আজ গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামের দ্বার খুলতেই শুরু হয়ে গেল চারধাম যাত্রা

দেশ ধর্ম ভ্রমণ
শেয়ার করুন

গঙ্গোত্রীর দ্বার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ খুলে দেওয়া হয়।

যমুনোত্রী ধামের দ্বার দুপুর ১টা১৫মিনিট ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

Published on: মে ৭, ২০১৯ @ ২১:২৩

এসপিটি নিউজ, দেরাদুন, ৭ মে: বিশ্বখ্যাত গঙ্গোত্রী ধামের দ্বার খুলতেই চারধাম যাত্রার বিধিপূর্বক যাত্রার শুভ সূচনা হয়ে গেল। আজ মঙ্গলবার অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ লগ্নে গঙ্গোত্রী ধামের বিধিপূর্বক পূজার্চ্চনা, বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ এবং ধার্মিক রীতি-রেওয়াজের সাথে গঙ্গোত্রীর দ্বার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ খুলে দেওয়া হয়। তেমনই, যমুনোত্রী ধামের দ্বার দুপুর ১টা১৫মিনিট ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গঙ্গা স্নানের পর গঙ্গোত্রী দর্শন হয়। এই সময় সেখানে গাড়োয়ালের আধিকারিক ডা. বিবিআরসি পুরষোত্তম, জেলার মন্ত্রী ধন সিং রাওয়াত, বিধায়ক গোপাল, মন্দির সমিতির সভাপতি সুরেশ সেম্ভাল, সচিব দীপক সেমভাল সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।কেন্দ্ররীয়মন্ত্রী ঊমা ভারতী বর্নীগড় পৌঁছন। এখানে ঊমা ভারতী যমুনায় স্নান সারেন। এরপর তিনি গঙ্গোত্রী পৌঁছন।

খরসালী থেকে রওনা হয় যমুনার ডোলি

1) যমুনাকে তাঁর শীতকালীন আবাসস্থল খরসালী থেকে তাঁর ডোলি শনি দেবের অনুমতি নিয়ে যমুনোত্রীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়।মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ যমুনার ডোলি খরসালিতে যমুনার মন্দিরের বাইরে নিয়ে আসা হয়। এর পর পোনে ৯টা নাগাদ যমুনোত্রীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। এই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা পরম্পরা অনুযায়ী লোকনৃত্য পরিবেশন করেন।

বিনা ভৈরব দর্শন ছাড়া গঙ্গোত্রীর যাত্রা সম্পূর্ণ হয় না

2) তেমনই, ভৈরব ঘাঁটিতে রাতের বিশ্রামের পর আজ সকালে সাড়ে সাতটা নাগাদ গঙ্গার ডোলি গঙ্গোত্রির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রওনা হওয়ার আগে সেখানে পূজার্চ্চনা হয়।মানা হয়। বিনা ভৈরব দর্শন ছাড়া গঙ্গোত্রীর যাত্রা সম্পূর্ণ হয় না। এজন্য ভৈরব ঘাঁটিতে ভৈরব দেবতার নিজস্ব মাহাত্ম্য আছে। সাড়ে ৯টা নাগদ গোন্নগার ডোলি গঙ্গোত্রীতে পৌঁছয়। এরপর গঙ্গা লহরী, গঙ্গা সহস্তোত্রনাম পাঠ করা হয়। দুপুর সাড়ে ১১টা নাগাদ ভক্তদের জন্য গঙ্গোত্রীর দ্বার খুলে দেওয়া হয়।

ঋষিকেশের ভরত মন্দিরের সঙ্গে বদ্রীনাথ ধামের মিল

3) অক্ষয় তৃতীয়াতে তীর্থনগরী ঋষিকেশের প্রাচীন শ্রী ভরত মন্দিরে ভক্তদের ভিড় হয়। শ্রী ভরত মন্দিরে অক্ষিয় তৃতীয়ায় ১০৮ বার পরিক্রমার মাহাত্ম্য আছে। মানা হয়, এদিন ১০৮ অথবা ১০০৮ বার পরিক্রমার ফল শ্রী বদ্রীনাথ ধাম দর্শনের সমান হয়।

ঋষিকেশে নারায়ণ ভগবান ভরতকে ঋষিকেশের গ্রাম্য দেবতা মানা হয়ে থাকে। পৌরাণিক কথা অনুসারে ঋষিকেশে বিরাজমান ভগবান ভরতের মূর্তি ভগবান বদ্রীনাথের মূর্তির সমান শালগ্রাম শিলা দিয়েই তৈরি হয়েছে। কালের নিয়ম অনুসারে ভগবান নারায়ণের এই প্রাচীনতম মন্দিরকে বিভক্ত করা হয়ে ছিল। কিন্তু আদি গুরু শঙ্করাচার্য নিজের বদ্রিকাশ্রম যাত্রার সময় এই মন্দিরে ভগবান ভরতের মূর্তি স্থাপন করেন।েদিন এই মন্দিরে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

Published on: মে ৭, ২০১৯ @ ২১:২৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

58 + = 61