
Published on: সেপ্টে ১২, ২০১৮ @ ২২:৩০
এসপিটি নিউজ, খেজুরি, ১২ সেপ্টেম্বরঃ প্রথমে স্কুল গড়ে এলাকার গরিব ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর টোপ। এরপর অভিভাবকদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া। সব শেষে টাকা জমানোর স্কিম। ব্যস, আর কি! এভাবেই উঠে আসে কোটি কোটি টাকা। তারপরই এলাকা থেকে পাত্তাড়ি গুটানো। স্কুলও হয়ে গেল বন্ধ। টাকাও গেল সব জলে। প্রতারণার শিকার হয়ে এখন শুধু বিক্ষোভ দেখানোই কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার টিকাশি গ্রামের টিকাশি প্রগতি ফার্মার্স ক্লাব এন্ড সোসাইটির বিরুদ্ধে উঠল একাধিক অভিযোগ।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, খেজুরির প্রত্যন্ত এই এলাকার মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে ২০০৬ সালে একটি স্কুল খোলে এই সংস্থাটি। যেখানে প্রায় ২৫০-৩০০ শিশু পড়াশোনা করছে।এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের অভিভাবক কিংবা স্থানীয় অধিবাসীরা বিপদে পড়লে সংস্থার থেকে তাদের নাম মাত্র সুদে টাকা ঋন দেওয়া হত।ফলে খুব সামান্য দিন্যের মধ্যেই এলাকার মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে নেয় টিকাশি প্রগতি ফার্মার্স ক্লাব এন্ড সোসাইটি।
এর পর শুরু হয় টাকা জমানোর স্কিম।ফলে আগে থেকে তৈরি হওয়া বিশ্বাসের জেরে স্থানীয় প্রায় ৫০০০ হাজার অধিবাসি এখানে তাঁদের সঞ্চয়ের টাকা জমা করতে শুরু করেন।প্রতারিতদের দাবি- তাঁদের জমা টাকার পরিমান প্রায় ৫ কোটি টাকার বেশি।এর মধ্যেই ঐ সংস্থার জমা ও ঋন দান প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।কর্ণধারের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না।ফলে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে।এবার তার রেশ কাটতে না কাটতে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যালয়টিও।ফলে নিজেদের সঞ্চিত অর্থ খোয়ানোর পাশাপাশি বাড়ির ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎও অন্ধকারে চলে যাওয়ায় মাথায় হাত সকলের।
জমানো টাকা ফেরত, ছেলে-মেয়েদের অন্য বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় অভিযোগকারীরা।
Published on: সেপ্টে ১২, ২০১৮ @ ২২:৩০