ওপেন হার্ট সার্জারির পরে করোনাভাইরাস, হাসপাতালেই 6 মাসের শিশুকন্যার জীবন সংগ্রাম

Main কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান
শেয়ার করুন

  • ইরিন বেটস নামে 6 মাসের ওই শিশুটির উপর দিয়ে বয়ে চলেছে এক ভয়ানক বিপদের ঝড়।
  • মেয়েটি হাসপাতালে ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে এবং আজ অবধি মা লক্ষ্য করেছেন যে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা সংক্রমণ সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহার করা হয় না।

Published on: এপ্রি ১৩, ২০২০ @ ২৩:৫০

এসপিটি নিউজ ডেস্ক:   করোনাভাইরাস 6 মাসের শিশুকেও ছাড়ছে না। যার জন্য আজ ইংল্যান্ডের লিভারপুলে এক শিশু হাসপাতালে শিশুটিকে আজ জীবন-যুদ্ধের সংগ্রাম চালাতে হচ্ছে। মুখে এক লম্বা নল লাগিয়ে। জন্মাবার সময় শিশুটির ওজন ছিল এক কেজিরও কম। প্রথমে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। এরপর শিশুটির শরী্রে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।এই ঘটনায় শিশুটির মা ক্ষোভ উগরে দিয়েছে হাসপাতালটির সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। ইতালির লেজ্ঞু ডট ইট-এ প্রকাশিত এই সংবাদ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

শিশুটির যখন থেকে এটা ধরা পড়ল

ইরিন বেটস নামে 6 মাসের ওই শিশুটির উপর দিয়ে বয়ে চলেছে এক ভয়ানক বিপদের ঝড়।তার মা মনে করেন যে শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে যেটা ঘটেছে শিশুটির সঙ্গে তাকে অস্বাভাবিক ঘটনা বলেই মনে করছে অনেকে। জন্মের সাথে সাথেই শিশুটি মারাত্মক হার্ট এবং শ্বাসনালীজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকে, যা তাকে অসুস্থ করে তোলে। তবে যখন সে সুস্থ হয়ে উঠছিল তখনই কোভিড-19 এ আক্রান্ত হয়।

শিশুটির নাক-মুখের সঙ্গে লাগানো মোটা একটি পাইপ  

পরিবারটি একটি মেশিনের সাথে সংযুক্ত ছোট্ট মেয়েটির ভয়াবহ ছবি দেখিয়েছিল যা লিভারপুলের অল্ডার হে শিশুদের হাসপাতালে খুব অসহায় অবস্থায় রয়েছে শিশুটি।তার পরিবার একটি ছবি দেখিয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে শিশুটির নাক-মুখের সঙ্গে মোটা একটি পাইপ লাগানো আছে, যা দিয়ে সে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে চলেছে।তার সঙ্গে শিশুটির মা রয়েছেন হাসপাতালে। বাবাকে অবশ্য আগেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।যেখানে সংক্রমনের ঝুঁকির কারণে হাসপাতালে রাখা হয়নি তাকে।

হাসপাতালটিতে করোনাভাইরাস সেভাবে গুরুত্ব পায় না

শিশুকন্যাটির মা হাসপাতালের ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট নয়। আজ অবধি তিনি লক্ষ্য করেছেন এই হাসপাতালে যা হচ্ছে তা বর্তমান সময়ের সঙ্গে একেবারে বেমানান। যখন সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক মহামারীর আকার নিয়েছে তখন এই হাসপাতা্লটি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি। যে ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত ছিল সেটাও হয়নি। ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ এখানে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।শিশুটি সেই অব্যবস্থারই শিকার। নিজের ফেসবুক পেজে শিশুটির মা লিখেছেন যে ইংল্যান্ডে এই ভাইরাসটি এখনও সেভাবে গুরুত্ব পায়নি। মেয়েটি হাসপাতালে ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে এবং আজ অবধি মা লক্ষ্য করেছেন যে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা সংক্রমণ সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহার করা হয় না এবং তাই এটি ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকিটি খুব বেশি। মহিলা ফেসবুকে লিখেছেন-“যখনই কোনও নতুন নার্স বা ডাক্তার আমাদের ঘরে আসেন তখন আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। আমি দূরত্ব মেনে চলার চেষ্টা করে চলেছি।”

Published on: এপ্রি ১৩, ২০২০ @ ২৩:৫০


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 75 = 76