“অবহেলিত” আদিবাসীরা তীর-ধনুক, কুড়ুল হাতে স্তব্ধ করে দিল গোটা জঙ্গলমহল

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                                 ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: সেপ্টে ২৪, ২০১৮ @ ১১:৪৭

এসপিটি নিউজ মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, ২৪ সেপ্টেম্বরঃ রাজ্য সরকারের উপর ক্ষোভ উগড়ে এবার সরাসরি লড়াইয়ে নামল আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ গোটা জঙ্গলমহলকে অবরুদ্ধ করে দিল তারা। সোমবার সকাল থেকে তারা তাদের ছয় দফা দাবি নিয়ে এই চার জেলার সমস্ত জাতীয় ও রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে। হাতে তীর-ধনুক, কুড়ুল বরশা নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অথবা বসে পড়েছে। ফলে জনজীবন চূড়ান্তভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের একটাই কথা- অনেক হয়েছে, আর নয়। দাবি মানা না হলে এই অবরোধ চলতেই থাকবে।

তাদের দাবিগুলি হল-

  • সাঁওতালি ভাষা জানা, অলচিকি ভাষা জানা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
  • সরকারি আদেশ মতো ইচ্ছুক সমস্ত শিক্ষককে সাঁওতালি মাধ্যম স্কুলে আনতে হবে।
  • সমস্ত বই সরবরাহ এবং পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
  • অ-আদিবাসীদের  আদিবাসী সার্টিফিকেট বাতিল করা এবং সংরক্ষিত আসনে চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
  • আদিবাসী শিক্ষক এবং সরকারি কর্মীদের রাজনৈতিক বদলি বন্ধ করতে হবে।
  • সংবিধানে উল্লিখিত পঞ্চম তপশিলি আইন চালু করতে হবে।

জানা গেছে, সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন। আর সেই দিন সাত সকালে যেভাবে আদিবাসীরা হাতে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জঙ্গলমহলের নানা রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে অবরোধ শুরু করেছে তাতে সাধারণ মানুষের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটেছে। ৬০ নম্বর ও ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশাপাশি সমস্ত রাজ্য সড়কগুলিকে তারা অবরোধ করে রেখেছে। তাদের সাফ কথা- আশ্বাস অনেক হয়েছে। আমাদের দাবিকে কার্যকর করলেই এই অবরোধ তুলে নেওয়া হবে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, এই আদিবাসী সংগঠনের পিছনে কাদের মদত আছে? তারা নিজেদের ‘অবহেলিত প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারে আদিবাসীদের সম্মান প্রদর্শনের কথা বলে চলে। তাদের জন্য আলাদ স্কুল-কলেজ গড়ে তোলার কথা বলে। তাদের উন্নয়নের কথা বলে। এখন তারা বলতে শুরু করল-এতদিন যাদের আদিবাসী বলে সম্মানিত করা হয়েছে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে চাকরি দেওয়া হয়েছে তারা নাকি আদতে আদিবাসীই নয়? তা হলে তারা কারা? কি তাদের পরিচয়? সেকথাও প্রকাশ্যে তুলে ধরা হোক।

সব মিলিয়ে জঙ্গলমহল কি তাহলে আবারও অশান্ত হয়ে উঠতে চলেছে?

Published on: সেপ্টে ২৪, ২০১৮ @ ১১:৪৭

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 78 = 80