অমর একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল

Main বাংলাদেশ বিদেশ
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা– ইবতিসাম রহমান

Published on: ফেব্রু ২১, ২০১৯ @ ০০:৩৫

এসপিটি নিউজ ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারিঃ দেখতে দেখতে কেটে গেল ৬৭ বছর। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তারিখটি বাঙালি আজও স্মরণে রেখেছে। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরেই আমার সোনার বাংলাদেশ নীরবতা আর শ্রদ্ধায় স্মরণ করল অমর একুশকে। শ্রদ্ধা জানাল ভাষা শহীদদের। সম্মান জানাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে। রাত ১২টা বাজার আগেই গোটা ঢাকা শহর নীরবতায় স্তব্ধ হয়ে যায়। ভাষা শহীদদের স্মরণ করতে সকলে শহীদ মিনারমুখী হন। সর্বপ্রথম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ পুষ্প স্তবক দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এরপর একই ভাবে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর একে একে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে দেশের নানা সংগঠন পুষ্প স্তবক দিয়ে শহীদদের স্মরণ করেন।

আজ সকাল থেকেই সারা বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয়ে যাবে অমর একুশে নিয়ে নানা অনুষ্ঠান। রাত থেকেই তার প্রস্তুতি শুরুও হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিছুসময় পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ সেখানে পৌঁছলে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। দুজনে এগিয়ে যান শহীদ বেদীর দিকে, ফুলেল শ্রদ্ধা জানান শহীদদের স্মৃতির প্রতি।
এরপর মন্ত্রীসভার সদস্য ও দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আবারও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে শহীদ বেদীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া উপাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, তিন বাহিনী প্রধান, ভাষা সংগ্রামী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
তাদের শ্রদ্ধা জানানোর পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢল নামে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদ বেদী। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার অর্ঘ্যে স্মরণ করা হয় ভাষা শহীদদের।

একদিন আগে থেকেই কিন্তু বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয়ে গেছে অমর একুশকে স্মরণ করা। যখন ঊর্দু ভাষাকে বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেদিন বাঙালির প্রাণের ভাষা হৃদয়ের ভাষা মাতৃভাষাকে জাতীয় ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ। এজন্য সেদিন তাদের বন্দুকের নলের নিশানা হতে হয়েছিল। সেদিন ঢাকার রাজপথ সেইসব বাঙালি ভাষাপ্রেমী ছাত্রদের শ্রীরের রক্তে রাঙা হয়ে গেছিল।

প্রাণের বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষার স্বীকৃতি মেনে নিয়েছিল পাকিস্তান।তারপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ পালন করে আসছে এই দিনটিকে। ছবি সৌজন্যে বৈশাখী টিভি

Published on: ফেব্রু ২১, ২০১৯ @ ০০:৩৫

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 13 =