চন্দ্রগ্রহণের পরদিনই গ্রহণ লাগল বিজেপিতে

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ১, ২০১৮ @ ২৩:২৪

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার চালাচ্ছে, ১৯ রাজ্যের চলছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পার্টি বিজেপির সরকার। সেই ভারতীয় জনতা পার্টির ইতিহাসে এমন দুর্দিন তা কি তারা কখনও কল্পনা করতে পেরেছিল? আজ যখন অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের মেয়াদ কালে শেষ সম্পূর্ণ বাজেট পেশ করছেন আর প্রধানমন্ত্রী পাশে বসে টেবিল চাপড়ে বাহবা দিয়ে চলেছেন তখন রাজস্থানে তাদের শাসনকালে উপ-নির্বাচনের দুটি লোকসভা ও একটি বিধানসভা ভোটে রীতিমতো ভরাডুবি স্বীকার করে নিতে হল বিজেপি প্রার্থীদের। চন্দ্রগ্রহণের পরদিন এই পরাজয়কে দলের গ্রহণ লাগা বলে মনে করছে অনেকেই।

রাজস্থানে দুটি লোক্সভা ও একটি বিধানসভার উপ-নির্বাচনকে বিজেপি তাদের সেমিফাইনাল বলে ধরে নিয়েছিল। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার গোটা মন্ত্রিসভা এবং কেন্দ্রীয় স্তরের নেতাদের প্রচারে নামিয়ে তিনটি আসন দখলে রাখতে পারেনি। এটা বিজেপির কাছে বিরাট ধাক্কা। যেখানে আট মাস বাদে রাজস্থানে বিধানসভা ভোট হতে চলেছে সেখানে কার্যত এই সেমিফাইনাল ম্যাচ জিতে কংগ্রেস কিন্তু তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিল। যা তারা বিধানসভা ভোটে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে কাজে লাগাবে। রাজস্থানের আলওয়ার, আজমের লোকসভা ও মান্ডলগড় বিধানসভা আসনে বিপুল ভোটে জইয়ী হয়েছে কংগ্রেস।

রাজস্থানের এই তিনটি আসন বিজেপির দখলে ছিল। আজমের আসনে বিজেপি সাংসদ অধ্যাপক সানোয়ার লাল জাট, আলওয়ার আসনে চাঁদ নাথ যোগী এবং বিধায়ক কীর্তী কুমারী মণ্ডলগড় আসনে মৃত্যুর কারণে অনুষ্ঠিত হয়।

আলওয়ার লোকসভা আসনে কংগ্রেসের ড. করন সিং যাদব বিজেপির ড. যশবন্ত যাদবকে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩১৯ ভোটে পরাজিত করেছেন। আজমের লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের ড. রঘু শর্মা বিজেপির রামস্বরূপকে প্রায় এক লাখ ভোটে পরাজিত করেন। মাণ্ডলগড় বিধানসভা আসনটিতে বিজেপি প্রার্থী কয়েক রাউন্ডে এগিয়ে থেকেও শেষের দিকে গিয়ে ১৩ হাজার ভোট হেরে যান। কংগ্রেস প্রার্থী বিবেক ধাকড় বিজেপি’র শক্তি সিংহকে পরাজিত করেন।

সাধারণতঃ দেখা গেছে উপ-নির্বাচনে শাসক দলের জয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু রাজস্থানের ক্ষেত্রে দেখা গেল উলটো। যেখানে শাসক দল একেবারে নির্মূল হয়ে গেল, যা শাসক দলের কাছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠল।২০১৬ সাল থেকে রাজ্যে ছয়টি উপ-নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে চারবার বিজেপিকে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ২১ টি আসন। যেখানে বিজেপি ১৬৩টি আসনে জয়লাভ করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। এর পরে, রাজ্যের কংগ্রেসের দায়িত্বভার ২০১৬ সালে যুবনেতা শচীন পাইলটকে দেওয়া হয়েছিল। আট মাস পর যখন রাজ্যে বিধাবসভা নির্বাচন হবে তখন শচীন পাইলটের যুব গোষ্ঠী সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সম্মিলীত শক্তি মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা রাজে ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির। ফলাফল যাই হোক না কেন, উপনির্বাচনের ফলাফলে কিন্তু একটা জিনিষ স্পষ্ট যে লড়াইটা বেশ আকর্ষণীয় হবে।

Published on: ফেব্রু ১, ২০১৮ @ ২৩:২৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 56 = 61