Published on: ফেব্রু ১৬, ২০১৯ @ ১৭:১৭
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ না, কেটে গেছে দুদিন। এখনও ঘাতক জঙ্গি ও তাদের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে এখনও কিছুই হলো না। গোটা ভারত ফুঁসছে। আসমুদ্র-হিমাচল একটাই স্লোগান উঠেছে-পাকিস্তান মুর্দাবাদ-পাকিস্তানের ধ্বংস চাই। খতম করতেই হবে ঐ ঘাতক জঙ্গিদের। শুধু জঙ্গিদের খতম করলেই চলবে না জঙ্গিদের সব ঘাঁটি চিরতরে নির্মূল করে দিতে হবে এমন ভাবে তা করতে হবে যাতে আগামিদিনে তারা কোথাও এমন কাজের কথা ভাবতেও না পারে। শয়তানের দল ঠিক যে কায়দায় যেমনভাবে আমাদের বীর সুপুত্রদের প্রাণ ছিনিয়ে নিয়েছে যেভাবে আমাদের দেশের মানুষের চোখের জল ফেলিয়েছে যেভাবে আমাদের দেশের মা-বাবা-ভাই-বোন-স্ত্রী-সন্তানদের অসহায় করে দিয়েছে সময় এসেছে বিশ্বের শান্তিকামী দেশ ভারতকে এবার নয়া রূপ দেখানোর। সময় এসেছে পাকিস্তান ও তার অন্তরের ভালোবাসার জঙ্গি সংগঠনগুলির সমস্ত কিছু সতর্কতার সঙ্গে চিরতরে শেষ করে দেওয়ার।ভারতকে এবার তার রুদ্র রূপ দেখানোর সময় এসে গেছে। গোটা বিশ্ব সেই দৃশ্য শুধু দেখে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাই সেনাবাহিনীকে এ ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা ইতিমধ্যেই দিয়ে ফেলেছেন।
পাকিস্তান তুমি ভেবেছো আমাদের ৪০জন বীর সুপুত্রের প্রাণ ছিনিয়ে নিলেই তোমরা কাশ্মীরকে নিজের দখলে নিয়ে নেবে। অত সোজা নয়। হিন্দুস্থান যখন জাগে তখন তোমাদের পালানোরও পথ থাকে না। এখন সময়ে এসেছে এবার তোমরা পালানোরও পথ পাবে না। যদি এবারও তোমরা জঙ্গিদের আশ্রয় দাও তাও তোমরা ওদের রক্ষা করতে পারবে না। গোটা ভারত আজ কাঁপছে। লাদাখ থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত। সর্বত্র এক আওয়াজ- পাকিস্তান মুর্দাবাদ। তোমাদের ধ্বংস চাই। খতম করো পাকিস্তানকে।
দেখতে পাচ্ছো, কি ভাবে জেগে উজঠেছে গোটা ভারতবর্ষ। খুব ভুল করেছো পাকিস্তান। মহাভুল। বলা ভালো মহা অপরাধ। এই অপরাধের সাজা তোমাদের ভারত কিন্তু দিয়েই ছাড়বে। শুরু হয়ে গেছে সেই প্রক্রিয়া। কোনও শক্তি কোনও দেশ তোমাদের বাঁচাতে পারবে না। লাদাখের দিকে তাকাও- দেখো, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এক কাট্টা হয়ে মোমবাতি হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। বিহারের দিকে তাকাও সেখানেও মানুষ এককাট্টা হয়েছে। তাকাও রাজস্থানের দিকে। গোটা জেলার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। শুধু তোমাদের খতম করার স্লোগান দিয়ে। তোমাদের বিনাশ দেখতে।তাকাও উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকাও পাঞ্জাবের দিকে। তাকাও কেরলের দিকে। তাকাও তামিলনাড়ুর দিকে। তাকাও আসামের দিকে। তাকাও উড়িষ্যার দিকে। তাকাও পশ্চিমবঙ্গের দিকে। তাকাও মধ্যপ্রদেশের দিকে উত্তরাখণ্ডের দিকে। সর্বত্র মানুষ ক্ষেপে রয়েছেন। পাকিস্তানের ধ্বংস চেয়ে সমানে স্লোগান দিয়ে চলেছেন। তাদের একটাই দাবি-আমাদের সন্তানকে যারা যেভাবে হত্যা করেছে ওদেরও সেভাবেই মারতে হবে। খতম করতে হবে। খুনের বদলে শান্তি নয় খুন চাই।
জব তক সুরজ চাঁদ রহেগা লাম্বা তেরা নাম রহেগা- এই স্লোগানে রাজস্থানের জয়পুরের প্রতিটি প্রান্ত মুখরিত হয়ে উঠেছে। যে মুহূর্তে রোহিতোষ লাম্বার পার্থিব শরীর এসে পৌঁছয় গোটা এলাকা দেশের বীর সুপুত্রের নামে স্লোগান দিতে থাকে।
একই ছবি দেখা যায় যখন উত্তর প্রদেশের হরপুর তোলায় সিআরপিএফ কনস্টেবল পঙ্কজ কুমার ত্রিপাঠির পার্থিব শরীর নিয়ে আসা হয়। সেখানেও সকলে জাতীয় পতাকা হাতে দেশের এই সুপুত্র তাদের এলাকার কাছের ছেলেকে ঘিরে চোখের জল ফেলতে থাকেন। আর স্লোগান ওঠে পাকিস্তান মুর্দাবাদ হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ।
মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে তাঁর নিজের গ্রামে যখন আর এক সিআরপিএফ কনস্টেবল অশ্বিনী কাচ্চির পার্থিব শরীর এসে পৌঁছয় সেখানেও মানুষ রাগে ফুঁসতে থাকেন। তাদের প্রেণের চেয়েও প্রিয় গ্রামের গর্ব অশ্বিনীকে হত্যা করা জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতি সত্ত্বর যাতে দেশ বড় ধরনের পালটা হানা দিয়ে এর শোধ তোলে সেই দাবিতে সরব হন তারা।
বেঙ্গালুরুতেও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী বীর সুপুত্র শহীদ এইচ গুরুকে শ্রদ্ধা জানান।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব শ্রদ্ধা জানালেন বীর শহীদ রতন কুমার ঠাকুর ও সঞ্জয় কুমার সিনহাকে।
দেরাদুনে যখন সিআরপিএফ অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর মোহন লালের পার্থিব শরীর এসে পৌঁছয়। গোটা এলাকা একদিকে যেমন কাঁদছে ঠিক তেমনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার আগুনে ফুটছে। এরই মধ্যে ভেসে এল একটি ছোট্ট মেয়ের মুখ। মোহন লালের আদরের কন্যা। মাথায় হাত ঠেকিয়ে জয় হিন্দ বলে বাবাকে চোখের জলে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শ্রদ্ধা জানান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত।
বারানসীতেও যে মুহূর্তে বীর সুপুত্র রমেশ যাদবের পার্থিব শরীর ভূমি স্পর্শ করে সেই মুহূর্তেই স্লোগান ওঠে ভারত মাতা কী জয়। পাকিস্তান মুর্দাবাদ।তোফাপুর গ্রামের প্রিয় ছেলেকে শেষবারের মতো দেখার জন্য দূর দূর থেকে বহু গ্রামের মানুষ এসে পৌঁছতে শুরু করে।
শুধু তাই নয় লাদাখেও সেখানকার লাদাখ বুদ্ধিস্ট অ্যাসোশিয়েশন-এর সদস্যরা মোমবাতি জ্বালিয়ে ৪অ শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে মিছিল বের করেন। যা ভারতবর্ষের ঐক্যের চেহারাকে ফের বিশ্বের সামনে নিয়ে এল না ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করে তুলল।
মা-বোন থেকে শুরু করে প্রতিবেশী সকলেই সমানে কেঁদে চলেছেন। তাদের প্রিয় লাডলা আধেশ আর নেই। সে দেশের জন্য নিজেকে এটিএমবলিদান দিয়েছে বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায়। উত্তরপ্রদেশের চন্দৌলি গ্রাম উঠে এসেছে আধেশের বাড়ির সামনে। সকলেই স্লোগান দিচ্ছে পাকিস্তান মুর্দাবাদ- আমাদের সন্তানের হত্যার বদলা চাই। পাকিস্তান ধ্বংস করো। জঙ্গিদের নির্মূল করে দাও। খতম করো। আর কোনও কথা আমরা শুনতে চাই না।
Published on: ফেব্রু ১৬, ২০১৯ @ ১৭:১৭