কলকাতা প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি বর্ষীয়ান সাংবাদিক কমল ভট্টাচার্য প্রয়াত

Main কোভিড-১৯ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: মে ৯, ২০২১ @ ২১:০৬

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৯ মেঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কেড়ে নিল আরও একজন সাংবাদিকের প্রাণ। কলকাতা প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি ও সম্পাদক বর্ষীয়ান সাংবাদিক কমল ভট্টাচার্য প্রয়াত হলেন। শেষ দিন পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকতার পেশায় যুক্ত ছিলেন। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

বর্ষীয়ান সাংবাদিক কমল ভট্টাচার্য যুগান্তর পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে সংবাদ প্রতিদিন-এ দিল্লির ব্যুরো চিফ হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি এই পত্রিকাতেই সম্মানের সঙ্গে দায়িত্বভার সামলেছেন। এই পত্রিকায় তিনি পরবর্তীকালে চিফ রিপোর্টারের দায়িত্বও সামলান। এখান থেক অবসর নেওয়ার পর কিছুদিন তিনি বেশ কয়েক জায়গায় সাংবাদিকতা চালিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে তিনি আর্থিক লিপি নামে এক দৈনিক পত্রিকায় সম্পাদকের দায়িত্বভারও সামলান।

সপ্তাহ দু’য়েক আগেও এই প্রতিবেদকের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। সেদিন তিনি বলেছিলেন- অফিসে গিয়ে কাজ করছিলেন। কিন্তু এখন করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য ফের বাড়ি থেকেই কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু তাঁর কলম অবশেষে থেমে গেল। কমলদার নিজের মুখে শোনা -তাঁর সাংবাদিকতার জীবনের অনেক বিচিত্র কাহিনি। পাঞ্জাবে জরুরী অবস্থার সময় সেখানকার রাজ্যপাল ছিলেন সিদ্ধার্থ শংকর রায়।তাঁর সঙ্গে কমলদার সম্পর্ক কত আন্তরিক ছিল দিল্লিতে কাজ করার সময় তা খুব কাজে লেগেছিল। কলকাতা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক থাকার সময় বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমন্ত্রণে সেখানে কেমন অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন সেকথাও জানিয়েছিলেন কমলদা।

বর্ষীয়ান সাংবাদিক কমল ভট্টার্চাযের অকাল প্রয়াণে শোকাহত কলকাতার সাংবাদিক মহল। কলকাতা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক ও সংবাদ প্রতিদিনের ডেপুটি এডিটর কিংশুক প্রামাণিক শোক জ্ঞাপন করে ফেসবুকে লখেছেন- “বিশিষ্ট সাংবাদিক বহু উত্থান পতনের সাক্ষী কমল ভট্টাচার্য চলে গেলেন। প্রথমে যুগান্তর ও পরে সংবাদ প্রতিদিনে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন।প্রেস ক্লাব কলকাতার সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব তিনি সামলেছেন। আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি।আমরা শোকাহত।”

সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এক্সময়ের বার্তা সম্পাদক ও ক্রীড়া সম্পাদক জয়ন্ত চক্রবর্তী জানালেন- “কমলদার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের যোগাযোগ। কয়েক দিন আগেও টিভি চ্যানেলের একটি টক শো-এ অংশ নিতে এসেছিলেন কমলদা।” কমল ভট্টাচার্যের আরও এক কর্মসঙ্গী জয়ন্ত সিংহ একইভাবে শোক প্রকাশ করে বলেন- “কমলদার মৃত্যুর খবরে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সাংবাদিকতার পেশায় কমলদাকে কোনওদিন আপোষ করতে দেখিনি। একবার তো তাঁকে ইস্তফা দিতেও দেখেছিলাম। সেইসময় তিনি সংবাদ প্রতিদিনের দিল্লির ব্যুরো চিফের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। পরে তাঁকে অনেক বুঝিয়ে রাজী করিয়ে সংবাদ প্রতিদিনেই চিফ রিপোর্টারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।”

Published on: মে ৯, ২০২১ @ ২১:০৬


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

82 − = 74