সাধুর চরণ যেখানে পড়ে সেই স্থান তীর্থ হয়ে যায়-হিংলাজদন রত্নু, প্রকাশিত ‘ত্রিকাল সন্ধ্যা’ পুস্তক

Main দেশ ধর্ম ভ্রমণ
শেয়ার করুন

অনুষ্ঠানে কলকাতার দুই বিশিষ্ট ব্যক্তি সাংবাদিক অনিরুদ্ধ পাল ও রাজস্থানের শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নতির জন্য কর্মরত নেহা চ্যাটার্জিকে মানস সম্মানে সম্মানিত করেন স্বয়ং মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী বিশোকানন্দজী।

Published on: সেপ্টে ২০, ২০২১ @ ২০:২৯

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২০ সেপ্টেম্বর:   কাশীর গোবিন্দ মঠ ও বিকানেরের ধননাথ মঠের প্রতিষ্ঠাতা মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী বিশোকানন্দ ভারতীজী’র সমাপনী অনুষ্ঠান হয়ে গেল গতকাল রবিবার কলকাতায় সৎসঙ্ঘ ভবনে। সেখানে ভাগবত পাঠ এবং পূর্নাহুতি হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে হিংলাজদান রত্নু, রাজস্থান ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন কলকাতা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অফিসার ইনচার্জ রত্নু বলেন- এমন মহাপুরুষের চরণ যেখানে পড়ে সেই স্থান তীর্থ হয়ে যায়।এই অনুষ্ঠানে কলকাতার দুই বিশিষ্ট ব্যক্তি সাংবাদিক অনিরুদ্ধ পাল ও রাজস্থানের শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নতির জন্য কর্মরত নেহা  চ্যাটার্জিকে মানস সম্মানে সম্মানিত করেন স্বয়ং মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী বিশোকানন্দজী।সতসং ভবন ট্রাস্ট মণ্ডল, কলকাতার বড়বাজারের ট্রাস্টি, বুলাকি দাস মীমানি জানান যে একটি বই “অথ ত্রিকাল সন্ধ্যা প্রয়াগ” আজকের মহৎ ও মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পায়।

এমন মহাপুরুষের চরণ যেখানে পড়ে সেই স্থান তীর্থ হয়ে যায়-হিংলাজদন রত্নু

হিংলাজদন রত্নু বলেন- কাশীর গোবিন্দ মঠ ও বিকানেরের ধননাথ মঠের প্রতিষ্ঠাতা মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী বিশোকানন্দ ভারতী মহারাজজিকে আজকের এই পুন্য দিনে প্রণাম জানাই। যার সংস্পর্শে এলেই মানুষ ধন্য হয়ে যায় এমন একজন মহাপুরুষের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে পারার সৌভাগ্য হয়েছে। যেখানে সাধুরা মহাপুরুষদের চরণ পড়ে, সেই স্থানগুলি তীর্থস্থানে পরিণত হয়, এই ধরনের মহান ব্যক্তিত্বরা আমাদের সনাতন ধর্ম, সংস্কৃতি, ধর্ম এবং আধ্যাত্মিকতার ভারতের অক্ষত ঐতিহ্যের স্তম্ভ এবং সবকিছু করেন তাদের মন, কথা এবং চেতনা দিয়ে।জন হিতাই সর্ব জন সুখের চিরন্তন বার্তা দেয়।কবিতার ছন্দ মিলিয়ে হিংলাজজী বলে ওঠেন- “ম্যায় সূর্য কী জোত, চন্দ কী কিরণ, অটল বিশ্বাস, সময় কা দর্পন হু ম্যায়/ ইতিহাসো নে মাধা, রসো নে জিসকো গায়া, সানোয়ারো কী ধারো কো জিসনে বুলরায়া অতি/ কলম কা ধনি, জ্ঞান কা কারণ হু ম্যায়/ বিশোকানন্দ হু ম্যায়, বিশোকানন্দ…।”

‘অথ ত্রিকাল সন্ধ্যা প্রয়োগ’ পুস্তকের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ

সতসং ভবন ট্রাস্ট মণ্ডল, কলকাতার বড়বাজারের ট্রাস্টি, বুলাকি দাস মীমানি জানান যে একটি বই “অথ ত্রিকাল সন্ধ্যা প্রয়াগ” আজকের মহৎ ও মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পায়।

এদিনের অনুষ্ঠানে বিকানেরের গোগাগেট মন্দির দ্বারা পণ্ডিত বংশীলাল শর্মাজী’র ‘অথ ত্রিকাল সন্ধ্যা প্রয়োগ’ পুস্তকের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী বিশোকানন্দজী। পুস্তকের প্রতি শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি লিখেছেন-” অহো রাত্রির সন্ধির সময় যে অনুষ্ঠান করা হয় তাকে ‘সন্ধ্যা’ বলা হয়।” শুভকামনা জানিয়ে শিবকাশীর বিমর্শনন্দগিরিজী লিখেছেন-“আমি এটা জানতে পেরে খুশি হয়েছি যে পন্ডিত বংশীলালজী মানব কল্যাণের জন্য সন্ধ্যা পুজোর উপর পুস্তক রচনা করেছেন। আশা করছি, এই পুস্তক তার নিজের উদ্দেশ্য সাধনে অবশ্যই সফল হবে।” বিকানেরের তথ্যসুর গেটের ‘কর্মকাণ্ড ভাস্কর’ পণ্ডিত নথমল পুরোহিত তাঁর সম্মতি বার্তায় লিখেছেন-” এই জেনে আমি অত্যন্ত খুশি যে বিকানের নিবাসী ব্রাহ্মণ বংশীলাল শর্মাজী ‘ত্রিকাল সন্ধ্যা’ মহত্বপূর্ণ পুস্তক রচনা করেছে। পুস্তকের প্রকাশেই বোঝা গিয়েছে যে ত্রিকাল সন্ধ্যা বিধির আধিকারিক বিষয়বস্তু সংকলনের সাথে সাথে অন্য কাজেরও সুন্দর ভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।” অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং বড়বাজার, কলাতার সতসং ভবনের প্রধান ট্রাস্টি লক্ষ্মীকান্ত তিওয়ারি উপস্থিত ছিলেন।

এই উপলক্ষে, বিশেষ করে এই ভাগবতকথার আয়োজক পবন ভট্টার এবং তাঁর স্ত্রী সুমন ভট্টার ভাগবত আরতি করেন এবং অনুষ্ঠানটি পরিপূর্ণ রূপ পায়। এই উপলক্ষে শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন যেখানে এই অনুষ্ঠানে মহানগরের প্রধান অতিথি ছিলেন বুলাকি দাস মেমানি, অশোক তিওয়ারি, গুদ্দন সিংহ, রাজু শর্মা, আকাশ শর্মা, বুলকি দাস দাগা, অভয় পাণ্ডে, যজ্ঞপ্রসাদ শাস্ত্রী, সত্যনারায়ণ বাসমতী, রাজ কুমার বিনানী । অনুষ্ঠান সভা সফলভাবে পরিচালনা করেন বুলাকি দাস মেমানি এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পবন ভট্টার।

মানস সম্মান প্রদান দুই বিশিষ্টকে

এদিনের এই অনুষ্ঠানে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী বিশোকানন্দ ভারতীজী সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর প্রধান সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক অনিরুদ্ধ পাল ও রাজস্থান পর্যটন বিকাশ নিগমের নেহা চ্যাটার্জিকে শাল পরিয়ে রুদ্রাক্ষ দিয়ে মানস সম্মানে সম্মানিত করেন। সম্মানিত সাংবাদিক অনিরুদ্ধ পাল প্রদীপ নিয়ে কালী মায়ের আরতি করেন এবং স্বামীজীর আশীর্বাদ প্রাপ্ত হন।

সাংবাদিক অনিরুদ্ধ পালের পরিচয়

সাংবাদিক অনিরুদ্ধ পাল গত ২৯ বছর ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। কল্কাতায় প্রথম শ্রেণির একাধিক দৈনিক সংবাদ পত্রে তিনি দীর্ঘদিন সম্মানের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে- ‘সংবাদ প্রতিদিন’, ‘একদিন’, ‘সকালবেলা’, ‘খবর ৩৬৫দিন’। ‘বর্তমান’ কাগজেও তিনি বেশ কিছুদিন ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিকতা করেছেন। অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতা এবং মানবিক বিষয়মুখী সাংবাদিকতায় অনিরুদ্ধবাবু তাঁর দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি স্বয়ং সংবাদ প্রভাকর টাইমস সংবাদ মাধ্যম পরিচালনা করছেন। এই নিউজ পোর্টাল এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের একাধিক দেশে নিজের পাঠক খুঁজে নিয়েছে।একই সঙ্গে তাঁর লেখা ‘মা কল্যাণেশ্বরী’, ‘মা ভীমাকালী’র মতো আধ্যাত্মিকতা বিষয়ক লেখা পাঠকদের নজর কেড়েছে।

নেহা চ্যাটার্জির পরিচয়

আর এক বিশিষ্ট ব্যক্তি নেহা চ্যাটার্জি,  যিনি রাজস্থানের শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নতির জন্য কাজ করে চলেছেন। পর্যটন নিয়ে ভাবনা-চিন্তা, আর তাকে কিভাবে মানুষের কাছে সহজ করে পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে সবসময় কাজ করে চলেছেন নেহাদেবী। রাজস্থানের শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নতির জন্য তিনি কাজ করছেন।

Published on: সেপ্টে ২০, ২০২১ @ ২০:২৯


শেয়ার করুন