
Published on: জুলা ৮, ২০১৮ @ ২২:০৯
এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ “আমি তো সবসময় ভাবতাম-অসাধারণ এই মেধাবী ছাত্র বাণিজ্য কিংবা অঙ্কে উচ্চ শিক্ষা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে। একজন বড় মাপের হিসাবরক্ষক হবে।কিন্তু এখন তো দেখছি সে গোটা ইংল্যান্ড-এর মানুষের অত্যন্ত আদরের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছে। রাতারাতি সে হয়ে হয়ে গেছে বিশ্বকাপের একজন “হিরো”। বলছিলেন তাঁর ছোটবেলার স্কুলের প্রাক্তন ডেপুটি হেডমাস্টার সু কেইন।
কেইন ভাবতেই পারছে না এই সেই তাঁর অসাধারণ ছাত্র আজ ইংল্যান্ডবাসীর আদরের পাত্র। হয়ে উঠেছে বিশ্বকাপের হিরো। সত্যি, সুইডেনের বিরুদ্ধে ৬নম্বর জার্সিধারী হ্যারি ম্যাগুয়ারের এমন অবস্মরণীয় গোলেই বিশ্বকাপে দীর্ঘ ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে সেমিফাইনালের রাস্তার মুখ দেখতে পারল ইংল্যান্ড। তাই ম্যাগুয়ার “হিরো” না হয়ে পারে। ইতিমধ্যে ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে হ্যারি কেন, দেলে আলিদের পাশে স্থান করে নিয়েছে এই তরুন ইংরেজ।
শিক্ষক কেইন লন্ডনের মিরর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন হ্যারির ছোটবেলার স্কুলের নানা কথা। যেখানে তিনি ম্যাগুয়ারকে অসাধারণ ছাত্র বলে উল্ল্যেখ করেছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী-“ম্যাগুয়ার ছিলেন স্কুলের খুব ভাল ছাত্র। সেন্ট মেরি ক্যাথলিক স্কুলে ম্যাগুয়ার অ্যাথলেটিক্স, ডিসকাস থ্রো-ইন থেকে শুরু করে পড়াশুনো সবেতেই ছিলেন অসাধারণ।পরীক্ষায় ম্যাগুয়ার পেতেন এ স্টার এবং এ গ্রেড।টেবিল টেনিস ও রাগবিও ভালো খেলতেন তিনি। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে সে এখন ইংল্যান্ড দলের একজন তারকা খেলোয়াড়।”
ম্যাগুয়াররা তিনভাই ভাল ফুটবল খেলেন। ২১ বছর বয়সী লরেন্স ম্যাগুয়ার খেলেন চেস্টারফিল্ডে। ভাই জো খেলেন ফ্লিটউড টাউনে। এদের তিন ভাইকে আমি খেলা শিখিয়েছি। পুরনো স্মৃতি বলছিলেন তিনি। ১০ বছর আগে হ্যারি চেস্টারফিল্ডের সেন্ট ক্যাথলিক স্কুল ছেড়ে চলে গেলেও ও কিন্তু একবারের জন্য স্কুলের শিকড় ভুলে যায়নি। আজও সময় পেলেই ছুটে আসে স্কুলে। ছাত্রদের সঙ্গে সময় কাটায়। ওদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেয়। জামায় সাক্ষর করে দেয়। সে সত্যি এক বিনয়ী ছেলে। ওর মতো ভদ্র, অসাধারণ মেধাবী ছাত্র যে কোনও শিক্ষকের কাছেই গর্বের। আর এখন তো ও দেশের হিরো, রোল মডেল। আমরা আজ ওর জন্য অবিশ্বাস্যভাবে গর্বিত। বলছিলেন ম্যাগুয়ারের প্রাক্তন শিক্ষক।
ছবির ক্যাপশন-স্কুলে, বান্ধবীর সঙ্গে, সুইডেনের বিরুদ্ধে গোল করার পরের মুহূর্তে।
সৌজন্যে-মিরর
Published on: জুলা ৮, ২০১৮ @ ২২:০৯