শো তোর জন্য নয়। গান বানা, রিয়্যালিটি শোয়ে গেলেই যে সে বড় গায়ক হতে পারবে সেটা কখনোই নয়। তু নিজস্ব গান বানা। কভার সং বানা।’

‘অসমীয়া ভাষায় গান গাইতে উচ্চারনগত ত্রুটি যে হচ্ছে না সেটা বলব না, তবে আমার ক্ষেত্রে সেটা কম ওখানকার লোকজনেরা যেটা বলে। অনেকটাই ঠিকঠাক। তবে যেহেতু আমি বাঙালি, বাংলায় থাকি কিছু তো সমস্যা হবেই। যেমন আসামে ‘অ্যা’, ‘অ’ এগুলো খুব বেশি হয়। বাংলায় সব গোলগোল। গায়কী নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’ বলেন সংহতি।

জুবিনদার গানের মধ্যে আছে একটা বিশেষ এক্সপ্রেশন

‘জুবিনদার সঙ্গে গান গাইতে গিয়ে যেটা আমি শিখেছি সেটা হল ফিলিং অর্থাৎ অনুভূতি। গানের ভিতর যে আবেগ, অনুভূতি মানে গান যে হৃদয় দিয়েও গাইতে হয় সেটা শিখেছি। মানুষটার গানের এক্সপ্রেশন এত ভালো অবশ্যই ভালো লেখে নিজেই শুরু করছে আবার অভিনয় করছে। সেটা একটা বড় ব্যাপার। সেটা গানের উপর ছাপ পড়ে।গলা খারাপ থাকলেও যে অনুভূতি থাকলে সেটার উপর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া যায় সেটা আমি শিখেছি।’

কলকাতার ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ সাহায্য করতে চায় না

‘এখানে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে অশোক ভদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। আর সেটাও হয়েছে জুবিনদার শো-তে গিয়েই। কলকাতায় সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ এখনও সেভাবে করে উঠতে পারিনি। এখানে কেউ বলতে চায় না। আসামে যখন গেছি উনিও গেছেন দাদার জন্মদিনে। সেখান থেকে আরও ভালো যোগাযোগ হয়েছে। কিন্ত কলকাতার ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ খোঁজ দিতে চায় না। কারও ঠিকানা বলতে চায় না।’

আসামে ভালো মেলোডি ভালো সুর পেলেই ওরা শোনে

আমি আধুনিক গান দিয়েই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। সেটা আমি দুই জায়গাতেই চেষ্টা করছি। আসামে ভালো মেলোডি ভালো সুর পেলেই ওরা শোনে। আসামে ভালো গান-বাজনা শোনার লোক আছে। যেমন এই গানটা কভার করলাম ‘আহর দরে’ এটা তো অনেক পুরনো গান একটা স্যাড সং। গানটা খুবই ভালো। এটাকে যেভাবে নিয়েছে ওখানে এখানে হলে হয়তো নিত না। এটা যদি আমি ওখানে স্টেজেও গাই নিয়ে নেবে। এখানে হলে নেবে না।

আমা্র পরবর্তী পরিকল্পনা

‘আমা্র পরবর্তী পরিল্পনা – ‘আহর দরে’ গানের ভিডিও শ্যুট। জুবিনদা থাকবেন বলেছেন। নভেম্বরে শ্যুট হবে। তারপর বাংলা গান আসছে অনেক।হিন্দি গান আসছে। আসামীজ তো আছেই। এভাবেই চলছে। আর একটা ইচ্ছা জুবিনদার লেখা ও সুরে একটা গান গাওয়া। সম্প্রতি ওর ফ্যান ক্লাবেরও অনেকে আমাকে বলেছে এটা। ওখানে জুবিনদার ফ্যান ক্লাবের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। গোটা আসামে ৪৫টি ফ্যান ক্লাব আছে। তাছাড়া কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, বম্বে সব জায়গাতেই আছে। ওরাই বলেছে দাদার লেখা ও সুরে তোমার গলায় একটা গান শুনতে চাই। সেই প্ল্যানিংটা আছে। সোনু নিগম, শানের মতো বিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গেও আমার কাজ করার ইচ্ছে আছে।’

Published on: অক্টো ১৩, ২০১৯ @ ১৯:৪৮

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + 3 =