ইউ-এস বাংলা বিমান বিদ্ধ্বস্ত কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯

বাংলাদেশ বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ১২, ২০১৮ @ ১৬:১৬

এসপিটি নিউজ, কাঠমান্ডু, ১২ মার্চঃ ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল নেপালের কাঠমান্ডু ত্রুভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।সোমবার বাংলাদেশের ঢাকা থেকে ইউএস-বাংলা বিমানটি কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরনের সময় আচমকা ভেঙে পড়ে। ধরে যায় আগুন। যাত্রীরা চিৎকার করতে থাকে।সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

নেপালের সংবাদপত্র ‘দ্য হিমালয়ান টাইমস’-এ প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে জানা গেছে, বিমানটিতে ৭১জন ছিলেন। যাদের মধ্যে ৩৩জন ছিলেন নেপালি নাগরিক।২৫জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কাঠমান্ডু পোস্ট-এ প্রকাশিত খবরের সূত্র অনুযায়ী নেপাল পুলিশের ডিআইজি মনোজ নিউপানে দুর্ঘটনায় ৪০জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুরেশ আচার্য জানান, আহত ২২জন যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। টিআইএ জানিয়েছে, বিমানটিতে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭জন মহিলা এবং ২জন শিশু ছিল।

নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির ডিজি সঞ্জীব গৌতম বলেন, বিমানটি পুপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।সেটা বোঝা যায় রান ওয়েতে নামার চেষ্টা দেখে। বিমানটিকে রানওয়ের দক্ষিণদিকে নামার অনুমতি দেওয়া হলেও সেটি অবতরণ করে উত্তরদিকে।বিমানটিতে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে।

নিউপানে জানিয়েছেন, ৩১জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বিদ্ধ্বস্ত বিমানটি থেকে। বাকি ৯ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয় হাসপাতালে।

কাঠমান্ডু পোস্ট-এ প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, টিআইএ’র মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুরের কথায়, বিমানটি এসটু-এজিইউ কল সাইন করে। তারপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং অবতরণের সময় রানওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং টিআইএ-এর কাছে একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি ভেঙে পড়ে।দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে যায়।বিমানবন্দরের এক আধিকারিকের বয়ান অনুযায়ী, বিমানটি বিমানবন্দরে অবতরনের সময় আচমকা আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ঘটস্থলে এসে পৌঁছয় অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে দমকলের ইঞ্জিন। শুরু হয়ে যায় উদ্ধারকাজ।

এই দুর্ঘটনার পর সমস্ত কাঠমান্ডু বিমান বন্দরে সমস্ত বিমান চলাচল বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

ছবি সৌজন্যেঃ কাঠমান্ডু পোস্ট 

 

 

Published on: মার্চ ১২, ২০১৮ @ ১৬:১৬ 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 2 =