আসারাম বাপু দোষি সাব্যস্ত, এর আগেও এমন অনেক বাবাজিরা তাদের খেল দেখিয়ে শ্রীঘরে গেছে

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: এপ্রি ২৫, ২০১৮ @ ২১:৪৬

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় আসারাম বাপু যোধপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।

আসারাম বাপুর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ২০১৩ সালে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও অনেক মামলা রুজু হয়েছিল। আসারামের বিরুদ্ধে জমি দখল, শিশু হত্যা সমেত আরও অনেক মামলা যুক্ত হয়েছিল। আসারামের বিরুদ্ধে আশীর্বাদ দেওয়ার বাহানা দেখিয়ে মেয়েদের সঙ্গে তামাশা এবং তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ ছিল। তার ছেলে নারায়ন সাইয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় আসারাম একা ছিল না।  আসারামের আগে এমনটা উঠেছিল গুরমিত সিংযের বিরুদ্ধেও। এধরনের বাবাজিরা বারেবারেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে।ধর্মের নামে যেভাবে এইসব তথাকথিত বাবাজিরা যা সব কীর্তি স্থাপন করেছে তা সত্যি চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো ঘটনা। এসব বাবাজিদের নিয়ে একশ্রেণির মানুষের আদিখ্যেতা তাদের কুকীর্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে দারুনভাবে সাহায্য করেছে। আসুন একবার সেইসব ‘মহান’ বাবাজিদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

চন্দ্রস্বামী

চন্দ্রস্বামীর ব্যক্তিত্ব কেমন ছিল?এটা থেকে একথা অনুমান করা যায় যে, একদিকে তিনি ভারতের তৎকালীন  প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাওের নিকটতম উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন, অন্যদিকে তিনি রাজীব গান্ধীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের ব্যাপারেও জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হন।এই অভিযোগের মধ্যে চন্দ্রস্বামী বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক স্থাপন, অস্ত্রের দালালি এবং হাওয়ালা ব্যবসা, বৈদেশিক মুদ্রা আইনের লঙ্ঘন সহ অনেক জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

রামপাল

বাবা রামপাল অথবা সন্ত রামপাল আধ্যাত্মিকতার জগতে পা রাখার আগে তিনি হরিয়ানায় সেচ বিভাগের  একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।১৮ বছর ধরে কাজ করার পর, তিনি পদত্যাগ করেন এবং তারপর সৎসঙ্গ শুরু করেন, পরে তিনি সৎলোক আশ্রম প্রতিষ্ঠা করে।

অভিযোগ, তার আশ্রম হাসপাতালে গর্ভপাত কেন্দ্র চলেছে। তার আশ্রম থেকে অস্ত্র ও অনেক অযাচিত ড্রাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়।সরকারি কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া এবং আশ্রমে অযাচিত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার মামলা তার বিরুদ্ধে রুজু হয়। বর্তমানে তিনি দেশদ্রোহের মামলায় হিসার জেলে বন্দি আছেন।

নিত্যানন্দ স্বামী

২০১০ সালে স্বামী নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অশ্লীলতা সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়। তার যৌনসম্পর্কের সিডি প্রকাশ্যে আসে। যেখানে এক অভিনেত্রীর সাথে তার যৌনতা দেখানো হয়।পরে সিডি সঠিকভাবে ফরেনসিক ল্যাবে তদন্তে পাঠানো হয়। সিডির সত্যতা প্রমাণ হয়। নিত্যানন্দের আশ্রম সেই সিডি আমেরিকান ল্যাবের রিপোর্ট উপস্থাপন করে। যেখানে সিডি ওলোটপালোট-এর বিষয়টি সামনে চলে আসে।

এই পরে নিত্যানন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিছু দিন পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন। এছাড়াও, ব্যাঙ্গালোরে নিত্যানন্দের আশ্রমে অভিযানকালে সেখান থেকে কনডম ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

স্বামী ভীমানন্দ

দিল্লির এক বাবাজি নিজেকে ইচ্ছাধারী সাধু বলে ডাকতে শুরু করে। তিনি নিজেকে স্বামী ভীমমানন্দ বলে প্রচার করতে থাকেন।তিনি ইচ্ছাধারী সাধুর নামে নাগিন ড্যান্সের চর্চা করতে শুরু করে দেন, যেগুলি শুভেচ্ছা বিনিময় নামে পরিচিত হয়ে যায়। নৃত্যের জন্য আলোচনায় ব্যবহৃত হয়। ১৯৯৭ সালে লাজপত নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, যে তারা ধর্ম প্রচারের অছিলায় মেয়েদের ফাঁদে ফেলার মাধ্যমে যৌন চক্রের ব্যবসা করে। ভীমানন্দের প্রকৃত নাম, যিনি নিজেকে একজন সাধু বলেছিলেন, তিনি ছিলেন শিবমূর্তি দ্বিবেদী। আপনারা তারা আসল পরিচয় শুনলে চমকে যাবেন, যিনি নিজেকে নিজে থেকেই সাধু বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি একজন বাবাজি হওয়ার আগে পাঁচ তারকা হোটেলের একজন পাহারাদার ছিলেন।

Published on: এপ্রি ২৫, ২০১৮ @ ২১:৪৬


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 84 = 85