ইসকন মায়াপুরে গীতা জয়ন্তী উৎসব: সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে এক সঙ্গে 5 হাজার মানুষ পাঠ করলেন গীতা

Main কোভিড-১৯ দেশ ধর্ম বিদেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

বিশ্ববাসীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু শ্রীধাম মায়াপু্রে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে গীতা জয়ন্তী উৎসবে 50 হাজার ভক্তের ঢল ।
23 থেকে 25 ডিসেম্বর পর্যন্ত এই গীতা জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়।
গীতার জ্ঞানে বিশ্ববাসীর হৃদয়কে উদ্ভাসিত ও গীতা অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মনোবলকে বৃদ্ধি করতেই এই মহান উৎসবের আয়োজন।  
Published on: ডিসে ২৭, ২০২০ @ ১১:৫০
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, মায়াপুর, ৮ ডিসেম্বর:    কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে একই স্থানে এক সঙ্গে পাঁচ হাজার ভক্ত বসে গীতা পাঠ করে চলেছেন- এ এক অভিনব দৃশ্য। গীতার উদ্দেশ্যে আহুতি প্রদান করা হয়। বিশ্ব শান্তির উদ্দেশ্যে যজ্ঞেরও আয়োজন করা হয়। শ্রীধাম মায়াপুর ইসকন তিন দিন ধরে গীতা জয়ন্তীর শেষ দিনে এমনই এক বিরল নিদর্শন সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরল। যা একপ্রকার রেকর্ড।

যে উদ্দেশ্যে এই গীতা জয়ন্তী উৎসব

পাঁচদিনের গীতা জয়ন্তী উৎসবের শেষ দিন ছিল 25 ডিসেম্বর। শ্রীধাম মায়াপুর ইসকন প্রাঙ্গনে আয়োজন করা হয়েছিল গীতা জয়ন্তী উৎসবের। এই উপলক্ষ্যে সেখানে অস্থায়ী মঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেই কয়েক হাজার মানুষ গীতা পাঠ করলেন। মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, গীতার জ্ঞানে বিশ্ববাসীর হৃদয়কে উদ্ভাসিত ও গীতা অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মনোবলকে বৃদ্ধি করতেই এই মহান উৎসবের আয়োজন।তবে এবারের উৎসব দু’টি দিক দিয়ে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ- এক, এই বছর গীতা জয়ন্তী উৎসব সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে পড়ল। এবং দুই, এবার কোভিড স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই ৫০ হাজারেরও বেশি ভক্ত এই পবিত্র উৎসবে হাজির হয়েছিলেন।

গীতা ও ভাগবত পড়ার সুবর্ণ সুযোগ

23 ডিসেম্বর থেকে 25 ডিসেম্বর পর্যন্ত এই গীতা জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। ভক্তিবেদান্ত গীতা অ্যাকাডেমির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত হয় গীতা স্টাডি কোর্স। সেই কোর্সের গ্রেড ওয়ান ও গ্রেড টু শিক্ষার্থী সমাবেশ এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনও অনুষ্ঠিত হয়। ভক্তিবেদান্ত গীতা অ্যাকাডেমি ভারতে বিশেষত বাংলা, ইংরাজি ও হিন্দি ভাষায় গীতা স্টাডি কোর্সের মাধ্যমে শ্রীল প্রভুপাদের গীতা ও ভাগবত পড়ার সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও অর্জুনের কথোপকথন সমান প্রাসঙ্গিক

শ্রীধাম মায়াপুর এখন বিশ্ববাসীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে যেমন এসেছিলেন লোরিয়েট বিজ্ঞানী চার্লস টাউনস তেমনি বিশ্বের অগণিত অমৃত-সন্ধানিরাও এখানে এসেছেন, আজও আসছেন সমানভাবে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও অর্জুনের কথোপকথন পৃথিবীর এযাবৎ কালের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানগর্ভ কথোপকথন, যা বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ সহ আমাদের সকলের কাছে আজও সমান প্রাসঙ্গিক। সরল ভাষায় ভগবদগীতার মহাবিষ্ময়কর, মহাজাগতিক দর্শনের তুলনায় বিশ্বের মানবীয় জল্পনা-নিঃসৃত আধুনিক বিশ্বের জ্ঞানভান্ডার নিতান্তই ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ। মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, ২৫ ডিসেম্বর এই দিনটির তিথিতেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে গীতার জ্ঞান অর্জুনকে দান করেছিলেন। সেই থেকে এই দিনটিকে গীতা জয়ন্তী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

শাশ্বত তত্ত্বদর্শন

‘বোধয়ন্তঃ পরস্পরম’ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রবণ, আলোচনা ও প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে এই মহিমাময় শাশ্বত তত্ত্বদর্শন উপলব্ধির নির্দেশ দিয়েছেন।ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি গীতাপ্রেমী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।এই উপলক্ষ্যে সমবেতভাবে গীতা পাঠ, বিশ্বশান্তি যজ্ঞ, সংকীর্তন সহকারে শোভাযাত্রা, প্রশ্ন-উত্তর, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

Published on: ডিসে ২৭, ২০২০ @ ১১:৫০


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

27 − 22 =